বুধবার, জানুয়ারী ১০, ২০২৪

সুন্দরবনের অঞ্চলে এক নিম্মমধ্যবিত্ত ঘরে জন্ম নিলো এক শিশু

কর্ণফুলীর ঘাট

-রাজিন হাসান রাজ



সালটা ১৯৭২,
১৯ ডিসেম্বর,
আর ১০ টা দিনের মতই যাচ্ছিলো দিন টা।এমন সময় সুন্দরবনের অঞ্চলে এক নিম্মমধ্যবিত্ত ঘরে জন্ম নিলো এক
শিশু। গায়ের বর্ণ অত্যাধিক কালো থাকায় তার বাবার মুখ থেকে বের হয়ে গেলো কালু। সেই থেকে তার নাম রাখা
হলো কালু।যদিও ভালো নাম মাফি।শরীরের বর্ণ কালো হওয়া সর্ত্বেও তার চেহারার যে আশ্চর্য মায়া সেইটা সে যত বড়
হতে থাকল তত তার মুখে ফুটে উঠতে থাকলো। তার ৭-৮ বছরে অপরিচিত তাকে দেখে তার নাম শোনেনি বা কাছে
ডাকেনি এমন খুব কম মানুষ ই ছিলো। সে যেমন ই হোক, এখনো যুদ্ধবিদ্ধস্ত থেকে নাম সরাতে পারেনি
বাংলাদেশ। এদিক ওদিক করে কোনো রকমে সংসার চলছিলো তাদের কারন বাবা যে চাকরি হারিয়েছেন
মুক্তিযোদ্ধা দের খাবার দেয়ার জন্য। এর মাঝেই পরিবারের নতুন অতিথি হাজির। তাতে তেমন একটা
বিচলিত না হলেও মাফির বাবা সিদ্ধান্ত নিলো সে মাওয়ালী দের সাথে মধু আহরণে যাবে বনের দিকে। প্রথম
প্রথম সবাই মানা করলেও জীবনের তাগিদ এ এটা সবার মেনে নিতেই হলো। মাফি তার বাবার দ্বিতীয়
সন্তান তার একটা বড় ভাই ও আছে যার নাম রাফি। মাফি হবার সময় সে তার বাবার সাথেই ছিলো বরংচ
মাফি নামের থেকে কালু নাম ধরে ডাকতেই যেনো রাফি বেশি সাচ্ছন্দ বোধ করত। ৬ বছরের ছোট মাফি কে
খুব ই ভালোবাসত রাফি।
মাফি বড় হয়ে স্কুলে যাওয়া ও শুরু করে রাফির সাথে। সব ই ঠিক চলছিলো। হঠাৎ একদিন ঘটল এক অঘটন
রাফি ও মাফি সবে স্কুল থেকে ফিরেছে। এসে শুনতে পেলো যে তার বাবারা ৪ জন তাদের বনে গিয়েছিলো
তাদের সবার উপর বাঘ আক্রমণ করেছে।২ জন মারা গেছে তার মাঝে রয়েছে মাফির বাবা ও ।মাফি ঠিক ভাবে
বুঝতে না পারলেও রাফি ঠিকই সব বুঝে ফেলল। অঝরেই কানছে সে। তাদের মা ও যেনো থামতে চাইনা
কোনো মতে এদিকে অবুঝ মাফি তখনো ঠাওর করে উঠতে পারছে না আসলে এরা কি করছে।
কয়েকদিন পর টানাপড়ন লাগলো সংসারে। ২বেলা খাবার জুটানো ও দায়। এমন সময় মাফির দুরসম্পর্কের
খালা তাদের বাড়ি আসলো। তাদের অবস্থা দেখে মাফির মা কে বললো”আপা তুই আমার সাথে চাটগাঁও
চল।ওহানে আমি যে কাম করি তরেও নিয়া নিবোনে মালিক রে কইয়া। আর এই রাফি ও ত বড় হইছে ওর ও
এক ব্যাবস্থা আমি করমুনে। তুই চল আমার সাথে।” ইচ্ছা না থাকা সত্তেও যেতে হলো তাদের বন্দর নগর
চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রাম যেয়েই কাজ পেলো মাফির মা। মাফি তার মায়ের সাথে থাকতে পারলেও রাফি থাকতে পারলনা
তাদের সাথে। রাফির স্থান হলো কর্ণফুলীনদীর ধারে ঘাটে। বন্দর এর জাহাজের হিসাব নিকাশ রাখে সে।খুব
বড় কাজ সে করেনা কারন বয়স ত তার খুব বেশি না।

