উইকিপিডিয়া উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন কর্তৃক হোস্টকৃত, যা একটি আমেরিকান অলাভজনক সংস্থা যা মূলত অনুদানের মাধ্যমে অর্থায়ন করে।
১৫ জানুয়ারি ২০০১ সালে জিমি ওয়েলস এবং ল্যারি স্যাঙ্গার উইকিপিডিয়া চালু করেন। উইকি এবং এনসাইক্লোপিডিয়ার মিশ্রণ করে স্যাঙ্গার এর নামটি তৈরি করেছিলেন। প্রাথমিকভাবে এটি ইংরেজিতে উপলব্ধ ছিল। পরবরতীতে একটি পিন্ডারিশব্দে উইকি (এটি সম্মিলিত ওয়েবসাইটের এক প্রকার নাম, হাওয়াইয়ান ভাষায় "হাঁটা") এবং বিশ্বকোষ। 'উইকি উইকি' মানে দাঁড়িয়ে ছোট-ছোট পায়ে হাঁটা। উইকি ওয়েব সংস্কৃতিতে সবার ছোট-ছোট অবদান যুক্ত হয়েই এই সাইটটির মত ক্রমবর্ধমান সংগ্রহে গড়ে ওঠে। বর্তমানে এটি সব থেকে বড় এবং সর্বাধিক জনপ্রিয় ইন্টারনেট ভিত্তিক তথ্যসূত্র হিসাবে ব্যবহার হয়।
ইংরেজি উইকিপিডিয়ার প্রতিষ্ঠার পর ধীরে ধীরে অন্যান্য ভাষায় উইকিপিডিয়ার দ্রুত বিকাশ করা হয়। উইকিপিডিয়া সম্প্রদায় বিশ্বব্যাপী সম্মিলিতভাবে ৩৩২টি ভাষার উইকিপিডিয়ায় প্রায় ৪০০ লক্ষ নিবন্ধ রচনা করেছেন, যার মধ্যে শুধুমাত্র ইংরেজি উইকিপিডিয়াতেই রয়েছে ৬৬ লক্ষের অধিক নিবন্ধ। উইকিপিডিয়াতে প্রায় প্রতি মাসে ২ বিলিয়ন বার প্রদর্শিত হয় এবং প্রতি মাসে ১৫ মিলিয়নেরও বেশি সম্পাদনা (প্রায় গড়ে প্রতি সেকেন্ডে ৫.৭ টা সম্পাদনা) করা হয় (জানুয়ারি ২০২৩-এর হিসাব অনুযায়ী)।২০০৬ সালে, টাইম ম্যাগাজিন বলে যে কাউকে সম্পাদনা করার অনুমতি দেওয়ার নীতি উইকিপিডিয়াকে "বিশ্বের বৃহত্তম (এবং সেরা) বিশ্বকোষ" করে তুলেছে।
উইকিপিডিয়া ওয়েবসাইট উন্মুক্ত প্রকৃতির হওয়ায় এখানে লেখার মান,ধ্বংসপ্রবণতা এবং তথ্যের নির্ভুলতা রক্ষা করতে বিভিন্ন উদ্যোগ পরিচালিত হয়ে থাকে।তবে, কিছু নিবন্ধে অপরীক্ষিত বা অযাচাইকৃত বা অসঙ্গত তথ্য থাকতে পারে। উইকিপিডিয়া জ্ঞানের গণতন্ত্রীকরণ, কভারেজের পরিধি, অনন্য কাঠামো, সংস্কৃতি এবং বাণিজ্যিক পক্ষপাত হ্রাস করার জন্য প্রশংসিত হয়েছে। আবার এটি পদ্ধতিগত পক্ষপাত প্রদর্শনের জন্য সমালোচিত হয়েছে, বিশেষ করে নারীর প্রতি লিঙ্গ পক্ষপাত এবং কথিত আদর্শগত পক্ষপাতিত্বের জন্য। ২০০০-এর দশকে উইকিপিডিয়ার নির্ভরযোগ্যতা প্রায়শই সমালোচিত হয়েছিল, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এটি হ্রাস পেয়েছে, কারণ উইকিপিডিয়া সাধারণত ২০১০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ২০২০-এর দশকের শুরুতে প্রশংসিত হয়েছে।