বন্ধুদের লেখা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বন্ধুদের লেখা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

কক্সবাজারের আনন্দ ভ্রমণ

কক্সবাজারের আনন্দ ভ্রমণ

ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার ভ্রমণ:ছুঁয়ে এলাম সমুদ্র জল!

অফিস থেকে বাসায় ফিরে দেখি ত্বহা বাবু আর তুবা মনি মহা উৎসাহে টিভি দেখছে। পিঠাপিঠি ভাই বোন ওরা। ত্বহাবাবুর বয়স পাঁচ বছরে পড়েছে, নীলফামারিতে আমাদের কর্মস্থলের পাশে একটি স্কুলে ভর্তি করিয়েছি ওকে। আর তুবা মনির বয়স হলো একুশ মাস। ত্বহা শুধু প্রশ্ন করে, প্রচুর কৌতূহল সব বিষয়ে। অস্পষ্ট কিছু শব্দ সেও উচ্চারণ করতে পারে।

ডিসকভারি চ্যানেলে তখন উন্মুক্ত সমুদ্রের মধ্যে কয়েটা ডলফিন সাঁতার কাটছিল। ঢেউ গুলো সমুদ্রের পাড়ে এসে আছড়ে পড়তে দেখে ত্বহা বাবু বলে উঠলো বাবা সত্যিকারের সমুদ্র কেমন হয়? আমি বললাম সমুদ্র এমনই হয় বাবা। তুমি দেখবে? ওর মা কথার প্রায় মাঝখানেই বলে উঠলো চলো এবার সমুদ্রের পাড়ে ঈদ করি আমরা। কি ত্বহা বাবু! বাবাকে বলো এবার ঈদের ছুটিতে আমাদের কক্সবাজার নিয়ে যেতে ! তা হলেই তো তুমি সত্যিকারের সমুদ্র দেখতে পাবে। কথাটা অবশ্য মন্দ বলো নি, এবার ঈদে তাহলে কক্সবাজারই ঘুরে আসা যাক বেশ জোরেশোরেই বলে উঠলাম আমি। আমরা স্বামী স্ত্রী দু জনই কর্মজীবী। চাকরি জীবন যেমন হয় আরকি, অফিস থেকে বাসা আর বাসা থেকে অফিস। একদম গৎ বাঁধা সবকিছু । ভাবলাম এর মধ্যে একটু ঘোরাঘুরির সুযোগ পেলে সেটা আমাদের নেয়াই উচিত। বাচ্চাদের সাথে নিয়ে সুন্দর কিছু সময় তো উপভোগ করা যাবে অন্তত! সব মিলিয়ে তখনই সিদ্ধান্ত হলো ঈদ এবার কক্সবাজার করব আমরা।
সবাই মিলে ঈদ ঘোরাঘুরি 

আমার ছোট মামাতো বোন কক্সবাজার জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স। কল দিলাম বোন জামাইকে,উনি তো মহা খুশি। বললেন বড়ভাই আমরা বেশ কবছর ধরে এখানে আত্মীয় স্বজন ছাড়াই ঈদ করি। আপনারা আসলে তো খুবই ভাল লাগবে। বোনকে বললাম আসছি তাহলে এবার সামুদ্রিক মাছ আর শুটকি কিনে রেডি থাকো তোমরা!


নীলফামারী থেকে কক্সবাজার অনেক দূরের পথ। তাছাড়া রোজা রেখে বাচ্চাদের নিয়ে বাস বা ট্রেনে ভ্রমণ কষ্টদায়ক হবে। তার ওপর আবার ঈদের সময় টিকেট পাওয়ার ঝক্কিঝামেলা বেশি। তাই উড়ো জাহাজে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছিলাম। পরের দিন খোঁজ নিয়ে জানলাম, সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজার সরাসরি সপ্তাহে দুটি করে ফ্লাইট আছে। দেরি না করে বুকিং করে ফেললাম আমাদের যাওয়া আসার টিকেট।


 

নির্ধারিত দিনে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে পৌঁছে দেখি আমাদের ফ্লাইট পিছিয়েছে ঘন্টা খানেক।৷ কী আর করা, বসে থেকে রানওয়েতে উড়ো জাহাজের ওঠা নামা দেখে আর বাবুদের সাথে নিয়ে পায়চারি করতে থাকলাম। অবশেষে আসলো আমাদের সময়। সৈয়দপুরের রানওয়ে যখন আমরা ছাড়লাম তখন বেলা সাড়ে বারোটা। নীল আকাশ আর সাদা মেঘের মধ্য দিয়ে ঘন্টা দেড়েক ওড়ার পরে নিচে হঠাৎই সমুদ্রের দেখা মিললো। সাথে এয়ার হোস্টেজের সুমিষ্ট কন্ঠ, আমরা কক্সবাজার বিমান বন্দরে নামতে চলেছি এই বার্তা।
আমরা তাহলে চলেই এলাম কক্সবাজার!
কি আনন্দ আমরা সমুদ্রে 
 

বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে একদম সোজা বোনের বাসায়। তখন সময় দুপুর আড়াইটার মত। ত্বহা বিমান থেকে নামা অব্দি নাহলেও দশবার বলেছে, বাবা সমুদ্র কই,বাবা বাবা.. সমুদ্রে চলো...!!


বাসায় পৌঁছার পর ওরা দুজন আমার বোনের মেয়ে তাসনিয়ার সাথে খেলতে শুরু করল। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বোনকে বুঝিয়ে বললাম যে আমরা একটা হোটেলে উঠব। কারণ বাসায় থেকে ভ্রমণের প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যাবে না। অনেক কষ্টে বোনকে রাজি করানো গেল।

 বোনজামাই শহিদুল ভাই সহ গেলাম হোটেল খুঁজতে। আমরা রুম পেলাম লাবনী আর সুগন্ধা পয়েন্টের মাঝামাঝি রাস্তার পাশের একটি হোটেলে। লাগেজ পত্র নিয়ে রুমে উঠার পর সবাই মিলে সুগন্ধা পয়েন্টে গেলাম সমুদ্র দেখতে। একে তো রোজার মাস তার ওপরে আবহাওয়া গরম, শরীর বেশ ক্লান্ত লাগছিল। তবে বিচের কাছাকাছি এসে বেশ ভালই লাগল। রোজার জন্যই হয়ত সমুদ্র পাড়ে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় নেই এখন।

সমুদ্র সৈকতে বালুর প্রাসাদ তৈরির শুরু 


কি বিপুল জলরাশি! ছোট-বড় ঢেউগুলো এসে আছড়ে পড়ছে পরিষ্কার ভেজা বালুর ওপর। ত্বহা প্রথম বার সমুদ্র দেখে বেশ অবাক হয়েছে। আর তুবা মনি ভয় পাচ্ছে কিছুটা। তবে ওদের মায়ের চোখেমুখে বেশ উচ্ছ্বাস দেখলাম। সব মিলিয়ে প্রথম বার সমুদ্র দেখাটা বেশ উপভোগ করেছিলাম আমরা।