কয়েক বছর পর, ১৩ বছর বয়স হলো মাফির এখন অনেকটায় বড় সে। কিন্তু বদলে গেছে তার সকল চিন্তা
ধারা। সরল মায়ারুপী মাফির মনে এখন অনেক মন্দচিন্তা কাজ করে।এটা মূলত তার একা থাকার ফল। মা
সকালে যাই রাতে আসে মাফি কি করল কি খেলো এটা নিয়ে ভাবার খুব একটা সময় মাফির মা পাইনা।
বেশিভাগ সময় ই মাফি ঘুমানোর পর তার মা আসে আর সে ঘুম থেকে ওঠার আগেই তার মা চলে যাই।
এতদিনে ভালোই বন্ধু বানিয়েছে মাফি। মা আর ভাই এর টাকার সুবাদে লেখাপড়া এক ছোট স্কুলে তার
চলছিলো। কিন্তু নানারকম উদ্ভট কারনে তাকে প্রায় ই বিভিন্ন শাস্তির সম্মুখীন হতে হয়। এই ধরেন
একদিন এক বব্ধুর নাক মুখ সে বেধে রাখলো। তার বন্ধুও সরল মনে তার কাজে সাহায্য করলো সবাইকে সে
বললো এক ধরনের খেলা খেলার জন্য সে এমন করছে। পরে জানা যাই মাফি আসলে জানতে চেয়েছিলো নাক
মুখ বন্ধ রাখলে কতক্ষন একজন বেচে থাকতে পারে। বুঝতেই পারছেন এর পরিনাম নিশ্চিত মৃত্যু ছাড়া কিছু
হতে পারত না। আবার একদিন এক বন্ধুর মাথার পিছনে আঘাত করে দেখলো সত্যি সত্যি মাথায় আঘাত
করলে অজ্ঞান হয় কিনা। সেযাত্রায় কেও আশেপাশে না দেখায় তাকে কেও সন্দেহ করেনি। কিন্তু যার
মাথায় আঘাত করেছিলো তার অবস্থা ছিলো গুরুতর। যত দিন যাই মাফি যেনো তত পাগলামি করতে থাকে।
তার এই পাগলামি বাড়তেই থাকে।
এরপর ঘটে গেলো আরেক অঘটন। কাজ করে আসার সময় সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ গেলো মাফির মায়ের। মাফি
তখনো তেমন কিছুই উপলব্ধি করতে পারেনি যতক্ষন না ওর খাবার আর প্রতিদিন কার চালচলনে পার্থক্য
আসল। এরপর যেনো মাফির পাগলামি আরো দ্বিগুন বেড়ে গেলো। রাফি অনেক কষ্টে হলেও মাফির স্কুলের
খরচ চালাচ্ছিলো। কিন্তু হঠাৎ একদিন রাফিকে স্কুল থেকে ডেকে পাঠালো। রাফি যেয়ে দেখলো মাফি
প্রধান শিক্ষক এর কক্ষে এক কোনায় দাঁড়িয়ে আছে আর একটা লোক উদ্যস্ত হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে মাফি কে
মারার জন্যে। রাফি জিজ্ঞেস করলে জানা গেলো আজ সে আরেক বন্ধু কে মেঝে তে শুইয়ে দিয়ে তার বুকের
উপর উঠে লাফ দিছে ফলে মাফির বন্ধুর বুকের পাজরের হাড় ভেঙে গেছে। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিতে
হয়েছে তাকে। যার ফলস্বরুপ মাফিকে স্কুল থেকে বের করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রাফি খুব অনুনয়
বিনয় করলেও কোনো কাজ হলো না। মাফি কে স্কুল থাকে বের করে দিলো।রাফি ও ওইদিন খুব রাগ করলো
মাফির উপর। মাফি কে আর স্কুলে পাঠাবে না বলে সিদ্ধান্ত ও নিলো।
রাফি মাফিকে তার ঘটের মালিকের কাছে নিয়ে গেলো যেনো তিনি মাফিকে একটা কাজ দেন। রাফি অনেক
ভালো ছেলে হওয়ায় রাফির কথায় মালিক মাফি কে একটা কাজ দিলো সেটা হলো ঘাটের নৌকার যাত্রীদের
থেকে টাকা আদায় করা।মাফি ও কোনো সমস্যা না করে কাজ করতে থাকলো। কিন্তু প্রতিদিন ই কিছু
পরিমানে টাকা সে সরিয়ে রাখত। সেই টাকা দিয়ে মাফি ও তার আশে পাশের ছেলেরা নেশা জুড়ে দিত। ১৫ বছর
বয়সেই নেশার দুনিয়াই গেলো সে। তবে সেই টাকা চুরির বিষয় টা ও আর গোপন থাকল না। মালিকের কাছে
হাতে নাতে ধরা খেলো। অনেক মারল সেদিন মালিক মাফিকে। এমন মার মাফি তার জীবনে কখনো খাইনি । সে
মনে মনে মালিক যে খুন করার চিন্তা করল। মালিক তখন মাফিকে ঘাট থেকে বের করে দিলেন। মাফি খুব
চেষ্টা করল মালিক কে মারার কখনো ছুরি নিয়ে চুপিসারে যেতে গিছে আবার মালিকের গাড়ির টায়ারে পেরেক
পুতে রেখে গুলতি দিয়ে মালিক কে মারার অনেক প্রচেষ্টা সে করেও বিফল। এদিকে রাফির অনুরধে মাফির
আবার কাজের ঠিকানা হলো সেই ঘাট। কাজটা এবার ভিন্ন পাথর বোঝাই নৌকার হিসাব রাখা টাই হলো
এখানে মুল কাজ। এদিকে মালিক তেমন আসেও না আর এখান থেকে টাকা চুরির সম্ভাবনাও নেই তাই ভেবে
মালিক এই কাজ দিলেন মাফি কে। তাই বলে মাফির মন থেকে মালিক কে খুন করার কথা যায়নি।
নতুন কাজে যোগ দিলেও মাফির বুদ্ধির কাছে হার মানতে হতো সবাইকে। একে একে মাফির সাথে কাজ করা
অনেকেই কাজে যাওয়া বন্ধ করতে লাগলো কারন মাফি থাকাকালীন তাদের কোনো কাজ করতে হতোনা
বললেই চলে। মাফি ও এর একটা সুবিধা নিলো। যখন কেও থাকেনা তখন মাফি নৌকার হিসাব করেনা। যেমন
যদি ৫ টা নৌকা ঘাটে আসে সে ৩ টা নৌকার হিসাব দেই বাকি ২ টা নৌকার পাথর সে নিজের গোপন জায়গায়
রাখার ব্যাবস্থা করে সেখান থেকে সে নিয়মিত বাজার মুল্যের থেকেও কম মুল্যে পাথর বিক্রি করে। এভাবে
জমতে থাকে মাফির টাকা। এভাবে চলতে চলতে সে নৌকা গোনার কাজ থেকে নিজে পাথর ব্যাবসায়ী তে নাম
লেখায়।

