সারাদেশ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সারাদেশ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ১৮, ২০২৫

আমাদের সমাজের বাস্তবতা

আমাদের সমাজের বাস্তবতা


আজকের এই সংখ্যার প্রচ্ছদে তুলে ধরা হয়েছে সমাজের সেই প্রতিচ্ছবি, যেখানে উজ্জ্বল স্বপ্নের পাশাপাশি অদৃশ্য সংগ্রাম, প্রত্যাশা ও বাস্তবতার কাহিনী লুকিয়ে রয়েছে। আধুনিকতার ঝলক, প্রযুক্তির স্নিগ্ধ আলো এবং উন্নয়নের উচ্ছ্বাসের মাঝে, আমাদের সমাজের গভীরে যে নানান দিক বিরাজমান – তা তুলে ধরা হয়েছে এক নিষ্পাপ প্রশ্নবিদ্ধ চিত্রে।

লেখক তৌফিক সুলতান স্যার এর লেখা সমূহ ||Writer Taufiq Sultan Sir's writings || Writer Towfiq Sultan Sir's writings ||كتابات الكاتب توفيق سلطان سير ||作家陶菲克·苏丹先生的著作 ||作家 Towfiq Sultan Sir の著作 ||Écrits de l'écrivain Towfiq Sultan Sir ||Yazar Towfiq Sultan Sir'in yazıları ||लेखक तौफीक सुल्तान सर की रचनाएँ || Al Towfiqi, Welftion CEO, আল তৌফিকী পরিবার, হাউজ অফ আল তৌফিকী, ওয়েল্ফশন নগরী,Welftion CEO,House Of Al Towfiqi, News,খবর,সংবাদ, লেখক, কবি,লেখা

কিছু মুহূর্তের প্রতিফলন:

  • উদ্বেগ ও উদ্যমের মিশেলে: আমাদের সমাজে পরিবর্তনের ধারাকে ছুঁয়ে চলছে তরুণদের উদ্দীপনা, যেখানে নতুন ধারণা ও সৃজনশীলতা প্রতিদিনই নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে।
  • আশা ও সংগ্রামের কাহিনী: প্রত্যেকের জীবনে রয়েছে অজানা কষ্ট ও সংগ্রাম, তবে সেই অন্ধকারের মাঝে যখন দেখা যায় এক নতুন সুর্যের আলো, তখনই হয় সমাজের পুনর্জাগরণের আশ্বাস।
লেখক তৌফিক সুলতান স্যার এর লেখা সমূহ ||Writer Taufiq Sultan Sir's writings || Writer Towfiq Sultan Sir's writings ||كتابات الكاتب توفيق سلطان سير ||作家陶菲克·苏丹先生的著作 ||作家 Towfiq Sultan Sir の著作 ||Écrits de l'écrivain Towfiq Sultan Sir ||Yazar Towfiq Sultan Sir'in yazıları ||लेखक तौफीक सुल्तान सर की रचनाएँ || Al Towfiqi, Welftion CEO, আল তৌফিকী পরিবার, হাউজ অফ আল তৌফিকী, ওয়েল্ফশন নগরী,Welftion CEO,House Of Al Towfiqi, News,খবর,সংবাদ, লেখক, কবি,লেখা

খেলাধুলা

খেলাধুলা কেবল প্রতিযোগিতা নয়; এটি একটি জীবনের রণভূমি, যেখানে শারীরিক ও মানসিক শৃঙ্খলা, দলবদ্ধতার মাধুর্য ও সহিষ্ণুতার বার্তা প্রতিফলিত হয়। ক্রীড়াঙ্গনে আজ তরুণদের উদ্দীপনা, নতুন রণকৌশল ও সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে এক অনন্য ক্রীড়া সংস্কৃতি, যা সমাজের একতা ও স্বাস্থ্যসম্মত জীবনধারাকে উৎসাহিত করে।


লেখক তৌফিক সুলতান স্যার এর লেখা সমূহ ||Writer Taufiq Sultan Sir's writings || Writer Towfiq Sultan Sir's writings ||كتابات الكاتب توفيق سلطان سير ||作家陶菲克·苏丹先生的著作 ||作家 Towfiq Sultan Sir の著作 ||Écrits de l'écrivain Towfiq Sultan Sir ||Yazar Towfiq Sultan Sir'in yazıları ||लेखक तौफीक सुल्तान सर की रचनाएँ || Al Towfiqi, Welftion CEO, আল তৌফিকী পরিবার, হাউজ অফ আল তৌফিকী, ওয়েল্ফশন নগরী,Welftion CEO,House Of Al Towfiqi, News,খবর,সংবাদ, লেখক, কবি,লেখা