আসল ঘোরাঘুরি শুরু হয়েছিল ঈদের দিন থেকে। নামাজ পড়লাম কক্সবাজার স্টেডিয়ামের সামনের প্রধান ঈদ গাহে। তারপর হোটেল থেকে বোনের বাসায় গিয়ে সবাই মিলে সেমাই মিষ্টিমুখ করার পর সিদ্ধান্ত হলো মহেশ খালী দ্বীপে ঘুরতে যাওয়ার। 


স্পিডবোট যখন আমাদের মহেশ খালী নামিয়ে দিল তখন সরু প্যাসেজের মত লম্বা জেটিটা চোখে পড়ল। আশেপাশে কেউড়া, গোল পাতার মত ম্যানগ্রোভ জঙ্গল। এটা কি সুন্দরবন নাকি?বলে উঠলাম আমি, বোনজামাই বলল না ভাই তবে কিছুটা সুন্দর বনের ফিল নিয়ে নেন, এক ভ্রমনে দুই ফ্লেভার আরকি! মুচকি হেসে সামনের দিকে পা বাড়ালাম আমরা। মহেশখালীতে শুটকি আর লবণের ঘের দেখলাম। ঝাউবন,আর বেশ কিছু মন্দিরও দেখেছিলাম। বিকেলের দিকে বোনের বাসায় ফিরে আরেকপ্রস্থ খাওয়া দাওয়া হলো। রুপচাঁদা মাছ, চিংড়ি মাছ, শুটকি ভর্তা আরো দুই এক রকম তরকারি করেছে আমার বোন। খেতে খেতে পরদিন কোথায় যাওয়া যায় সেই বিষয়ে আলাপও করা হলো।বোনজামাই বলল হিম ছড়ি মেরিন ড্রাইভ এবং ইনানি বিচ ঘুরতে হবে, ঐদিকটায় মিনি বান্দরবন, রেজুখাল আর এই দিকে ফিশওয়ার্ল্ড এই কয়টা জিনিস আপনাদের দেখতেই হবে বড়ভাই।আমি বললাম হু তাহলে কালকে চলেন হিমছড়ির ঝর্ণা দেখে আসি।

মাছটাতো বেশ স্বাদ হয়েছে সালমা,তা আর কি কি মাছ খেয়েছ তোমরা এখানকার ? খেতে খেতে বোনকে বললাম আমি। আরো অনেক মাছ আছে ভাই তোমরা আরো কটা দিন থাকো তাহলে একে একে সব মাছ খেয়ে যেতে পারবে। এই কয় দিনের সেহেরি ইফতার সব আমার বোন পাঠিয়েছে,অর্থাৎ আমরা থেকেছি হোটেলে কিন্তু প্রতি বেলার খাবারই পাঠিয়েছে ওরা। বোনগুলো এমনই হয় হয়ত।

সমুদ্র সৈকতে বালু দিয়ে আঁকাআকি করছে দুইটি শিশু 


সেদিন সন্ধ্যায় সুগন্ধা পয়েন্টের রাস্তায় আমরা মাছ ভাজা খেতে গেলাম। এখানে ছোট ছোট ভ্যানে করে কাঁকড়া, অক্টোপাস, লবস্টার, চিংড়ি ফ্রাই, বারবিকিউ করে বিক্রি হয় রাস্তার পাশে। কাঁকড়া, স্কুইড ,লবস্টার আর কয়েকটা মাছ খেয়েছি আমি। ত্বহা বাবু আর তুবামনি কাঁকড়া খেয়েছে তবে ওদের মা শুধু স্কুইডের ফ্রাই খেয়েছে দু একটা। কাঁকড়া দেখে নাকি ওর ভয় ভয় লাগে!


ঈদের পরের দিন সকালে আমরা বের হলাম হিম ছড়ি পাহাড় আর ঝর্ণা দেখতে। অটোতে করে যখন মেরিন ড্রাইভ রোডে ঢুকলাম তখন মনে হলো এটাই কক্সবাজারের সবচেয়ে সুন্দরতম স্থান। রাস্তার একপাশে সমুদ্র অন্য পাশে পাহাড়। কিছু কিছু স্থানে তো সমুদ্র একদম রাস্তার কাছাকাছি। বালুর ওপরে রাখা সাম্পান, জলের ঢেউ, বাতাস, ঝাউ গাছ, পাহাড় আর গাছ পালার ঝোপঝাড় মিলিয়ে অসাধারণ প্রাকৃতিক শোভার মধ্য দিয়ে আমরা পৌঁছুলাম রেজুখাল সংলগ্ন কক্সবাজারের মিনি বান্দরবানে। আমরা পাহাড়ে উঠতে শুরু করলাম। ত্বহা বাবু উপরে উঠে ভালই মজা পেয়েছে বলে মনে হলো। একটু পর পর বলছে বাবা পাহাল পাহাল,ও মাঝে মাঝে "র"এর উচ্চারণ করতে পারে না। তাই পাহাড় কে পাহাল শোনাচ্ছিল। আমরা কিছুক্ষণ বসে ছবি তুলে চলে আসলাম হিম ছড়ি। টিকেট কেটে ঢুকে হাতের ডান পাশে পড়বে ঝর্ণা। বেশ কিছু লোক সমাগম হয়েছে দেখলাম। সব সময়েই নাকি এমন পর্যটক থাকেন এখানে।ঝর্ণা খুব বেশি একটা বড় না, তবে দেখতে সুন্দর আছে। ঝর্ণার পানি হাতে নিয়ে তুবা মনির গালে ছিটিয়ে মজা করলাম কিছুক্ষণ। এবার পাহাড়ে ওঠার পালা, সবাই পাহাড়ের গায়ে লম্ব ভাবে দেয়া সিড়ি বেয়ে উঠতে শুরু করলাম। অনেকগুলো সিঁড়ি ভেঙে যখন আমরা পাহাড় চূড়ায় পোঁছালাম তখন প্রায় বিকেল। সূর্য হেলে পড়েছে পশ্চিম আকাশে। ওপর থেকে সমুদ্রের জলে সূর্যের আলোর অপূর্ব খেলা দেখলাম আমরা। সবাই বেশ হাঁপিয়ে উঠেছিল। খানিকক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে নিচে নেমে পড়লাম।