এবার ও ধরা পড়ে গেলো মাফি। তবে মালিকের কাছে না। এক কর্মচারির কাছে। নাম শহিদ মোল্যা। সে বুঝে
গেলো মাল চুরি হচ্ছে। আর সেই মাল বিক্রি করছে মাফি। আর তার থেকেই সে নাম লিখিয়েছে পাথর
ব্যাবসায়। শহিদ মোল্যা সোজা যাই মাফির কাছে। সব বলে সে এবার যে মালিক এর কাছে বলে তার
আজীবনের জন্যে চাকরি টা খাবে এটা মাফি খুব বুঝতে পারে। পিছনে ফিরে ২ পা এগোতেই পাথর দিয়ে শহিদ
মোল্যার মাথায় বড় এক পাথর দিয়ে আঘাত করে মাফি। বুঝে ওঠার আগে জ্ঞান হারায় শহিদ মোল্যা। কেও
নেই আর ঘাটের পাশে। কিন্তু একটা নৌকা আসছে তখন ঘাটের দিকে। সেদিকে খেয়াল গেলো মাফির কি
করবে বুঝতে পারছেনা সে। দ্রুত একটা পাথরের সাথে দড়ি বেশি শহিদ মোল্যার নিথর দেহের সাথে বেধে
খরস্রোতা কর্ণফুলীনদীতে ফেলে দেই মাফি। নদীগর্ভে চলে যায় শহিদ মোল্যার দেহ। এই প্রথম কাওকে
মারল মাফি। ভয়ে বুক কাপছে তার। নৌকা ঘাটে আসলো পাথর নামালো কিন্তু তেমন কোনো সমস্যা হলোনা
মাফির। নিজেই যতটুকু ভয় পেয়েছে ওইটুকুই। এদিকে সন্ধ্যায় বাড়ি যাওয়ার সময় দেখলো সবাই মিলে শহিদ
মোল্যাকে খুজছে একজন মাফির কাছে শুনলো শহিদ বুড়ো রে দেখছে কিনা মাফি মাথা নাড়িয়ে না বোধক
উত্তর দিয়ে বাসায় চলে গেলো।বাসায় এসে অনুতাপের থেকে বরং নিজের এমন কাজে আরো খুশি হলো মাফি।

