উইকিপিডিয়া লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
উইকিপিডিয়া লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, অক্টোবর ২৩, ২০২৩

গাজীপুর

গাজীপুর

গাজীপুর হলো গাজীপুর জেলার একটি শহর। এটি ঢাকার সন্নিকটে অবস্থিত। অনেকগুলো ভারী এবং মাঝারি শিল্প এলাকা নিয়ে এই শহর গড়ে উঠেছে। দেশের সর্ববৃহৎ ফসল গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এ জেলায় অবস্থিত। এছাড়াও এখানে সরকারি বেসরকারি অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।



গাজীপুর জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। অবস্থানগত কারণে এটি বাংলাদেশের একটি বিশেষ শ্রেণীভুক্ত জেলা। ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সংশ্লেষে কালোত্তীর্ণ মহিমায় আর বর্ণিল দীপ্তিতে ভাস্বর অপার সম্ভাবনায় ভরপুর গাজীপুর জেলা। মোগল-ব্রিটিশ-পাকিস্তান আমলে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে গাজীপুরের রয়েছে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ মহান মুক্তিযুদ্ধের সূচনা পর্বে গাজীপুরেই সংঘটিত হয় প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধযুদ্ধ। গাজীপুরে রয়েছে জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সদর দপ্তরসহ ১৯টি কেপি আই, ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়, ২টি ক্যান্টনমেন্ট ও দেশের একমাত্র হাইটেক পার্কসহ বহু সংখ্যক সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ক্ষুদ্র/মাঝারী ও ভারী শিল্পকারখানা সহ দেশের তৈরী পোশাক শিল্পের বিরাট অংশ। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সিটি কর্পোরেশন, যার আয়তন ৩৩০ বর্গ কিঃমিঃ। গাজীপুরের মধ্যেই দেশের ৭৫ শতাংশ গার্মেন্টস শিল্প অবস্থিত। মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্বীকৃত একমাত্র জাতীয় উদ্যান ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান ও এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় সাফারি পার্ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক গাজীপুরে অবস্থিত। বাংলাদেশের একমাত্র টাকশাল বা টাকা তৈরির কারখানা, যেখানে দেশের সকল টাকা তৈরি করা হয় তা গাজীপুরে অবস্থিত। বাংলাদেশের একমাত্র অস্ত্র তৈরির কারখানাও গাজীপুরে অবস্থিত। বাংলাদেশের ১৩টি কেন্দ্রীয় কারাগারের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার গাজীপুরে অবস্থিত। গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ তুলা গবেষণা ইন্সটিটিউট অবস্থিত। এছাড়াও বাংলাদেশের একমাত্র সমরাস্ত্র কারখানা গাজীপুর জেলায় অবস্থিত। 
উইকিপিডিয়া

উইকিপিডিয়া

উইকিপিডিয়া
একটি উন্মুক্ত বিশ্বকোষ, যা সবাই সম্পাদনা করতে পারে।

উইকিপিডিয়া হলো সম্মিলিতভাবে সম্পাদিত, বহুভাষিক, মুক্ত প্রবেশাধিকার, মুক্ত বিষয়বস্তু সংযুক্ত অনলাইন বিশ্বকোষ যা উইকিপিডিয়ান বলে পরিচিত স্বেচ্ছাসেবকদের একটি সম্প্রদায় কর্তৃক লিখিত এবং রক্ষণাবেক্ষণকৃত। স্বেচ্ছাসেবকরা উন্মুক্ত সহযোগিতার মাধ্যমে এবং মিডিয়াউইকি নামে একটি উইকি -ভিত্তিক সম্পাদনা ব্যবস্থা ব্যবহার করে। এটি ধারাবাহিকভাবে সিমিলারওয়েব এবং পূর্বে আলেক্সা কর্তৃক র‍্যাঙ্ককৃত ১০টি জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলির মধ্যে একটি; ২০২৩-এর হিসাব অনুযায়ী উইকিপিডিয়া বিশ্বের ৫ তম জনপ্রিয় সাইট হিসেবে স্থান পেয়েছে।ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সালে, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায় উইকিপিডিয়া সমস্ত ওয়েবসাইটের মধ্যে বিশ্বব্যাপী পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছে, "মাসিক প্রায় ১৮ বিলিয়ন পৃষ্ঠা প্রদর্শন এবং প্রায় ৫০০ মিলিয়ন স্বতন্ত্র পরিদর্শক রয়েছে। উইকিপিডিয়ায় ইয়াহু, ফেসবুক, মাইক্রোসফট এবং গুগলের পথানুসরণ করে, সর্বাধিক ১.২ বিলিয়ন স্বতন্ত্র পরিদর্শক রয়েছে।

উইকিপিডিয়া

উইকিপিডিয়া ওয়ার্ডমার্ক
একটি মুক্ত বিশ্বকোষ
উইকিপিডিয়ার প্রতীক, বিভিন্ন লিখন পদ্ধতির অক্ষর সমন্বিত একটি গ্লোব