বাবা মেয়ের ঈদ 

ইনানি সৈকতটা বেশ নিরিবিলি, তার একটু সামনে গেলেই একটি কাঠের সেতু ও ঝাউবন দেখা মিললো । আমার বোনটা বলল ভাইয়া এই জায়গায় যাই চলেন। ঝাউবন, কাঠের সেতু তার বিপরীতে বড়সড় একটা পাহাড়। নির্মল বাতাসে এখানে মন হারিয়ে যাওয়ার মত আবহাওয়া। ত্বহা তুবা, আর আমার বোনের মেয়ে তাসনিয়া নিচে নেমে ঝাউ বনের মধ্যে দৌড়াদৌড়ি আর খুনসুটি করল কিছুক্ষণ। আমরা বসে দেখছিলাম ওদের।

ঝাউবন থেকে ফেরার পথে দেখলাম প্যারাসেলিং। ঐতো প্যারাশুট দড়ি বেঁধে উড়া উড়ি আরকি। বাচ্চারা প্যারাসেলিং দেখে বেশ মজা পেল মনে হলো, অবশ্য আমাদেরও ভালই লাগছিল দেখতে।

পরের দিন যাওয়া হয়েছিল ফিশ ওয়ার্ল্ড দেখতে। কত বিচিত্র ধরনের মাছ যে আছে ওখানে না গেলে বুঝা যাবে না। কাঁচের একুরিয়াম পুরো ঘর জুড়ে তার ভেতরে ঘুরে বেড়াচ্ছে জীবন্ত হাঙ্গর, কচ্ছপ আর নানান সামুদ্রিক জীব। বেশ মনোমুগ্ধকর লেগেছে এই ফিশ ওয়াল্ড।

পাহাড় সমুদ্রের মাঝে ওদের দুষ্টুমি 

সমুদ্র পাড় হতে ঈদ মোবারক 

ঘুরাঘুরি মাঝে সমুদ্র সৈকতে সবাই এক রংয়ের পোশাকে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম আমরা। আর সৈকতের সামনে দোকানগুলো থেকে কেনা হয়েছিল আচার, শামুক ও মুক্তার মালা। শুটকি কিনেছিলাম কিছুটা,মহেশ খালি থেকে কিনেছিলাম পাহাড়ি পোশাক আর চন্দন। 

পরের দিন সকালে আমাদের ফিরতি ফ্লাইট। রাতে তাই শেষ বারের মত সমুদ্র দেখতে গেলাম আমরা। সমুদ্র সৈকতে ত্বহা বাবুকে নিয়ে ঘোড়ায় উঠলাম আর ও ঘুড়ি কিনে চাইলে ওকে ঘুড়ি কিনে দেয়া হলো। শেষ দিন তাই সৈকতে মধ্যে বসে বালু দিয়ে রাজপ্রাসাদ বানানোর অনুমতিও মিলল আরেকবার।


দুপুর বারোটা নাগাদ বোন দের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমরা পোঁছালাম কক্সবাজার বিমান বন্দরে। এবার অবশ্য যথা সময়েই এলো আমাদের বিমান। ওঠার আগে এই কয় দিনে দেখা সকল স্মৃতিগুলো অকপটে আরেকবার চোখের সামনে ভেসে উঠলো। কালকে থেকেই আবার নিয়মিত জীবন শুরু তবে এই ভ্রমণের স্মৃতি আমাদের থেকে যাবে আজীবন। মাঝে মাঝে সময় পেলে এমন ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ব। বেশ সতেজ শরীর ও মন নিয়ে সৈয়দপুরের উদ্দেশ্যে উড়ে চললাম আমরা।
-নুরুল্লাহ কামিল।
wushukamil621@gmail.com
মুঠোফোন :01778117147



বুধবার, জানুয়ারী ২৪, ২০২৪

জানা অজানা কারণ

জানা অজানা কারণ

সত্যের সন্ধানে বলিষ্ঠ, সত্য প্রকাশে নির্ভীক

সত্যের সন্ধানে বলিষ্ঠ, সত্য প্রকাশে নির্ভীক... 



পালিয়ে যাচ্ছো

ইয়াছিন আরাফাত
এই তো তুমি সেই দিনের ছোট্ট একটা মেয়ে,
যখন মাটিতে হাঁটতে, গড়াগড়ি দিতে,
কুটিয়ে কুটিয়ে কথা বলতে তখন তোমার মা-বাবা মুগ্ধতা নিয়ে থাকতো চেয়ে।
জানা অজানা কারণে, তুমি এক প্রান্ত থেকে অন‍্য প্রান্তে চলতে ধেয়ে ।
আজ সেই তুমি,আজ সেই তুমি, পালিয়ে যাচ্ছো দুই দিনের পরিচয়ের কাউকে পেয়ে।
এই ই কী শিখলে? বাবা মায়ের বুকে আদর যত্নে বড় হয়ে, খেয়ে দেয়ে।
পথের কুকুরও ভালো ছিল তোমার চেয়ে।
সেইও মনিবকে ছেড়ে যায় না কখনো অন‍্য কাউকে পেয়ে।
আজ সেই তুমি,আজ সেই তুমি, পালিয়ে যাচ্ছো দুই দিনের পরিচয়ের কাউকে পেয়ে?
ইয়াছিন আরাফাত
কবি,গল্পকার ও প্রাবন্ধিক
উপ-দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
মোবাইল :- 01876729147
ইমেইল :- eashina404@gmail.com

দৈনিক অনুসন্ধান
দৈনিক অনুসন্ধান

 নবীন- প্রবীন লেখীয়োদের প্রতি আহ্বান: সাহিত্য সুহৃদ মানুষের কাছে ছড়া, কবিতা, গল্প, ছোট গল্প, রম্য রচনা সহ সাহিত্য নির্ভর আপনার যেকোন লেখা পৌঁছে দিতে আমাদেরকে ই-মেইল করুন-

➤ editorial.tdse@gmail.com

 লেখার সাথে আপনার নাম ঠিকানা, যোগাযোগ নাম্বার যুক্ত করে দিয়েন - সম্ভব হলে নিজের ছবি + লেখার সাথে মানানসই ছবি। ইংরেজি লেখা পাঠাতে ও এই ই-মেইল টি ব্যাবহার করতে পারেন। 
The Daily Search
The Daily Search

✉️ই-মেইল: editorial.tdse@gmail.com 

- ধন্যবাদ

সত্যের সন্ধানে বলিষ্ঠ, সত্য প্রকাশে নির্ভীক... দৈনিক অনুসন্ধান দৈনিক অনুসন্ধান নবীন- প্রবীন লেখীয়োদের প্রতি আহ্বান: সাহিত্য সুহৃদ মানুষের কাছে ছড়া, কবিতা, গল্প, ছোট গল্প, রম্য রচনা সহ সাহিত্য নির্ভর আপনার যেকোন লেখা পৌঁছে দিতে আমাদেরকে ই-মেইল করুন- ➤ editorial.tdse@gmail.com লেখার সাথে আপনার নাম ঠিকানা, যোগাযোগ নাম্বার যুক্ত করে দিয়েন - সম্ভব হলে নিজের ছবি + লেখার সাথে মানানসই ছবি। ইংরেজি লেখা পাঠাতে ও এই ই-মেইল টি ব্যাবহার করতে পারেন। The Daily Search The Daily Search ✉️ই-মেইল: editorial.tdse@gmail.com - ধন্যবাদ দৈনিক অনুসন্ধান
ডিভোর্স