এভাবে তার হাতে প্রাণ যাই জমির সরদার আর হাকিম মোল্যার। ব্যাবস্থা একটায় পাথর বেধে নদীর
গভীরে। খুনের পাশাপাশি নিজের অবৈধ ব্যাবসার খাতিরে সে গুছিয়ে নিলো তার নিজের এক দল। অপরাধমুলক
কাজে এগিয়ে যেতে থাকলো মাফি। এভাবে বাড়তে বাড়তে কিশোর দের নেতা হয়ে উঠলো মাফি। হবেই না বা
কেনো নিজের টাকায় কে ই বা এমন ভাবে অন্যের পিছে খরচ করে? এর মাঝে হলো আরেক কাহিনী কর্ণফুলী
এলাকার বড় চাদাবাজ মসিউল মাস্তান এসে গেলো মাফির কাছে চাদা নিতে বললো ”বহুত ফ্রি ফ্রি ব্যাবসা ত
করছস এবার মোর যে দাবী সেইডা পূরণ কর ত বাপ। ” কিন্তু মাফি চাদা দিতে রাজি হলো না। এভাবে কথা
কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হলো। এদিকে হাতাহাতি দেখে মাফির সাথের কিশোর রা খেপে গিয়ে
এলোপাথাড়ি ছুরি মারল মসিউল কে। মসিউল বুঝে ওঠার আগেই তার নিথর দেহ লুটিয়ে পড়ল মাটিতে। মাফি
একটু মুচকি হাসলো আর বুঝলো এই ছেলেগুলো তার জন্যে সব করতে পারে। মাফির থেকে যেনো ওরাই সব
থেকেবেশি ভয় পেলো। মাফি অভয় দিলো আর বললো কিভাবে পাথর দিয়ে বেধে নদীতে ফেলতে হবে। ওরা তাই
ই করলো। এবার মাফির আত্মবিশ্বাস আরো বেড়ে গেলো। রাতারাতি সে বনে গেলো এলাকার চাঁদাবাজ দের
প্রধান। এক কথায় চাদাবাজ দের বাপ যাকে বলে আর কি।
 তবে মাফি নামের থেকে কালু ভাই নামে পরিচিত হলো মাফি বেশিই। রাফি সব সময় ই ত মাফি কে
কালু বলেই ডাকত। চাদাবাজ আর সন্ত্রাসী তে যেনো মাফি এখন একচ্ছত্র অধিপতি। তার ধারের
কাছে ঘেষার মত তেমন কেও নেই। এভাবে মাফির সাথে থাকা ছেলেরা শুরু করল ছিনতাই। মাফির
সাথে থাকা এক ছেলে নাম মনির ।মাফি তারে মনি বলেই ডাকত। একদিন এক লোকের থেকে ছিনতাই
করতে যেয়ে খুব আহত হয়। লোকটা ত ছিলো পুলিশ সিম্পল পোশাকে ছিলো কিন্তু কাছে ছিলো
পিস্তল। ছুরি গলাই ধরার সাথেই গুলি চালাই পুলিশ টা। মনির ও কম না ছুরি টা চালায় দেই গলায়।
শেষ! মুহুর্তেই মারা গেলো লোকটা। গুলিটাও যে মনিরের পেটের ভিতর দিয়ে গেছে খুব সুস্থ সে না।
এভাবেই কোনো ভাবে মাফির কাছে গেলো মনির।মাফি দেখেই বলে ”কিরে মনি তোর এমন হাল হলো
কিভাবে! কে মেরেছে তোরে এভাবে?” মনির বললো ”সে ও নেই যে কালু ভাই। হা হা হা...” বলেই
অজ্ঞান হয়ে গেলো মনির। মাফি মনির কে নিয়ে হাসপাতালে যেয়ে ভর্তি করল। আসার সময় মাফি
দেখলো রাস্তায় একটা দেহ পড়ে আছে। আর একটা ছুরি আর পিস্তল ছুরি দেখেই মাফির আর কিছু
বুঝতে বাকি নেই। নিজ হাতেই লাশ টার সে ব্যাবস্থা করল। পাথর বেধে নদীতে। এরপর মনি হয়ে
উঠলো মাফির এক আপন জনের মত। ভাই এর থেকেও কাছের মানুষ হয়ে গেলো মনির। এরপর
চাঁদাবাজি আর ছিনতাই এর দায়িত্ব পড়ল মনিরের উপর। এদিক টা সেই ই সামলায়। মাফির নজর
গেলো আরো উপরে। এবার তার নজর পুরো ঘাটের উপর। ঘাটের কাছে যেতেই মালিকের সাথে দেখা।
সালাম দিলো মাফি মালিক উত্তর না দিয়েই বলে উঠলো “এই শুয়ারের বাচ্চা, এখানে কি কাজ তোর?
আবার চুরির মতলব আছে নাকি! হা হা হা... ” মাফি হেসে বললো “অনেক হইছে মালিক বয়স ত কম
হইনি আপনের এবার ঘাট ছাড়েন আমাদের ও সুযোগ দেন” শুনে মালিক রাগান্বিত হলো আর দিলো
মাফির মুখে এক চড়। মালিকের সাথে থাকা লোক গুলো ও মারতে গেলো মাফিকে। এদিকে মনির আর


