একজন লেখক হলেন এমন একজন ব্যক্তি, যিনি বিভিন্ন ধরনের এবং কৌশলের লিখিত শব্দগুলি যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করেন। লেখকরা বিভিন্ন ধরনের সাহিত্য শিল্প এবং সৃজনশীল লেখার জন্মদান করেন, যেমন উপন্যাস, ছোট গল্প, কবিতা, নাটক, চিত্রনাট্য এবং প্রবন্ধ পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিবেদন গুলি এবং খবর নিবন্ধ যার প্রতি জনগণ আগ্রহী হতে পারে। লেখকদের লেখা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। দক্ষ লেখক, যাঁরা ভাষার মাধ্যমে ধারণাকে ভালভাবে প্রকাশ করতে ব্যবহার করতে সক্ষম হন, একটি সমাজের সংস্কৃতিতে তাঁদের অবদান অপরিসীম।
চারুকলার ক্ষেত্রে "লেখক" শব্দটি অন্য কোথাও ব্যবহৃত হয় – যেমন গীতি লেখক – তবে শুধু "লেখক" বললে সাধারণত, যিনি লিখিত ভাষা তৈরি করেন, তাঁকে বোঝায়। কিছু লেখক মৌখিক প্রথা থেকে কাজ করেন।
লেখক বলতে কোন ব্যক্তি কর্তৃক রচিত লিখন কর্ম বা কোন কিছু লেখাকে বুঝায়। তবে যে কোন লেখার অধিকর্তাই লেখকরূপে স্বীকৃতি পান না; তাঁর লেখায় সাহিত্যিক গুণাবলী থাকতে হবে। সাধারণতঃ যে ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ সৃষ্টিশীল কোন লেখনী কিংবা লেখাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন, তিনিই লেখকরূপে গণ্য হয়ে থাকেন।
লেখকরা কাল্পনিক বা বাস্তব বেশ কয়েকটি রীতির উপাদান তৈরি করতে পারেন। অনেক লেখক তাঁদের ধারণাকে সবার কাছে পৌঁছে দেবার জন্য একাধিক মাধ্যম ব্যবহার করেন – উদাহরণস্বরূপ, গ্রাফিক্স বা চিত্রণ। নাগরিক এবং সরকারী পাঠকদের দ্বারা, অ-কাল্পনিক প্রযুক্তিবিদদের কাজের জন্য, সাম্প্রতিক আরেকটি চাহিদা তৈরি হয়েছে, যাদের দক্ষতা ব্যবহারিক বা বৈজ্ঞানিক প্রকৃতির বোধগম্য, ব্যাখ্যামূলক দস্তাবেজ তৈরি করে। কিছু লেখক তাঁদের লেখাকে আরও বোধগম্য করার জন্য চিত্র (অঙ্কন, চিত্রকর্ম, গ্রাফিক্স) বা মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করতে পারেন। বিরল দৃষ্টান্তে, সৃজনশীল লেখকগণ তাঁদের ধারণাগুলি সংগীতের পাশাপাশি শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করতে সক্ষম হন। লেখকের স্ত্রীবাচক শব্দ হচ্ছে লেখিকা। লেখককে অনেকক্ষেত্রে গ্রন্থকারের সমার্থক শব্দরূপে গণ্য করা হয়। কিন্তু লেখক শব্দটি মূলতঃ ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়। তাঁদের নিজস্ব রচনাগুলি সৃষ্টির পাশাপাশি, লেখকরা প্রায়শই কীভাবে তাঁরা লেখেন সেটাও প্রকাশ করেন অর্থাৎ যে প্রক্রিয়াটি তাঁরা লেখার জন্য ব্যবহার করেন; কেন তাঁরা লেখেন? তাদের প্রেরণা কি? এবং অন্যান্য লেখকের কাজের বিষয়েও মন্তব্য সমালোচনা করেন।লেখকরা পেশাদার বা অপেশাদারভাবে কাজ করেন, অর্থাৎ, অর্থের জন্য বা অর্থ ছাড়াই, এছাড়াও অগ্রিম অর্থ গ্রহণ করে বা কাজ শেষ করার পর কেবল তাঁদের কাজ প্রকাশিত হবার পরে। অর্থ প্রাপ্তি লেখকদের অনেক অনুপ্রেরণার মধ্যে একটি, অনেকে তাঁদের কাজের জন্য কখনও কোন অর্থই পান না। তাছাড়া লেখকদের লেখা বিভিন্ন পত্রিকায় ও বই আকারে প্রকাশনী—থেকে প্রকাশিত হয় যা লেখকদের লেখার দিকে উৎসাহিত করে।