ডিভোর্স

                         ডিভোর্স 

                   

 

ইয়াছিন আরাফাত 

আমার নাম লিলি। আমাদের বাড়ি ছোট্ট রূপালি গ্রামে।  এখানেই আমার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। আমার কাছে আমাদের গ্রামের চেয়ে পৃথিবীতে আর কোন সুন্দর গ্রাম নেই। এখানেই রয়েছে বড় খাল এবং খালের দুপাশে চাষাবাদ করার ফসলি জমি একটু পরেই পাহাড়। এখানে সহজে মাছ, মাংস, শাকসবজি নানা ধরনের ফলমূল সহজেই পাওয়া যায়। এইখানে রয়েছে নান্দনিক শৈলীতে তৈরি ঐতিহ্যবাহী মনরূপা মসজিদ। মসজিদের সামনে বড় পুকুর যেখানে গ্রামের সহজ সরল মানুষ ওযু করে, গোসল করে। পুকুরের চারপাশে রয়েছে নারকেল ও সুপারি গাছ। এখানে আরও রয়েছে রূপালি প্রাথমিক বিদ‍্যালয় ও রূপালি উচ্চ বিদ‍্যালয় এবং বিদ‍্যালয়ের সামনে বড় খেলার মাঠ। এ যেন স্বপ্নের মতো একটা গ্রাম। এখানেই আমার পড়ালেখা স্বাভাবিক ভাবে চলছিল কিন্তু একদিন হঠাৎ করেই বিয়ে দিয়ে দিল। আত্মীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশী তেমন কাউকে ই দাওয়াত দেওয়া হয়নি। বিয়ের রাতে শুধু নানার বাড়ি থেকে নানা ভাই আসছিল। বিয়ের দিন আসরের পর সাজানোর জন‍্য পার্লারে নিয়ে যাওয়া হয়। আমার সাথে গিয়েছিল আমার ছোট বোন কারিমা। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির পরিবার আমাকে আর বাবার বাড়িতে আসতে দেয়নি। পার্লার থেকে সোজা শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। বিয়ের নেই কোনো উত্তেজনা কিংবা নেই কোনো আয়োজন।  আমাকে নিয়ে গিয়ে বসানো হলো একটা রুমে যেখানে একটা থাকার খাট ছাড়া আর কিছুই ছিল না। যাতে আমার আত্মীয়স্বজন আসলে দেখলে বলতে পারেন। বাড়ি থেকে শুধু মেয়েই দিলেন। মেয়ের সাথে কিছু দিলেন না?  শ্বশুরবাড়িতেও তেমন কোনো মেহমান ছিল না। যারা ছিল তারা হলেন আমার স্বামী শফিউলের তিন বোন সুমি,রুমি, সানজিদা,তাদের বাচ্চারা এবং শফিউলের আম্মু। 


মেহমানদের উত্তেজনা না থাকলে কি হবে। শফিউলের মায়ের উত্তেজনা ঠিকই ছিল। কিন্তু তা মেহমানদের খুশি করতে নয়। আমাকে কথা শুনানোর জন‍্য, উত্তেজিত হয়ে বলতেছে চায়ের দোকানদারের মেয়ে আমার বাড়িতে বউ হয়ে আসে কেমনে? 

শফিউলের বোনেরা আমাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলল তোমার শাশুড়ি অসুস্থ মানুষ ওনার কথায় কান দিও না। এশার পর আমার বড় ভাই, আমার জেঠাতো ভাইয়েরা আমাকে দেখতে আসেন। শফিউলের বোনেরা ওদের কে রুম দেখাই দেখাই বলতেছে এইরুমে এটা লাগবে ঐ রুমে ঐটা লাগবে একেকজন একেকটা বলতে লাগল । কিন্তু ওনারা শুনতেই আছেন, কিছু বললেন না। 

আমার ভাইয়েরা রাতে চলে যাওয়ার পরে আশে পাশের বাড়ি ঘর থেকে অনেকে দেখতে আসল এবং কয়েকটা  ভাবি কিছু  সস্তা উপদেশও দিয়ে গেল। আমি চুপ করে বসে রইলাম ।  রাত দশটার পর মানুষের আসা বন্ধ হয়ে গেলে স্বামী রুমে এসে আমার কিছু লাগবে কি'না অসুবিধা হচ্ছে কি'না তা জিজ্ঞেস করে রুম থেকে বেরিয়ে গেল এবং পাঁচ মিনিট পর ওযু করে ফিরে আসল বলল নামাজ পড়বে। নফল নামাজ। জায়নামাজ বিছিয়ে আমাকে বলল আমার শাড়ির আঁচল যেন জায়নামাজের ওপর দিয়। স্বামীর কথা মতো জায়নামাজের পাশে বসে শাড়ির আঁচলটাকে জায়নামাজের ওপরে বিছিয়ে দিলাম। স্বামী শফিউল নামাজ শেষ করে ওঠলে আমিও নামাজ আদায় করে নিলাম। তারপর অনেকক্ষণ গল্প করে ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে গোসল করে আসলে শফিউলের মেজ বোন শাড়ি পড়িয়ে দিল। সকাল নয়টার দিকে শফিউল রেডি হয়ে কোথায় যেন গেল কিছু বলে যায়নি। আমিও আঁক বাড়িয়ে  কিছু জিজ্ঞেস করি নাই। দুপুরের পরে আমার ছোট বোনের জন‍্য জামা নিয়ে হাজির হলেন। বললেন ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিল । ছোট বোনের স্কুল খোলা তাই আসরের পরে তাকে জামা এবং পাঁচশত টাকা দিয়ে গাড়িতে তুলে দিল। আমার সামনে সব ঠিকঠাক ভাবে চলছিল। কিন্তু ভিতরে ভিতরে আমার নামে তাদের মা ও ভাই বোনদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনা চলতেছিল। (2)