তার সংগীরা খেপে গেলো সবাই হাতের ছুরি বের করে রাখলো। কেও বুঝে ওঠার আগেই মাফি
পিস্তলবের করে গুলি চালিয়ে দিলো মালিকের মাথায়। ব্যাস কি দিয়ে কি হলো কেও বুঝে উঠলো না।
মনির ও হাক দিয়ে উঠে একে একে মালিকের সাথে থাকা সবাইকে ছুরি দিয়েই মেরে ফেললো।
গুনে গুনে ২১ জন কে মেরেছে তারা। মাফি আর মনির দুইজন ই একটু মুচকি হাসলো। মনির আর তার সঙ্গীরা
জানত লাশগুলো কি করতে হবে তাই ই হলো। মাফি এখন ঘাট মালিক। মনিররা সবাই বলে উঠলো “মালিক।

আমাদের কালু ভাই। আমাদের মালিক। আমাদের ঘাট মালিক। ” সবাই বড় একটা চিৎকার দিলো মালিক
বলে।এভাবে ঘাটের সব অধিকার এখন মাফির। মাফির ভয়ে এলাকার কেও ই চোখ তুলে ও ঘাটের দিকে
তাকায়না। বরং সবাই মাফির নাম নিয়েই পুরো শহরে ব্যাবসা করতে থাকলো। ঘাট থেকে মাফি ধীরে ধীরে হয়ে
উঠলো পুরো শহরের কালু ভাই। মাফির সুবাদে রাফি কেও ভয় পেত সবাই। কিন্তু এদিকে রাফি সাধাসিধা
জীবন যাপন করে। বিয়ে করে ১ টি মেয়েও হয়েছে তার। এসব নিয়েই সুখে আছে সে। ঘাট মালিক কে মারার
খবর তখন পুরো শহর জুড়ে সেটা পৌছালো রাফির কানেও। রাফি ছুটে গেলো মাফির কাছে। রাফি অনেক
অনুনয় বিনয় করলো যেনো সে এসব বাদ দেই। কিন্তু কিছু হয়না। মাফি কারো কথায় শুনেনা। অবশেষ এ
মাফি রাফি কেও খুন করার হুমকি দিলো। রাফি কিছু করার নেই বুঝেই সেখান থেকে প্রস্থান করলো।
এদিকে লোকমুখে ছড়িয়ে পড়লো ঘাট মালিক এর কথা। পুলিশ এর এবার টনক নড়লো। পুলিশ এর একটি দল ও
নির্বাচন করা হলো। তারা নেমে পড়লো তথ্য বের করার জন্য। কিন্তু হায় এ কি একটা মানুষ ও মুখ খুললো
না। কেও ই মাফির বিরুদ্ধে কিছু বলতে রাজি নয়। পুলিশ পুরো নিরাশ হয়ে গেলো। এ সময় নান্নু মিয়া যে কিনা
সাবেক ঘাট মালিক এর ছোট ভাই সে রাজি হলো সাক্ষী দিতে। পুলিশ ও বসে বসে তার সাক্ষাত নিতে লাগলো।
কিন্তু এ কথা মাফির কান এ যেতে খুব সময় লাগলো না। মাফির কিছু বলার আগেই মনির উঠে চলে গেলো।
আবার খুন এবার জোড়া খুন পুলিশ সাক্ষী দুইটায়। লাশ দুইটা কোনো ক্রমে ঘাটে এনেই নদীতে পাথর বেধে
ডুবিয়ে দিলো তারা। তাদের সাথেই ডুবে গেলো সব প্রমান। এরপর থেকে মানুষের মনের অবস্থা আরো
ভয়ংকর । কেও বিন্দুমাত্র মুখ খুলতে চাইনা মাফির বিরুদ্ধে। পুলিশ এবার উঠে পড়ে লেগেছে প্রমান