সারাদেশ

দেশের প্রত্যেক প্রান্ত থেকে তুলে ধরা হয়েছে আজকের বাস্তবতা, যেখানে শহর ও গ্রাম, মহানগর ও প্রত্যন্ত অঞ্চল—সব মিলিয়ে একটি সমবায়ের গল্প বলে।

  • উন্নয়নের নতুন অধ্যায়: আধুনিক প্রযুক্তি ও পরিবর্তিত চিন্তাধারা প্রতিটি কোণে প্রবেশ করছে, যেখানে দেশের প্রত্যন্ত প্রান্তেও উন্নতির সুর বাজে।
  • মানবতার মিলনস্থল: সমাজের প্রতিটি শ্রেণী, প্রতিটি প্রাণ—সবাই একসাথে মিলেমিশে গড়ে তুলছে একটি নতুন, সুশাসিত ও মানবিক সমাজের স্বপ্ন।

এই প্রচ্ছদ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, সমাজের বাস্তবতা শুধু একটি ছবি নয়, বরং প্রতিদিনের ছোট ছোট পরিবর্তনের এক অনবদ্য সমাহার। খেলাধুলা থেকে শুরু করে সারাদেশের প্রতিটি কোণে যেখানে মানবতার অঙ্গীকার ও সংগ্রাম ফুটে উঠছে, সেখানে আমাদের প্রত্যেকের অবদান অপরিহার্য। আসুন, আমরা সবাই মিলে সেই নতুন দিনের স্বপ্নকে আরো সুদৃঢ় করে তুলি—একটি মানবিক, উদ্দীপনাময় ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ার লক্ষ্যে।

সোমবার, ফেব্রুয়ারী ১৭, ২০২৫

চিকিৎসা সেবায় সহজলভ্যতা ও উন্নয়ন জরুরি: জনগণের মৌলিক অধিকার

চিকিৎসা সেবায় সহজলভ্যতা ও উন্নয়ন জরুরি: জনগণের মৌলিক অধিকার

পত্রিকায় প্রকাশিত লেখক তৌফিক সুলতান স্যার এর লেখা,Towfiq Sultan Sir,المؤلف توفيق سلطان السير نشر في جريدة توفيق سلطان السير,Author Towfiq Sultan Sir published in the newspaper, Towfiq Sultan Sir,চিকিৎসা সেবায় সহজ ও উন্নয়ন জরুরি 


 – বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হলো সাধারণ মানুষের জন্য সহজ ও উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা। শহর ও গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসা সেবার মধ্যে বিরাট বৈষম্য রয়েছে, যা দ্রুত সমাধানের প্রয়োজন। চিকিৎসার উচ্চ ব্যয়, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব, দক্ষ চিকিৎসকের সংকট, এবং সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের অসংগঠিত ব্যবস্থাপনা—সব মিলিয়ে জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্যসেবায় বিদ্যমান সমস্যা

🔹 সরকারি হাসপাতালে জনসাধারণের চাপ – অধিকাংশ মানুষ সরকারি হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল, কিন্তু পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবে চিকিৎসা পাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
🔹 প্রাইভেট চিকিৎসার উচ্চ ব্যয় – বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসার ব্যয় সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
🔹 গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসা সংকট – দুর্গম এলাকায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও আধুনিক চিকিৎসা সুবিধার অভাব রয়েছে, ফলে অনেক সময় রোগীরা সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হন।
🔹 অতিরিক্ত ওষুধ ও পরীক্ষা নির্ভরতা – অপ্রয়োজনীয় মেডিকেল পরীক্ষা ও ওষুধের অতিরিক্ত প্রেসক্রিপশন অনেক রোগীর জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।
🔹 স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব – অনেক মানুষ এখনো স্বাস্থ্য সচেতন নয়, ফলে রোগ প্রতিরোধের চেয়ে চিকিৎসার উপর নির্ভরতা বেশি দেখা যায়।