কিন্তু আমার স্বামী আমাকে কিছু বলত না। আমাকে নিয়ে যে তাদের অনেক সমস্যা তা আমাকে বুঝতে দিত না। কিন্তু আমি একটু একটু বুঝতে পারছিলাম। আমাদের গ্রামের বিয়ের রীতি অনুযায়ী চার দিন পর আমি আমাদের বাড়িতে চলে আসি এবং আব্বু-আম্মু, ভাই-বোনদের জড়িয়ে ধরে অনেক কান্না করি। ভাইদের  সাথে তাদের বাড়িতে কৌশলে যৌতুকের যে দাবী করেছে তাতে তারা খুবই অসন্তোষ এবং হতাশা গ্রস্থ। তারা এইসব আচরণ বাড়িতে এসে আমার মা-বাবাকে বলেছে এবং আমি যে চারদিন শ্বশুরবাড়িতে ছিলাম ঐচারদিন তারা ভালো করে কেউ খেতে পারে নি। যখন আমি বাড়িতে আসলাম এবং তাদের সাথে করা আচরণ এবং আমার সাথে এই চারদিনে যে আচরণ করেছে এইসব শুনে তারা আমাকে আর শ্বশুরবাড়িতে না পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু আমি তারপরও শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার জন‍্য রাজি ছিলাম। কারণ স্বামী শফিউলের মা এবং তার বোনেরা খারাপ আচরণ করলেও তিনি একটুর জন‍্য হলেও খারাপ আচরণ করে নি। কিন্তু তিনি মা এবং বোনদের প্রচন্ড ভালোবাসতেন এবং তাদের কথা অনুসারে সবকিছু করতেন এবং চলতেন। 


কয়েকদিন পর স্বামী এবং তাদের বাড়ির আত্মীয়স্বজন আমাকে নিতে আসেন। তাদের বাড়ি থেকে আমাকে নিতে আসবে শুনে তাদের জন‍্য বিভিন্ন খাবারের আয়োজন করেন এবং আমার ফুফি ও খালাম্মাদের দাওয়াত করেন। শ্বশুরবাড়ির লোকদের আগে আমার  আত্মীয় আগে চলে আসে এবং আমাদের পরিবার থেকে আমাকে আর শ্বশুর বাড়িতে না পাঠানোর পরিকল্পনা শুনে বিরোধীতা করে এবং নিতে আসলে তাদের সাথে দিয়ে দেওয়ার জন‍্য পরামর্শ দেন। কিন্তু আমার পরিবার আত্মীয়স্বজনের কথা না শুনে আমাকে লুকিয়ে রাখে এবং শ্বশুরবাড়ির লোকদের সামনে না যেতে নিষেধ করে। পরিবারের কথা মত আমাকে চাচার বাড়িতে লুকিয়ে রাখে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন আসলে তাদের ভালো ভাবে আপ‍্যায়ন করেন এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার পরিবেশন করেন। খাবার-দাবার শেষ করে আমি রেডি হয়েছি কি'না জিজ্ঞেস করলে আমার পরিবার আমাকে আর তাদের কাছে মেয়ে পাঠাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন। এই কথা শুনে শ্বশুরবাড়ির লোকজন কিছুক্ষণের জন‍্য স্তব্ধ হয়ে যান। পরে আবার সাড়া বাড়ি হৈচৈ শুরু করে দেন। আমাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন‍্য এইদিক সেদিক আমাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেন। কোথাও না পেয়ে আমার আম্মু এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে জগড়া শুরু করে দেন। আম্মু বলতেছে যারা কথা দিয়ে কথা রাখে না, যারা কিছু চাইবে না বলে আমার মেয়েকে নিয়ে গিয়ে যৌতুকের জন‍্য অত‍্যাচার করে, যারা আমার বাড়ির মানুষকে অপমানিত করে, তাদের বাড়িতে আমি আমার মেয়ে দিতে পারি না। যেখানে বিয়ের চারদিনের ভিতরে আমার মেয়ে অস্বস্তি অনুভব করে, যেখানে আমার মেয়ের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে সেখানে আমার মেয়ে দিতে পারি না। 


সত্যি বলতে বিয়ের আগে শ্বশুরবাড়ির লোকজন যখন আমাকে দেখে তখন তারা কোনো কিছু ছাড়া আমাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন‍্য রাজি হয়ে যায়। তারপরও আমাদের পরিবার থেকে আমাকে তাদের পরিবারে বিয়ে দিতে চাইছিল না। কারণ ইতিমধ্যে আমার জন‍্য অনেক ভালো ভালো বিয়ের সম্বন্ধ এসেছিল শুধু যৌতুক চাওয়ায় বিয়েগুলো ভেঙ্গে যায়। কিন্তু আমার শ্বশুরবাড়ির পরিবার আমার পরিবার থেকে বিয়ে দিবে না শুনে তারা অনেক জোরাজুরি করে আব্বু-আম্মুকে রাজি করাই শুধু তাদের মেয়েকে সাজিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে। আমার বিয়ে তাদের পরিবারে না দেওয়ার জন‍্য আমার চাচার পরিবার থেকে অনেক নিষেধ করেছিল। এমনকি আমার মা-বাবাকে পাগল হয়ে গেছেন নাকি বলে গালি দিয়েছিল। কিন্তু আমার মা-বাবা কারো কথা না শুনেই আমাকে শফিউলের সাথে বিয়ে দেয়ার জন‍্য রাজি হয় যায়। শফিউলের পরিবারও চালাকি করে আমাকে দেখার পরের দিন তাড়াহুড়ো করে তাদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন‍্য জোরালোভাবে চেষ্টা করে এবং সফলও হয়। আমাকে বিয়ের পার্লার থেকেই তাদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এই অল্প সময়ের ভিতরে বিয়ে হয়ে যাওয়ায় আমার পরিবার থেকে তাদের পরিবারে তেমন কিছু দেওয়া সম্ভব হয়নি। তারা চাইনিও। তারা না চাইলেও আমাদের পরিবার থেকে ফার্ণিচার, সমাজের মানুষকে খাওয়ানো সব করত কিন্তু সময় সুযোগের কারণে করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে করার ইচ্ছে থাকার পরেও শ্বশুরবাড়ির অমানুষিক আত‍্যাচার, অযৌক্তিক আবদার আমার পরিবার মেনে নিতে পারে নি।  তাদের অপমান সহ‍্য করতে পারে নি। তাই তাদের পরিবারে আমাকে পাঠাতে আর রাজি হয় নি। এর কিছুদিন পর আমার পরিবার থেকে তাদের বাড়িতে ডিভোর্স পেপার পাঠিয়ে দেওয়া হয় । এরপর আমার মন পুরোপুরি ভেঙ্গে যায়।


 দুঃখে, কষ্টে আগের মতো কোথাও কোন শান্তি পাচ্ছিলাম না। ইচ্ছে করত এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে কিন্তু আল্লাহ্ যে নিজেকে হত্যা করতে নিষেধ করেছেন। দুঃখে, কষ্টে ধৈর্য ধারণ করতে বলেছেন এবং সুসংবাদ দিয়েছেন। আত্মহত্যাকারী যদি জাহান্নামি না হতো তাহলে আমাকে পৃথিবীর কোনো মায়া ধরে রাখতে পারত না। এমন সময় আসল নিজের মতো বাইরে যেতে পারসি না, মানুষদের থেকে কিভাবে নিজেকে লুকিয়ে রাখা যায় সেই চেষ্টা ই করতাম আর নিজের মতো সময় কাটানোর জন‍্য ভালো লাগার কাজ গুলো করার চেষ্টা করতাম। ভালো লাগার কাজগুলোর ভিতরে কবিতা লিখা ছিল একটি। তাই নিজেই নিজেকে নিয়ে কবিতা লিখলাম---