সংগ্রহে কিন্তু ফলাফল শুন্য। এদিকে জাকির পেশায় সাংবাদিক একটা সাপ্তাহিক পত্রিকার সাংবাদিক সে।
সে সব বিষয় ই জানতে পারলো। সে বুঝতে পারলো সরাসরি মাফির বিরুদ্ধে লেখা কখনোই ভালো ফল হবেনা।
কিন্তু সে ও যে থেমে থাকার মত মানুষ না। অনেক বাঘা বাঘা মাস্তান ও তার কিছুই করতে পারেনি। কিছু না
বুঝেই সে রিপোর্ট করে ফেললো। কিন্তু সে ও বুদ্ধি করে কাজ করলো। পত্রিকার শিরোনাম দিলো “২৫ টি
মানুষ উধাও”। খবর সেটা ত আর মাফির আড়াল হয়নি। মাফি পাঠালো মনির কে। মনির যেয়ে দেখলো জাকির
তখনি পুলিশ পাহারায়। যেনো সে সব ই জেনে রেখেছিলো।মাফি ও কিছু ভুলে যাওয়ার মত লোক না। এভাবে ৩
দিন গেলো। জাকির এক কাজে বাইরে বের হলো বের হবার একটু পরেই একটা গাড়িতে করে তুলে আনা হলো
জাকির কে। মনির এর খুব ইচ্ছা ছিলো যেনো তখনি জাকির কে মেরে ফেলে। কিনতু তার কালু ভাই বলছে
সাংবাদিক কে জ্যান্ত চাই। সে দেখতে চাই সাংবাদিক এর বুকের ভিতরের কলিজা টা কত বড়! নিয়ে যেয়ে
রাখা হলো মাফির পাথরের গোডাউনে সেখানে সাক্ষাত মাফি উপস্থিত। সাংবাদিক এখনো জানেনা কি হতে
চলেছে। মাফি হুকুম দিলো জাকির এর হাত পা চারিদিকে ধরে রাখতে যেনো নড়তে না পারে। তারপর জাকির
এর উপরে উঠে সে লাফাতে শুরু করলো আর জোরে জোরে হাসতে লাগলো। ওদিকে মড়মড় করে জাকির এর
পাজরের হাড় ভাংতে লাগলো। সাথে সাথেই একটা ছুরি দিয়ে বুক চিরে ফেলে কলিজা বের করে আনলো মাফি।
এনেই বললো ”এইটুকু কলিজা নিয়ে আমারে চ্যালেঞ্জ করে এ। এ মনি ফেলে দিয়ে আয়।” এই বলে থুঃ শব্দ
করে মাফি চলে গেলো। মনির লাশটা ডুবিয়ে দিলো পাথর বেধে। কর্ণফুলীনদীর গর্ভে লাশের পর লাশ জমে
চলেছে।
একদিন মাফি ঘাটেই আছে বসে বসে ভাবছে বয়স এখন মোটে ২৪ এখনি কত বড় সম্রাজ্য তার। হঠাৎ ঘাটে
দাঁড়িয়ে থাকা এক মেয়ের দিকে নজর আটকালো মাফির। যেনো আকাশ থেকে নেমে আসা কোনো পরী। নজর
সরাতে পারলো না । মনি সেইটা খেয়াল করলো। মনির যেয়ে মাফি কে বললো কি ব্যপার ভাই। মাফি মেয়েটির
দিকে দেখিয়ে মনির কে ভাবি বলে ডাকতে বললো। তখনি মনির নজর আটকালো মেয়েটির সাথে থাকা
আরেকটি মেয়ের উপর। যেনো দুইজন মিলে দুইজন এর প্রেমে ডুব সাতার কাটছে। হঠাৎ মাফি বলে উঠলো