সম্ভাব্য সমাধান ও উন্নয়নের পথ

সরকারি হাসপাতালের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ – জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আধুনিক হাসপাতাল স্থাপন এবং চিকিৎসকদের পর্যাপ্ত নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
কম খরচে মানসম্মত চিকিৎসা ব্যবস্থা – প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকের চিকিৎসা ব্যয় সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে আনার জন্য সরকারকে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
টেলিমেডিসিন ও ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধি – অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার ব্যবস্থা আরও সহজ করতে হবে, যাতে গ্রামাঞ্চলের মানুষ সহজেই সেবা পেতে পারে।
বিনামূল্যে ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি – বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ বাড়াতে হবে।
স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানো – বিভিন্ন প্রচারণার মাধ্যমে সাধারণ জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা তৈরি করতে হবে, যাতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।

উপসংহার

চিকিৎসা সেবায় সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা একটি মৌলিক অধিকার। সরকার, বেসরকারি সংস্থা এবং চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সবার সম্মিলিত উদ্যোগে সুলভ, উন্নত ও আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে প্রতিটি মানুষ নির্ভরযোগ্য স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে। জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত না হলে জাতীয় উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হবে। তাই এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

ডেল্টা টাইমস

ডেল্টা টাইমস

ডেল্টা টাইমস মতামত:

ডেল্টা টাইমস, একটি স্থানীয় বা জাতীয় সংবাদ মাধ্যম হিসেবে, সাধারণত সাধারণ জনগণের উদ্বেগ ও সমস্যা তুলে ধরতে এবং সরকারের নীতি ও কর্মকাণ্ডে পরিবর্তন আনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম হতে পারে যা জনগণের জন্য প্রাসঙ্গিক এবং সময়োপযোগী খবর সরবরাহ করে।

পত্রিকায় প্রকাশিত লেখক তৌফিক সুলতান স্যার এর লেখা,Towfiq Sultan Sir,المؤلف توفيق سلطان السير نشر في جريدة توفيق سلطان السير,Author Towfiq Sultan Sir published in the newspaper, Towfiq Sultan Sir, 


যেমন, দ্বীপাঞ্চলে ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে রিপোর্ট করা হলে, এটি পাঠকদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছে দিতে পারে। সংবাদপত্রটি সঠিকভাবে এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে প্রতিবেদনের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের সমস্যা তুলে ধরার কাজ করতে পারে। সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এসব বিষয় যাতে দ্রুত সমাধান হয়, তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারে ডেল্টা টাইমসের মতামত।

এছাড়া, সংবাদপত্রটি স্থানীয় মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারে, তাদের আইনি অধিকার ও সরকারি সুবিধা সম্পর্কে জানাতে পারে। এইভাবে, এটি শুধুমাত্র সংবাদ প্রকাশের কাজেই সীমাবদ্ধ না থেকে জনগণের সমস্যার সমাধান খোঁজার একটি মাধ্যম হতে পারে।

মোটকথা, ডেল্টা টাইমসের মতামতটি জনগণের জন্য একটি উদ্দীপক এবং শিক্ষামূলক প্রচেষ্টা হতে পারে, যা সমাজের বিভিন্ন সমস্যা এবং সেগুলোর সমাধানে একটি শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে।



চিকিৎসা সেবা: গুরুত্ব এবং বর্তমান চ্যালেঞ্জ

চিকিৎসা সেবা বা স্বাস্থ্যসেবা একটি সমাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে এবং বিভিন্ন রোগ ও অস্বাস্থ্যকর অবস্থার মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। চিকিৎসা সেবা জনগণের শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। আধুনিক চিকিৎসা সেবা যেমন হাসপাতাল, ক্লিনিক, চিকিৎসক এবং নার্সদের অবদান ছাড়া আমরা কোনোভাবেই সুস্থ থাকতে পারব না। তবে, বর্তমানে নানা কারণে চিকিৎসা সেবার মান এবং প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

চিকিৎসা সেবার গুরুত্ব

  1. রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা: চিকিৎসা সেবা রোগের সঠিক নির্ণয় ও চিকিৎসার মাধ্যমে জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে। নানা ধরনের জটিল রোগের চিকিৎসা ও প্রতিকার পেতে চিকিৎসকের পরামর্শ অত্যন্ত জরুরি।