স্ক্রিনশট
বাংলা উইকিপিডিয়া প্রধান পাতা
সাইটের প্রকার
ইন্টারনেট বিশ্বকোষ
উপলব্ধ৩৩৫টি ভাষায়
মালিকউইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন
প্রস্তুতকারকজিমি ওয়েলসল্যারি স্যাঙ্গার[১]
স্লোগানমুক্ত বিশ্বকোষ যা যে কেউ সম্পাদনা করতে পারেন
ওয়েবসাইটwikipedia.org
অ্যালেক্সা অবস্থাননেতিবাচক বৃদ্ধি ১৩ (বৈশ্বিক, ফেব্রুয়ারি ২০২০)[২]
বাণিজ্যিকনা
নিবন্ধনঐচ্ছিক[নোট ১]
ব্যবহারকারী>২,৮৭,৪১৪ সক্রিয় সম্পাদক[নোট ২] এবং >১১,০৩,১৪,৬৯০ নিবন্ধিত সম্পাদক
চালুর তারিখ১৫ জানুয়ারি ২০০১; ২২ বছর আগে
বর্তমান অবস্থাসক্রিয়
বিষয়বস্তুর লাইসেন্স
সিসি অ্যাট্রিবিউশন / শেয়ার-আলাইক ৩.০
এছাড়াও অধিকাংশ লেখা জিএফডিএল ডুয়াল লাইসেন্সের অধীনে, মিডিয়া লাইসেন্সকরণ পরিবর্তিত হয়।
প্রোগ্রামিং ভাষাল্যাম্প প্ল্যাটফর্ম[৩]
ওসিএলসি সংখ্যা52075003

উইকিপিডিয়া উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন কর্তৃক হোস্টকৃত, যা একটি আমেরিকান অলাভজনক সংস্থা যা মূলত অনুদানের মাধ্যমে অর্থায়ন করে।

১৫ জানুয়ারি ২০০১ সালে জিমি ওয়েলস এবং ল্যারি স্যাঙ্গার উইকিপিডিয়া চালু করেন। উইকি এবং এনসাইক্লোপিডিয়ার মিশ্রণ করে স্যাঙ্গার এর নামটি তৈরি করেছিলেন। প্রাথমিকভাবে এটি ইংরেজিতে উপলব্ধ ছিল। পরবরতীতে একটি পিন্ডারিশব্দে উইকি (এটি সম্মিলিত ওয়েবসাইটের এক প্রকার নাম, হাওয়াইয়ান ভাষায় "হাঁটা") এবং বিশ্বকোষ। 'উইকি উইকি' মানে দাঁড়িয়ে ছোট-ছোট পায়ে হাঁটা। উইকি ওয়েব সংস্কৃতিতে সবার ছোট-ছোট অবদান যুক্ত হয়েই এই সাইটটির মত ক্রমবর্ধমান সংগ্রহে গড়ে ওঠে। বর্তমানে এটি সব থেকে বড় এবং সর্বাধিক জনপ্রিয় ইন্টারনেট ভিত্তিক তথ্যসূত্র হিসাবে ব্যবহার হয়।

ইংরেজি উইকিপিডিয়ার প্রতিষ্ঠার পর ধীরে ধীরে অন্যান্য ভাষায় উইকিপিডিয়ার দ্রুত বিকাশ করা হয়। উইকিপিডিয়া সম্প্রদায় বিশ্বব্যাপী সম্মিলিতভাবে ৩৩২টি ভাষার উইকিপিডিয়ায় প্রায় ৪০০ লক্ষ নিবন্ধ রচনা করেছেন, যার মধ্যে শুধুমাত্র ইংরেজি উইকিপিডিয়াতেই রয়েছে ৬৬ লক্ষের অধিক নিবন্ধ। উইকিপিডিয়াতে প্রায় প্রতি মাসে ২ বিলিয়ন বার প্রদর্শিত হয় এবং প্রতি মাসে ১৫ মিলিয়নেরও বেশি সম্পাদনা (প্রায় গড়ে প্রতি সেকেন্ডে ৫.৭ টা সম্পাদনা) করা হয় (জানুয়ারি ২০২৩-এর হিসাব অনুযায়ী)।২০০৬ সালে, টাইম ম্যাগাজিন বলে যে কাউকে সম্পাদনা করার অনুমতি দেওয়ার নীতি উইকিপিডিয়াকে "বিশ্বের বৃহত্তম (এবং সেরা) বিশ্বকোষ" করে তুলেছে।


উইকিপিডিয়া ওয়েবসাইট উন্মুক্ত প্রকৃতির হওয়ায় এখানে লেখার মান,ধ্বংসপ্রবণতা এবং তথ্যের নির্ভুলতা রক্ষা করতে বিভিন্ন উদ্যোগ পরিচালিত হয়ে থাকে।তবে, কিছু নিবন্ধে অপরীক্ষিত বা অযাচাইকৃত বা অসঙ্গত তথ্য থাকতে পারে। উইকিপিডিয়া জ্ঞানের গণতন্ত্রীকরণ, কভারেজের পরিধি, অনন্য কাঠামো, সংস্কৃতি এবং বাণিজ্যিক পক্ষপাত হ্রাস করার জন্য প্রশংসিত হয়েছে। আবার এটি পদ্ধতিগত পক্ষপাত প্রদর্শনের জন্য সমালোচিত হয়েছে, বিশেষ করে নারীর প্রতি লিঙ্গ পক্ষপাত এবং কথিত আদর্শগত পক্ষপাতিত্বের জন্য। ২০০০-এর দশকে উইকিপিডিয়ার নির্ভরযোগ্যতা প্রায়শই সমালোচিত হয়েছিল, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এটি হ্রাস পেয়েছে, কারণ উইকিপিডিয়া সাধারণত ২০১০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ২০২০-এর দশকের শুরুতে প্রশংসিত হয়েছে।