কর্ণফুলী

কর্ণফুলীর ঘাট



“কিরে মনি, ভাবির নাম জানার ইচ্ছা নাই নাকি!” মনির দৌড়ে গেলো আর তাদের নাম শুনলো তারা উত্তর
দিলো একজনের নাম মুন্নি আর আরেকজনের মনিরা। তো মুন্নি কে পছন্দ করলো মাফি। মনিরা কে মনিরের।
মনির ত এখন সারাদিন মনিরার কথক ভেবে দিন কাটাই দেই। নামের ও কত সুন্দর মিল তাদের। যেনো
তাদের মিল হবেই। অন্য দিকে মাফির হাল ও তাই। কিন্তু মনিরের ব্যাপার টা মাফির অজানা ই থেকে গেলো।
এদিকে মাফি প্রতিদিন কথা বলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ ।কোনোভাবে মেয়ের সামনে যেয়ে যেনো দাড়াতে
পারেনা। সে ক্ষেত্রে মনির দূত হয়ে যাই। কিন্তু মুন্নি বলে যে ভালোবাসে সে না বলা পর্যন্ত সে কোনো
ভাবেই এসব নিয়ে কথা বলবে না। কিন্তু ততদিনে মনির আর মনিরার মধ্যে ভালোলাগা শুরু হয়ে গেছে। দুইজন
ই দুজন কে ভালোবাসে। এবার মনির মাফিকে বললো যে মাফি ছাড়া কোনো ভাবেই আর সম্ভব না। তখন মাফি
নিজে গেলো। আর মুন্নি মাফি কে দেখে যেনো মন খারাপ করে উঠলো। অনেক টা রেগেও গেলো সে।
কোনোভাবেই মাফি কে বিয়ে করত্র রাজি নয় মুন্নি। আরো মাফির সম্পর্কে না জেনেই মাফিকে অপমান
করলো মুন্নি। অপমান গুলো যেনো মাফির কাছে কাটার মত বিধলো। মাফি কাওকে কিছু বললো না। রাতে মাফি
মনির কে বললো মুন্নি আর মনিরা কে তুলে আনতে। মনির অনেকটা খুশি মনেই কিছু বুঝে উঠতে না পেরেই
তুলে আনলো দুজন কে। আনার পর মাফি নিজের হাতে ছুরি দিয়ে দুইজন কে খুন করলো। মনিরের মাথায় যেনো
বাজ পড়লো। মনির বুঝতে পারছে না কি হলো। কিছু বলতেও পারছেনা। সে হতবাক হয়ে গেলো। কিন্তু কিছু
বলার নাই। মাফি হুংকার দিলো “মনি, এদের ফেলে দে নদীতে।” মনির ওদের নিয়ে গেলো প্রথমে মুন্নি কে
পাথর বেধে ডুবিয়ে দিলো। এবার মনিরা। অজান্তেই কাদছে মনির পানি গড়িয়ে পড়ছে চোখ বেয়ে। সে ডুবালো
না মনিরার লাশ। মাটি খুড়লো কবর দিলো মনিরা কে। নিজেই দু হাত তুললো দোয়া পড়ল যেনো মনিরা শান্তিতে
থাকে।
পুলিশ এর উপর অনেক চাপ। তবুও কেও মাফির দিকে হাত দিতে চাই না। কারন কারোর ই জান হারাবার ইচ্ছা
নাই। তারা আগেই ১ জন কে হারিয়েছে। কোনো কিছু করতে না পারাই বদলী হয়ে যাচ্ছে সব অফিসার। নতুন রা
এসেও কিছু করতে পারছে না। নতুন যারা আসছে তারাও ভয়ে গুটিয়ে থাকছে। তখনি দুজন অফিসার আবার
যোগ দিলো সেখানে। দুজনেই খুব সাহসী। দুজন ই লেগে পড়লো প্রমান খোজার কাজে কিন্তু কোনো মতেই
কোনো প্রমান তাদের হাতে আসেনা। অপরদিকে মাফি জড়িয়ে পড়ে রাজনীতি তে। সবার থেকে যেনো ২৪
বছরের এই যুবক টার অনেক ক্ষমতা হবেইনা বা কেনো তার উপরে যে কথা বলার কেও নেই। পুলিশ ও থমকে
গেছে। এমন অবস্থায় মাফি সিদ্ধান্ত নেই নির্বাচন এ দাড়ানোর। এদিকে মাফির লোকজন খুব খুশি
অন্যদিকে পুলিশের মাথায় হাত। কারন মাফি ভোটে জিতবেই এটা তারা জানত। কারন তার বাইরে যেয়ে
কাওকে ভোট দেয়া ত দূরে থাক। তার বিরুদ্ধে দাড়ানোর মত সাহস ও কারো নাই। দুই অফিসার আসিফ ও
শাকিল উঠে পড়ে লাগলো তথ্য প্রমান সংগ্রহে কিন্তু হাতে ত কিছুই আসেনা। যে যার মত সর্বোচ্চ চেষ্টা
চালিয়ে গেলো কিন্তু কোনো কিছুতেই কোনো কাজ হলো না। এর মাঝে হঠাৎ আসিফ অসুস্থ হয়ে পড়ল।
কয়েকদিন ধরে কোনো কাজে মন দিতে পারেনা। সে ছুটি নিলো। কিন্তু এদিকে শাকিল থেমে নেই সে তার স্থান
থেকে চেষ্টা করেই যাচ্ছে। এবার মাফির কানে গেলো পুলিশ এর কথা রাতে বাড়ি ফেরার সময় মটরসাইকেল
থেকে ফেলে দিয়ে তাকে হত্যা করে মাফি। তার পরিনতি ও এক ই পাথর বেধে পানিতে ডুবিয়ে দিলো সে। এবার
এ বিষয় টা একটু বড় আকারেই নাড়া দিলো পুলিশ ডিপার্টমেন্ট এ। আসিফ এবার উঠে পড়ে লাগলো কিন্তু
বরাবরের মত কোনো লাভ নেই। এবার ঘটলো অবাক এক ঘটনা রাফি এসে হাজির আসিফ এর বাসায়। সে সব
বললো আসিফ কে কিভাবে মাফির সব কাহিনী। আসিফ সাহেব সব শুনলেন এবং রাফি কে বললেন মাফি যেনো
আত্মসমার্পণ করতে। মাফি যে এটা কখনোই করবে না সেইটা রাফি আগে থেকেই জানত। কিন্তু এভাবে ত
কাওকে ধরা সম্ভব না কারন মাফি একবার বের হলে সে আসিফ কেও ছাড়বেনা এতে কোনো সন্দেহ নাই।

কিন্তু এমন সাক্ষী কোথায় পাবে। রাফিকে বিদায় দিয়ে সারারাত ভাবল আসিফ কিন্তু কোনো ভাবেই সে কি
করবে বুঝছে না। এভাবে রাতে না ঘুমিয়েই রাত পার করলো আসিফ।
আসিফের কথা টাও মাফির থেকে সরিয়ে রাখা যায়নি। মাফি জেনে গেলো মনির কে পাঠালো আসিফ কে নিয়ে
আসার জন্য। যাওয়ার সময় গোপনে মনিরার কবর জিয়ারত করলো মনির। চলে গেলো সোজা আসিফের
বাসায়। আসিফ প্রথমে অনেক টা ভয় ই পেলো। নিজের পিস্তল টা খুজতে লাগলো আসিফ। মনির নির্ভয় দিয়ে