এই যে লিলি,

তোমার পরিবারের জন‍্য নিজের জীবনকে করে দিলা জলাঞ্জলি।

হয়েছো তুমি ভাগ‍্যের করুণ বলি

তোমার নিজের মনে হচ্ছে যেন পৃথিবীর সব কিছুকে এড়িয়ে চলি।

তোমার এমন পরিস্থিতিতে তোমাকে নিয়ে কতজন করতেছে কত দলাদলি।

তোমার নম্র, ভদ্র, অমায়িক স্বভাব দেখে তোমার এমন অবস্থার জন‍্য দুঃখ নিয়ে করতেছে বলাবলি।

অন‍্য দশজনের ন‍্যায় হাসি খুশি ছিল তোমার জীবন,

তোমার আচার-আচরণ, যাবতীয় গুণাবলি দ্বারা রাঙিয়ে ছিলে এই সুন্দর ভুবন।

যাবতীয় খারাপ কাজ থেকে মুক্ত হয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছিলে যৌবন।

এই যে লিলি,

তোমার এমন পরিস্থিতির জন‍্য দায়ী কিছু ভুল,ধয‍্য না ধরা, দম্ভ, অহংকারী ভাব, মানুষকে মানুষ বলে মনে না করা,যে কোনো কিছু  বাইরের অবস্থা দেখে বিচার করা, কিছু টা টাকার প্রতি লোভ।

সবচেয়ে বড় কারণ অনেকটা নিয়তিই দায়ী খুব।

জীবনের স্বাভাবিক গতিপথকে করে ফেলেছে চুপ।

কত শত, হাজার, লক্ষ, কোটি ছেলে বিমোহিত, মুগ্ধ হয়েছে দেখে তোমার ঐ রূপ,

যেই দেখে দেখতেই থাকে, ফেরাতে চাই না চোখ।

হোক না সেই, শিশু, যৌবক, পূর্ণ বয়স্ক কিংবা বৃদ্ধ লোক।

খারাপ নজরে আরো দেখে তোমার ঐ বুক।

তোমাকে পেয়ে পেতে চাই পৃথিবীর খুবই দুর্লভ জিনিস সুখ,

চাইবে না কেউ তুমি কারো হোক।

যতদিন থাকবে তোমার ঐ সৌন্দর্য, সৌন্দর্যের মহিমায় পেতে চাইবে সকল লোক।

তোমার ই সিদ্ধান্ত,সঠিক মানুষ, সঠিক জীবন সঙ্গী বেচে নিতে হবে যতই বাধা বিপত্তি আসুক।

এই যে লিলি,

যদিওবা সেই দুর্দিন চলে গেছে, করতেছ স্বাভাবিক জীবন যাপন।

 করতেছ সঠিক মানুষের অপেক্ষা, কে হবে সেই সত্যিকারের আপন?

যাকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা যায়,যার সাথে নির্দ্বিধায় হওয়া যায় দাফন।

সঠিক মানুষ পেলে বরণ করতেও ভালো লাগবে তোমার মোড়ানো সেই কাফন।



~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

                                  সমাপ্ত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~



আমি ইয়াছিন আরাফাত 

কবি,গল্পকার ও প্রাবন্ধিক

উপ-দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। 

মোবাইল :- 01876729147

ইমেইল :- eashina404@gmail.com

স্বাধীন দেশে করে রেখেছে দূর্বল,

স্বাধীন দেশে করে রেখেছে দূর্বল,

পরাধীন 
ইয়াছিন আরাফাত

স্বাধীন দেশে করে রেখেছে দূর্বল,
অধিকারের কথা বললেই ভালো হয় না ফল।
গণতন্ত্রের দেশে রয়েছে একাধিক দল,
যে-ই আসে ক্ষমতাই, হতে চাই না বদল।
নিজের দল ছাড়া, সব দলকে করে রাখে অচল।
দেশের শাসন ব‍্যবস্থার নাম গণতন্ত্র,
যে আসে সব নিজের করে নে পড়িয়ে দুর্নীতির মন্ত্র।
অধিকার থাকার সত্ত্বেও থাকা যদি না যায় নিজের  দেশে,
থাকলেও ঘুরে বেড়াতে হয় পাগলের ছদ্মবেশে।
নিজের কি কোনো মনুষ্যত্ব জ্ঞান নেই, কেন যেতে হবে অন‍্যের কথায় নেচে?
এতো ই কি উচিত তব পরাধীন ভাবে থাকা বেঁচে?



ইয়াছিন আরাফাত 

কবি,গল্পকার ও প্রাবন্ধিক

উপ-দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। 

মোবাইল :- 01876729147

ইমেইল :- eashina404@gmail.com

সোমবার, জানুয়ারী ২২, ২০২৪

উন্মুক্ত গগনতলে এক নিঃস্ব পথিক

উন্মুক্ত গগনতলে এক নিঃস্ব পথিক

সত্যের সন্ধানে বলিষ্ঠ, সত্য প্রকাশে নির্ভীক

সত্যের সন্ধানে বলিষ্ঠ, সত্য প্রকাশে নির্ভীক... 



ফেরত বিনয়

উন্মুক্ত গগনতলে এক নিঃস্ব পথিক -
কোথা তার চলা,
কীবা তার বলা!
কত মাঠ,বিল ঘাট
যায় ধেয়ে বেয়ে।
আজব ব্যথা পেয়ে নিরেট অধিক।
আশার প্রদীপ নিভে গেছে তার-
আকুতি আর্জি কত,
দ্বারে দ্বারে অবিরত।
ভুখা পেটে তবে হেঁটে
যেন কারে খোঁজে।
হয়তো সুজন কোনো ভয় হারাবার।
এ গাঁয়ের মায়া ভুলিতে ভেজে আঁখি -
তবু যতে হবে,
ভীষণ নিরবে।
আর কোনো বাঁধ
মানবেনা ভোলা!
পড়বেনা কারো মমতার রাখী।
আকুল করা ব্যকুল চিত্ত বটে-
কিঞ্চিৎ কদর নাই,
মন পেল না ঠাঁই।
সকল হেলে ওরে
ধায় অচিনের মোড়ে।
সেথায় আছে সৈ- সমাদর, যাই যাবে যাক ঘটে।
কলমেঃ মুঃ আব্দুল করিম খাঁন