  2. প্রতিরোধ ব্যবস্থা: চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সচেতনতা সৃষ্টি করে, এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করেন। উদাহরণস্বরূপ, টিকাদান, স্বাস্থ্য শিক্ষা, এবং প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান।

  3. মানসিক স্বাস্থ্য: চিকিৎসা সেবা শুধুমাত্র শারীরিক রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে না, বরং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতা ইত্যাদির চিকিৎসাও গুরুত্বপূর্ণ। এটি ব্যক্তির সামগ্রিক সুস্থতা নিশ্চিত করে।

বর্তমান চ্যালেঞ্জসমূহ

  1. চিকিৎসা সেবার অভাব: দেশের অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসা সেবা প্রাপ্যতা নেই। গ্রামীণ এলাকাগুলিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে, যার ফলে রোগীরা সঠিক সময় চিকিৎসা নিতে ব্যর্থ হয়।

  2. অর্থনৈতিক অক্ষমতা: অনেক মানুষ চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় খরচ বহন করতে অক্ষম। স্বাস্থ্য খাতে যথেষ্ট সরকারি খরচ না থাকায় অনেক দরিদ্র জনগণ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়।

  3. মানবসম্পদ সংকট: চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের অভাবও একটি বড় সমস্যা। অনেক অঞ্চলে চিকিৎসকরা অনেক বেশি সময় কাজ করতে বাধ্য হন, যা তাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় প্রভাব ফেলতে পারে।

  4. সুস্থতা ও স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব: অনেক ক্ষেত্রেই জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব দেখা যায়, যার ফলে সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া হয় না। কিছু লোক রোগের শুরুতেই চিকিৎসক দেখাতে না গিয়ে, চিকিৎসা বিলম্বিত করে এবং এর ফলে স্বাস্থ্য পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে পড়ে।

সমাধান

  1. স্বাস্থ্যসেবায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি: সরকারের উচিত স্বাস্থ্য খাতে আরো বেশি বাজেট বরাদ্দ দেওয়া, যাতে মানুষের জন্য আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা সহজলভ্য হয়।

  2. গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন: গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসকদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং তাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা যেতে পারে, যাতে তারা আধুনিক চিকিৎসার বিষয়ে আরও দক্ষ হয়ে ওঠেন।

  3. স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সচেতনতা: জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিত, যাতে তারা সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণের গুরুত্ব বুঝতে পারে।

  4. এম্বুলেন্স সেবা ও দ্রুত চিকিৎসা: জরুরি চিকিৎসা সেবার জন্য এম্বুলেন্স সেবা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে আরও শক্তিশালী করা উচিত।

চিকিৎসা সেবা এক্ষেত্রে মানুষের মৌলিক অধিকার, এবং এই সেবার উন্নতি আমাদের সবাইকে একটি সুস্থ, সুখী এবং উন্নত জীবনধারার দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

বাংলাদেশে পর্যটন কেন্দ্র বিপ্লবের প্রয়োজন

বাংলাদেশে পর্যটন কেন্দ্র বিপ্লবের প্রয়োজন

বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহ্য, ও বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ একটি দেশ। অথচ পর্যটন শিল্পের যথাযথ বিকাশের অভাবে আমরা এই খাত থেকে আশানুরূপ অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সুবিধা পাচ্ছি না। সময় এসেছে "পর্যটন কেন্দ্র বিপ্লব" ঘটানোর, যা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।


কেন পর্যটন কেন্দ্র বিপ্লব জরুরি?

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি: পর্যটন কেন্দ্র বৃদ্ধি পেলে কর্মসংস্থান ও স্থানীয় অর্থনীতি শক্তিশালী হবে।
প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবহার: সুন্দরবন, কক্সবাজার, সিলেট, বান্দরবান, রাঙামাটি ও কুয়াকাটা—এসব স্থানে আরও উন্নত পর্যটন ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রচার: উন্নত পর্যটন কেন্দ্র বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে, যা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ তৈরি করবে।
ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সংরক্ষণ: সোনারগাঁও, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুরসহ নানা ঐতিহাসিক স্থানকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা সম্ভব।


পর্যটন কেন্দ্র বিপ্লব কীভাবে ঘটানো সম্ভব?