বললো “স্যার, ভয় পাবেন না। আমি আপনাকে সাহায্য করবো আমি সব কমু কালু ভাইয়ের সব কথা কমু।
আপনি আমারে আটকাইয়েন না।” শুনে আসিফ কিছুটা থতমত খেয়ে গেলো। এ যেনো মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি।
আসিফ বললো “আমি তোমারে বিশ্বাস করব কেনো?” মনির বললো “ও যে আমার মনিরা রে ও মাইরে
ফ্যালছে স্যার।” বলেই হু হু করে কান্না শুরু করে দিলো মনির। আসিফ মনির এর থেকে সব শুনলো।ওইদিকে
রাত হয়ে যাওয়ার পর ও মনির এর কোনো খবর নাই। মাফির খুব চিন্তা হলো। মাফি দল নিয়ে গেলো
আসিফের বাসায় কিন্তু তত সময়ে আসিফ মনির কে নিয়ে চট্টগ্রাম পার হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে
গেছে। মাফির মনির কে নিয়ে খুব টেনশন হলো। রাত কাটলো পরের দিনের পত্রিকায় মনিরের সব
সিকারোক্তি তুলে দেয়া। মাফির যেনো দুনিয়া ওলট পালট হয়ে গেলো। কিছুক্ষনের মধ্যেই মাফির পুরো
আস্তানা ঘিরে ফেললো পুলিশ। পালানোর কোনো উপায় নাই। মাফি তার পিস্তল দিয়ে কিছুক্ষন গুলি ছুড়লেও
তাতে কোনো লাভ হয়নি। মাফি আর তা দল ধরা পড়ল পুলিশের কাছে। পত্রিকায় খবর প্রকাশ হবার পরেই
সারা দেশ জুড়ে আন্দোলন শুরু হয়ে গেলো মাফির ফাসির জন্যে। অবশেষে মাফির রায়ের দিন আসলো।
রায় হলো “ফাসি”। এটা ত হবার ই ছিলো। শেষ সময়ে মনির গেলো মাফির সাথে দেখা করতে। তাদের কিছু
কথোপকথন
মনিরঃ কালু ভাই আমারে মাফ কইরেন। আমার আর কিছু করার ছিলোনা।
মাফিঃ মাইনষে কখনো কিছু বুইঝা করে নারে। করার পর যহন বুঝে তহন আর ঠিক করার সময় থাহেনা। তুই
ই দেখ কইদিন ভালা থাকবার পারস।
মনিরঃ কালু ভাই এমনে কইয়েন না আমারে ক্ষমা কইরেন।আমি মনিরারে অনেক ভালাবাইসে ফেলছিলাম
ভাই।
মাফিঃ আমারে ত একবারের লাইগা কইতে পারতি।
মনিরঃ ভাই আমি সব কইতেই চাইলাম কিন্তু আপনেই তারে দুনিয়া থেকে সরাই দিলেন।
মাফিঃ মাইনষে এই দুনিয়ার না রে,দুনিয়া ও এইসব মাইনষের না।
মনিরঃ আমারে মাফ কইরেন ভাই। [কান্না জুড়ে দিলো মনির]
মাফি একটু মুচকি হাসলো যেমন টা সে খুন করার পর লাশ দেখে হাসত। মনির বুঝতে পারলো এই হাসির মানে।
কিছুক্ষন পরেই যে নিজেই লাশ হবে কালুভাই।
১৮ ডিসেম্বর রাত ১১.৫৯ আর কিছুক্ষণ পরেই ১২.০১ এ ফাসি হবে।
১৯ ডিসেম্বর ১৯৯৭
ফাসি হলো। একটুও কাতরালো না বাচার আকুতি করল না কালু ভাই। পাপের বোঝা হয়ত বেশিই ছিলো তাই
আর নড়াচড়ার সুযোগ পাইনি সে। অফিসার আসিফ নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।
উদ্ধার হলো নদীর তলদেশ তুলে আনা লাশ।
মনির এর ১০ বছর এর জেল হলো।মনির এর একটায় দাবি ছিলো মনিরা রে যেনো ওইখান থেকে তুলে গোসল
করায়ে জানাজা পড়ায়ে আবার কবর দেই।
পরিসমাপ্তি ঘটল কালুভাই এর জীবন কাহিনী এর।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios:

দৈনিক অনুসন্ধান
সত্যের সন্ধানে বলিষ্ঠ দৈনিক অনুসন্ধান, সত্য প্রকাশে নির্ভীক...