The Daily Search-দৈনিক অনুসন্ধান দৈনিক অনুসন্ধানদৈনিক অনুসন্ধান

 নবীন- প্রবীন লেখীয়োদের প্রতি আহ্বান: সাহিত্য সুহৃদ মানুষের কাছে ছড়া, কবিতা, গল্প, ছোট গল্প, রম্য রচনা সহ সাহিত্য নির্ভর আপনার যেকোন লেখা পৌঁছে দিতে আমাদেরকে ই-মেইল করুন-

➤ editorial.tdse@gmail.com

 লেখার সাথে আপনার নাম ঠিকানা, যোগাযোগ নাম্বার যুক্ত করে দিয়েন - সম্ভব হলে নিজের ছবি + লেখার সাথে মানানসই ছবি। ইংরেজি লেখা পাঠাতে ও এই ই-মেইল টি ব্যাবহার করতে পারেন। 
The Daily Search
The Daily Search

✉️ই-মেইল: editorial.tdse@gmail.com 

- ধন্যবাদ

সত্যের সন্ধানে বলিষ্ঠ, সত্য প্রকাশে নির্ভীক... দৈনিক অনুসন্ধান দৈনিক অনুসন্ধান নবীন- প্রবীন লেখীয়োদের প্রতি আহ্বান: সাহিত্য সুহৃদ মানুষের কাছে ছড়া, কবিতা, গল্প, ছোট গল্প, রম্য রচনা সহ সাহিত্য নির্ভর আপনার যেকোন লেখা পৌঁছে দিতে আমাদেরকে ই-মেইল করুন- ➤ editorial.tdse@gmail.com লেখার সাথে আপনার নাম ঠিকানা, যোগাযোগ নাম্বার যুক্ত করে দিয়েন - সম্ভব হলে নিজের ছবি + লেখার সাথে মানানসই ছবি। ইংরেজি লেখা পাঠাতে ও এই ই-মেইল টি ব্যাবহার করতে পারেন। The Daily Search The Daily Search ✉️ই-মেইল: editorial.tdse@gmail.com - ধন্যবাদ দৈনিক অনুসন্ধান
তোমার প্রতীক্ষায়

তোমার প্রতীক্ষায়



তোমার চলার পথে দাঁড়িয়ে থাকি,
বাউন্ডুলে পথিকের মতো  ইতস্তত ঘুরঘুর করি,
চৈত্রের চাতক; ধূলিমাখা সারাবেলা।
সারসের লম্বা ঠোঁট, কাঁদা খোঁচা পাখি যেমন নদী তটে,
অক্লান্ত তল্লাশি চালায় - প্রতিক্ষীত মীনের খোঁজে।
জলপাইয়ের সবুজ ডালে ধ্যান মগ্ন‌ মাছরাঙার চাইতে
অতিশয় তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে নজর রাখি।
রাডারের দৃষ্টি ভ্রম হতে পারে কিন্তু -
আমার বাজপাখি চোখের শীতল দৃষ্টি এড়িয়ে
তোমার লুকোবার পথ নেই।
কদাচিৎ দেখা মেলে তোমার,
জনাকীর্ণ ষ্টেশনে মূহুর্তের জন্য থামা ট্রেন,
হৃদয়ের স্পন্দন উঠানামা করে;
এর মধ্যেই বেজে ওঠে বেরসিক হুইসেল,
সমগ্র ষ্টেশনের নিস্তব্ধতা গ্রাস করে আমায়।


কলমে: একরামুল হক দীপু
মুরাদপুর, জুড়াইন, ঢাকা
০১৭৯১৫৩৫৩৫৩
১২.১১.২৩

রবিবার, জানুয়ারী ২১, ২০২৪

মানুষ যতই ভাবে ভাবুক     প্রেমে হয় ক্ষত

মানুষ যতই ভাবে ভাবুক প্রেমে হয় ক্ষত

সত্যের সন্ধানে বলিষ্ঠ, সত্য প্রকাশে নির্ভীক

সত্যের সন্ধানে বলিষ্ঠ, সত্য প্রকাশে নির্ভীক... 



মানুষ যতই বলে বলুক

তাছলিমা আক্তার মুক্তা


মানুষ যতই বলে বলুক
দিন দিন প্রেম হয় বাসি
আমি গতকালের চেয়ে তোমায়
আজ বেশি ভালোবাসি ।
মানুষ যতই ভাবে ভাবুক
প্রেমে হয় ক্ষতি ,
প্রেমে সৃষ্টি জগৎ সংসার
প্রেম ছাড়া জীবনের দূর্গতি ।
প্রেমে পড় স্রষ্টার
প্রেমে পড় সৃষ্টির ,
জীবে প্রেম করিলে সংযম হবে তোমার দৃষ্টির ।
ভালুকা, ময়মনসিংহ

The Daily Search-দৈনিক অনুসন্ধান দৈনিক অনুসন্ধানদৈনিক অনুসন্ধান

 নবীন- প্রবীন লেখীয়োদের প্রতি আহ্বান: সাহিত্য সুহৃদ মানুষের কাছে ছড়া, কবিতা, গল্প, ছোট গল্প, রম্য রচনা সহ সাহিত্য নির্ভর আপনার যেকোন লেখা পৌঁছে দিতে আমাদেরকে ই-মেইল করুন-

➤ editorial.tdse@gmail.com

 লেখার সাথে আপনার নাম ঠিকানা, যোগাযোগ নাম্বার যুক্ত করে দিয়েন - সম্ভব হলে নিজের ছবি + লেখার সাথে মানানসই ছবি। ইংরেজি লেখা পাঠাতে ও এই ই-মেইল টি ব্যাবহার করতে পারেন। 
The Daily Search
The Daily Search

✉️ই-মেইল: editorial.tdse@gmail.com 

- ধন্যবাদ

সত্যের সন্ধানে বলিষ্ঠ, সত্য প্রকাশে নির্ভীক... দৈনিক অনুসন্ধান দৈনিক অনুসন্ধান নবীন- প্রবীন লেখীয়োদের প্রতি আহ্বান: সাহিত্য সুহৃদ মানুষের কাছে ছড়া, কবিতা, গল্প, ছোট গল্প, রম্য রচনা সহ সাহিত্য নির্ভর আপনার যেকোন লেখা পৌঁছে দিতে আমাদেরকে ই-মেইল করুন- ➤ editorial.tdse@gmail.com লেখার সাথে আপনার নাম ঠিকানা, যোগাযোগ নাম্বার যুক্ত করে দিয়েন - সম্ভব হলে নিজের ছবি + লেখার সাথে মানানসই ছবি। ইংরেজি লেখা পাঠাতে ও এই ই-মেইল টি ব্যাবহার করতে পারেন। The Daily Search The Daily Search ✉️ই-মেইল: editorial.tdse@gmail.com - ধন্যবাদ দৈনিক অনুসন্ধান

বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩

একটা সকাল ছিল

একটা সকাল ছিল

সত্যের সন্ধানে বলিষ্ঠ, সত্য প্রকাশে নির্ভীক

সত্যের সন্ধানে বলিষ্ঠ, সত্য প্রকাশে নির্ভীক... 