লেখক শব্দটি প্রায়শই সৃষ্টি মূলক লেখক এর প্রতিশব্দ হিসাবে ব্যবহৃত হয়, যদিও পরবর্তী শব্দটির কিছুটা বিস্তৃত অর্থ রয়েছে এবং লেখার কোনও অংশের জন্য আইনি দায়িত্ব জানাতে ব্যবহৃত হয়, এমনকি এর রচনাটি বেনামে, অজানা বা সহযোগী হলেও।
লেখকদের প্রকারভেদ :
১। ঔপন্যাসিক - যিনি উপন্যাস রচনা করেন।
২। কবি - যিনি কবিতা লিখেন।
৩। ব্লগ লেখক বা ব্লগার - যিনি সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট ব্লগে লিখেন।
৪। লেখকরা তাদের ধারণাগুলি প্রকাশ করার জন্য সাহিত্য রীতির শ্রেণির মধ্যে থেকে একটি পছন্দ করেন। বেশিরভাগ লেখাই জন্য অন্য একটি মাধ্যমের ব্যবহারের জন্য অভিযোজিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কোনও লেখকের কাজ - ব্যক্তিগতভাবে পড়া বা আবৃত্তি বা কোনও নাটক বা চলচ্চিত্রে পরিবেশিত হতে পারে। যেমন কোন ব্যঙ্গাত্মক রচনাকে একটি কবিতা, একটি প্রবন্ধ, একটি চলচ্চিত্র, একটি কমিক নাটক, বা সাংবাদিকতার একটি অংশ হিসাবে লেখা যেতে পারে। কোনও চিঠির লেখকের মধ্যে সমালোচনা, জীবনী বা সাংবাদিকতার উপাদান অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
অনেক লেখক বিভিন্ন ধারায় কাজ করেন। ধারাটি স্থিতিমাপ তৈরি করে তবে সমস্ত ধরনের সৃজনশীল অভিযোজনেরও চেষ্টা করা হয়: উপন্যাস থেকে চলচ্চিত্র; কবিতা থেকে নাটক; ইতিহাস থেকে সংগীত। লেখকরা তাঁদের সাহিত্যচর্চা একটি ধারায় শুরু করতে পারেন এবং তারপর অন্য একটি ধারায় চলে যেতে পারেন। উদাহরণ স্বরূপ, ইতিহাসবিদ উইলিয়াম ডালরিম্পল শুরু করেছিলেন ভ্রমণ সাহিত্য রচনার ধারায় এবং একজন সাংবাদিক হিসাবেও লেখেন। অনেক লেখক কথাসাহিত্য এবং অ-কাল্পনিক উভয় রচনাই সৃষ্টি করেছেন এবং অন্যরা দুটি ধারাকে অতিক্রম করে এমন একটি ঘরানায় লিখেন। উদাহরণস্বরূপ, জর্জেট হায়ার এর মত ঐতিহাসিক প্রণয় কাহিনীর লেখক, ঐতিহাসিক সময়সীমার মধ্যে তাঁর চরিত্রদের এবং গল্পের পটভূমিকে রাখেন। এই ধারায়, ইতিহাসের যথার্থতা এবং কাজের সত্য ঘটনা বিশ্লেষণের স্তর উভয়ই বিতর্কিত হতে থাকে। কিছু লেখক সৃজনশীল কথাসাহিত্য এবং গুরুতর বিশ্লেষণ উভয়ই লেখেন, কখনও কখনও তাঁদের কাজ পৃথক করতে বিভিন্ন নাম ব্যবহার করেন। উদাহরণস্বরূপ, ডরোথি সায়ার্স অপরাধ কল্পকাহিনী লিখেছেন, তবে তিনি নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক এবং সমালোচকও ছিলেন।
রম্য লেখক—এখন সন্দেহ হচ্ছে, এই শ্রেণিবিভাগ আছে কি? কেউ কি শুধু রম্যই লেখেন?