একটা সকাল ছিলো
তীর্থঙ্কর সুমিত
একটা সকাল ছিলো ___
সবুজ কচি ঘাস হেসে উঠতো বইয়ের পাতায়
প্লাটফর্ম ছেড়ে ট্রেন ছুঁটে যেত হাওয়ার গতিবেগে
দারুন ইচ্ছের গতিপথ আমার বিন্দু পেয়ালায়
চা এর স্বাদ অনুভব করতো
আর আমি হারিয়ে যেতাম দিগন্তের বুকে
নীল, সবুজ, লাল
সাদা হতে পারিনি এখনও
তীর্থঙ্কর সুমিত মানকুণ্ডু, হুগলী


দৈনিক অনুসন্ধান
দৈনিক অনুসন্ধান

 নবীন- প্রবীন লেখীয়োদের প্রতি আহ্বান: সাহিত্য সুহৃদ মানুষের কাছে ছড়া, কবিতা, গল্প, ছোট গল্প, রম্য রচনা সহ সাহিত্য নির্ভর আপনার যেকোন লেখা পৌঁছে দিতে আমাদেরকে ই-মেইল করুন-

➤ editorial.tdse@gmail.com

 লেখার সাথে আপনার নাম ঠিকানা, যোগাযোগ নাম্বার যুক্ত করে দিয়েন - সম্ভব হলে নিজের ছবি + লেখার সাথে মানানসই ছবি। ইংরেজি লেখা পাঠাতে ও এই ই-মেইল টি ব্যাবহার করতে পারেন। 
The Daily Search
The Daily Search

✉️ই-মেইল: editorial.tdse@gmail.com 

- ধন্যবাদ

সত্যের সন্ধানে বলিষ্ঠ, সত্য প্রকাশে নির্ভীক... দৈনিক অনুসন্ধান দৈনিক অনুসন্ধান নবীন- প্রবীন লেখীয়োদের প্রতি আহ্বান: সাহিত্য সুহৃদ মানুষের কাছে ছড়া, কবিতা, গল্প, ছোট গল্প, রম্য রচনা সহ সাহিত্য নির্ভর আপনার যেকোন লেখা পৌঁছে দিতে আমাদেরকে ই-মেইল করুন- ➤ editorial.tdse@gmail.com লেখার সাথে আপনার নাম ঠিকানা, যোগাযোগ নাম্বার যুক্ত করে দিয়েন - সম্ভব হলে নিজের ছবি + লেখার সাথে মানানসই ছবি। ইংরেজি লেখা পাঠাতে ও এই ই-মেইল টি ব্যাবহার করতে পারেন। The Daily Search The Daily Search ✉️ই-মেইল: editorial.tdse@gmail.com - ধন্যবাদ দৈনিক অনুসন্ধান
আবার যুদ্ধ হবে

আবার যুদ্ধ হবে

সত্যের সন্ধানে বলিষ্ঠ, সত্য প্রকাশে নির্ভীক

সত্যের সন্ধানে বলিষ্ঠ, সত্য প্রকাশে নির্ভীক... 



আবার যুদ্ধ হবে

সাঈদুর রহমান লিটন
আবার যুদ্ধ হবে স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধ সকাল বিকাল সন্ধ্যায়,
যে কোন সময়।
বিবেক তাড়িত করে যাবে স্রোতের মতো,
মানুষের হ্রদয় ভেঙ্গে যাবে নদীর পাড়ের মতো উপলব্ধি জাগ্রত হবে তুফান বেগে,
স্বাধীনতা কাকে বলে জানিয়ে দিবে প্রকৃতি,
প্রকৃতির হাত ধরে উদযাপন করবো বিজয় দিবস ফুল ও ফুলেল হয়ে উঠবে দেশ,
আমি তুমি, আমরা পাখির মতো বিচরণ করবো,
এই মাটি, এই বায়ু, এই আলো সবার এই চলার পথের সবাই সহযাত্রী,
এই ষোল তারিখ কারো নিজস্ব নয়,
কারো একার রক্তের নয়, কারো পৈত্রিক সম্পত্তি ও নয়,
ষোল তারিখ রক্ষা করার দায়িত্ব সবার,
ষোল তারিখের মূলমন্ত্র, মূল চেতনায় জাগ্রত হওয়ার মানসেই যুদ্ধ হবে,
সেই যুদ্ধে আমি ও সৈনিক হব।

জগন্নাথদী,ব্যাসদী গাজনা, মধুখালী, ফরিদপুর


দৈনিক অনুসন্ধান
দৈনিক অনুসন্ধান

 নবীন- প্রবীন লেখীয়োদের প্রতি আহ্বান: সাহিত্য সুহৃদ মানুষের কাছে ছড়া, কবিতা, গল্প, ছোট গল্প, রম্য রচনা সহ সাহিত্য নির্ভর আপনার যেকোন লেখা পৌঁছে দিতে আমাদেরকে ই-মেইল করুন-

➤ editorial.tdse@gmail.com

 লেখার সাথে আপনার নাম ঠিকানা, যোগাযোগ নাম্বার যুক্ত করে দিয়েন - সম্ভব হলে নিজের ছবি + লেখার সাথে মানানসই ছবি। ইংরেজি লেখা পাঠাতে ও এই ই-মেইল টি ব্যাবহার করতে পারেন। 
The Daily Search
The Daily Search

✉️ই-মেইল: editorial.tdse@gmail.com 

- ধন্যবাদ

সত্যের সন্ধানে বলিষ্ঠ, সত্য প্রকাশে নির্ভীক... দৈনিক অনুসন্ধান দৈনিক অনুসন্ধান নবীন- প্রবীন লেখীয়োদের প্রতি আহ্বান: সাহিত্য সুহৃদ মানুষের কাছে ছড়া, কবিতা, গল্প, ছোট গল্প, রম্য রচনা সহ সাহিত্য নির্ভর আপনার যেকোন লেখা পৌঁছে দিতে আমাদেরকে ই-মেইল করুন- ➤ editorial.tdse@gmail.com লেখার সাথে আপনার নাম ঠিকানা, যোগাযোগ নাম্বার যুক্ত করে দিয়েন - সম্ভব হলে নিজের ছবি + লেখার সাথে মানানসই ছবি। ইংরেজি লেখা পাঠাতে ও এই ই-মেইল টি ব্যাবহার করতে পারেন। The Daily Search The Daily Search ✉️ই-মেইল: editorial.tdse@gmail.com - ধন্যবাদ দৈনিক অনুসন্ধান