সাংবাদিক—সংবাদ অবশ্যই লেখা। কাজেই এটা লেখকের আরেকটা ধরন। কিন্তু সব লেখা সংবাদ নয়। আবার সব সংবাদ কে লেখা মানতেও নারাজ অনেকে। আসমা বৃত্তি পাইয়াছে’—এই সংবাদ লেখক হয়তো লেখক/সাহিত্যিক ক্যাটাগরিতে পড়েন না।
কলামিস্ট—এবার ক্যাটাগরিটা ইংরেজিতে। বাংলা কী হবে? যদি বাংলা না থেকে থাকে, তাহলে ধরেই নিতে হবে এটা নতুন ক্যাটাগরি। আবহমান কাল ধরে বাংলা ভাষায় ছিল না। যিনি সংবাদপত্রে বা ম্যাগাজিনে ফিচারধর্মী লেখা লেখেন, তিনি কলামিস্ট।
লেখক—ওপরে অনেককে শুধু লেখক বললেই হয়। কিন্তু সবাইকে নয়। কবিকে লেখক বলা যাবে না, গীতিকারকেও না। নাট্যকারকে কি লেখক বলা যাবে? জানি না!
কথা থেকে যাচ্ছে, কে সাহিত্যিক দাবি করতে পারেন? সবাই? ওপরে প্রাবন্ধিককে সাহিত্যিক ক্যাটাগরি থেকে বাদ দিয়েছিলাম। না জেনেই। এখন বুঝতে পারছি, সেটা অবশ্যই সাহিত্যের একটা প্রধান ক্যাটাগরি। রবীন্দ্রনাথও প্রবন্ধ লিখেছেন। বেশ খারাপ লাগছে, কিন্তু ওপরে উঠে আবার মুছতে ইচ্ছা করছে না। প্রাবন্ধিক ভাইবোনেরা, নিজগুণে ক্ষমা করবেন। সায়েন্স ফিকশন লেখক ভাইবোনেরা, আপনাদের কাছেও একই আবেদন। এখন মনে পড়েছে, জুলভার্ন তো সায়েন্স ফিকশন লিখেছেন। তিনি একজন বিরাট সাহিত্যিক! তাহলে যে যা–ই বলুক, সায়েন্স ফিকশন একটা সৃজনশীল সাহিত্য হতেই হবে।
কাজেই বুঝতেই পারছেন, তাড়াহুড়োর মধ্যেও বেশ একটা প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে অনেক কিছু উদঘাটন করা হলো, অনেক কিছু আবার অনুদঘাটিত থেকে গেল। গবেষণা হচ্ছে একটা কাঠিদৌড়ের মতো। আমি যেখানে থামব, সেখান থেকে আরেকজন কাঠি হাতে নিয়ে ছুটবে। তফাত হলো কাঠিদৌড়ে আগের পরের সবাই, পুরা টিম পুরস্কার পায়। গবেষণায় পায় সব শেষের জন। আগের গবেষকগুলো হাপিস হয়ে যায়। এই হলো জগতের নিয়ম।
0 coment rios:
দৈনিক অনুসন্ধান
সত্যের সন্ধানে বলিষ্ঠ দৈনিক অনুসন্ধান, সত্য প্রকাশে নির্ভীক...