🔥 স্মার্ট ও আধুনিক পর্যটন অবকাঠামো: উন্নত হোটেল, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট, ক্যাম্পিং ও বিনোদন সুবিধা তৈরি করতে হবে।
🔥 যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন: উন্নত সড়ক, ট্রেন, নৌপথ ও বিমান যোগাযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
🔥 ডিজিটাল পর্যটন প্রচারণা: সোশ্যাল মিডিয়া, ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাপী প্রচার করতে হবে।
🔥 নিরাপত্তা ও পর্যটকবান্ধব নীতি: পর্যটকদের জন্য নিরাপদ ও সুবিধাজনক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
🔥 স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ত করা: ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, হস্তশিল্প শিল্পী ও স্থানীয় জনগণের মাধ্যমে পর্যটন কেন্দ্রগুলোর সম্প্রসারণ করা।


 পত্রিকায় প্রকাশিত লেখক তৌফিক সুলতান স্যার এর লেখা,Towfiq Sultan Sir,المؤلف توفيق سلطان السير نشر في جريدة توفيق سلطان السير,Author Towfiq Sultan Sir published in the newspaper, Towfiq Sultan Sir,পর্যটন কেন্দ্র বিপ্লব হউক 


পর্যটন খাতের বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বমানের পর্যটন গন্তব্য হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই "পর্যটন কেন্দ্র বিপ্লব" বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটকরা বাংলাদেশের সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য উপভোগ করতে পারেন। এখনই সময় পর্যটন শিল্পকে জাতীয় সম্পদে রূপান্তরিত করার! 🚀

বাংলাদেশে পর্যটন কেন্দ্র তৈরি হওয়া উচিত

বাংলাদেশে পর্যটন কেন্দ্র তৈরি হওয়া উচিত


বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ একটি দেশ। পাহাড়, সমুদ্র, নদী, বন ও ঐতিহাসিক স্থাপনার কারণে এখানে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু যথাযথ পরিকল্পনা ও পর্যাপ্ত পর্যটন কেন্দ্রের অভাবে আমরা এ খাত থেকে প্রত্যাশিত অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুবিধা পাচ্ছি না। তাই দেশজুড়ে নতুন পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করা সময়ের দাবি।

পত্রিকায় প্রকাশিত লেখক তৌফিক সুলতান স্যার এর লেখা,Towfiq Sultan Sir,المؤلف توفيق سلطان السير نشر في جريدة توفيق سلطان السير,Author Towfiq Sultan Sir published in the newspaper, Towfiq Sultan Sir,


পর্যটন কেন্দ্র তৈরির প্রয়োজনীয়তা

১. অর্থনৈতিক উন্নয়ন

পর্যটন খাত থেকে আয় বৃদ্ধি পেলে দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করা গেলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।

২. কর্মসংস্থান সৃষ্টি

নতুন পর্যটন কেন্দ্র তৈরি হলে হোটেল, রিসোর্ট, গাইড সার্ভিস, যানবাহন ও অন্যান্য ব্যবসার মাধ্যমে হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

৩. স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ

দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা ঐতিহ্যবাহী স্থান ও সংস্কৃতি নতুন পর্যটন কেন্দ্রের মাধ্যমে আরও পরিচিত হবে এবং সংরক্ষিত থাকবে।

৪. প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঠিক ব্যবহার

বাংলাদেশের কক্সবাজার, সুন্দরবন, সিলেটের চা-বাগান, বান্দরবান, রাঙামাটি, সেন্টমার্টিন, পাহাড়পুরসহ অনেক স্থানে পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, যা সঠিকভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সম্পদে পরিণত করা যেতে পারে।

৫. অভ্যন্তরীণ পর্যটন বৃদ্ধি

দেশের মানুষ নিজ দেশেই যদি সুন্দর ও উন্নত পর্যটন কেন্দ্র পায়, তাহলে তারা বিদেশে পর্যটনে যাওয়ার পরিবর্তে দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটনকেন্দ্রগুলোর দিকে ঝুঁকবে, যা জাতীয় অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক হবে।


পর্যটন কেন্দ্র তৈরির সম্ভাব্য উদ্যোগ

প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক স্থানগুলোকে পর্যটনবান্ধব করা
নতুন রিসোর্ট, হোটেল ও বিনোদনমূলক স্থান তৈরি করা
যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা
নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা
পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আন্তর্জাতিক মানের প্রচার-প্রচারণা চালানো


বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র, যা সঠিক পরিকল্পনা ও নতুন পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। তাই সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে দেশব্যাপী পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করা উচিত, যাতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়।

দেশের অধিকাংশ জায়গায় ফুটওভার ব্রিজ জরুরি

দেশের অধিকাংশ জায়গায় ফুটওভার ব্রিজ জরুরি

দেশের অধিকাংশ জায়গায় ফুটওভার ব্রিজ জরুরি

বাংলাদেশের শহরগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং যানবাহনের চাপের কারণে রাস্তা পারাপার ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ব্যস্ত সড়কে জীবন ঝুঁকিতে ফেলে রাস্তা পার হন, যা দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। এই সমস্যা সমাধানের অন্যতম কার্যকর উপায় হলো পর্যাপ্ত সংখ্যক ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা।



প্রয়োজনীয়তার কারণ

১. দুর্ঘটনা হ্রাস:
অনেক মানুষ ট্রাফিক আইন না মেনে সরাসরি রাস্তা পার হতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন। বিশেষ করে, শিশু, বৃদ্ধ ও শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য ফুটওভার ব্রিজ নিরাপদ চলাচলের সুযোগ করে দেয়।

২. যানজট কমানো:
পথচারীরা যদি ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করেন, তাহলে রাস্তা কম ব্লক হবে, যা যানজট কমাতে সাহায্য করবে।

৩. সুশৃঙ্খল নগর জীবন:
পরিকল্পিত ফুটওভার ব্রিজ শহরের অবকাঠামোগত সৌন্দর্য বাড়ায় এবং জনগণের মধ্যে শৃঙ্খলা আনতে সহায়ক হয়।

বর্তমান পরিস্থিতি ও সমস্যা

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে কিছু ফুটওভার ব্রিজ থাকলেও, অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সেগুলোর অভাব রয়েছে। আবার যেখানে এগুলো আছে, অনেক ক্ষেত্রে এগুলো ব্যবহার না করে পথচারীরা রাস্তা পারাপার করেন। এর প্রধান কারণ:

  • ফুটওভার ব্রিজের অপর্যাপ্ততা
  • ব্রিজ ব্যবহারে উদাসীনতা
  • অপর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব
  • অন্ধকার ও অপরাধীদের আতঙ্ক

সমাধান ও সুপারিশ

  • বেশি সংখ্যক ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা।
  • এসব ব্রিজে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা, যেন রাতে নিরাপদ থাকে।
  • ব্রিজে চলাচল সহজ করতে র‍্যাম্প স্থাপন করা, যাতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিরাও ব্যবহার করতে পারেন।
  • মানুষকে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে উৎসাহিত করা এবং আইন প্রয়োগ করা।

 

সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং দুর্ঘটনা কমাতে দেশের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা অত্যন্ত জরুরি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি এ বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ নেয়, তাহলে পথচারীদের জীবন নিরাপদ হবে এবং নগর ব্যবস্থাপনাও উন্নত হবে।

বৃহস্পতিবার, মে ২৩, ২০২৪

গোবিন্দনগর মাদরাসায় আল ফজল ছাত্র সংসদের কমিটি গঠন

গোবিন্দনগর মাদরাসায় আল ফজল ছাত্র সংসদের কমিটি গঠন

গোবিন্দনগর মাদরাসায় আল ফজল ছাত্র সংসদের কমিটি গঠন


ছাতকের শতবছরের প্রাচীনতম দ্বীনি বিদ্যাপীঠ গোবিন্দনগর ফজলিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার আল ফজল ছাত্র সংসদ গঠন সম্পন্ন হয়েছে। সম্প্রতি মাদ্রাসার হলরুমে অনুষ্ঠিত এক সভায় মাদ্রাসার ফাজিল ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী আবুল হাসান মো: আদনানকে ভিপি ও জাবের আহমদকে জি.এস নির্বাচিত করে ২০২৪-২০২৫ সেশনের জন্য ছাত্র সংসদের কার্যকরী কমিটি ঘোষণা করা হয়। আবুল হাসান মো: আদনান ছাতক উপজেলার ১১নং গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের গোবিন্দনগর গ্রামের অধ্যক্ষ জনাব আবু সালেহ মো: আব্দুস সোবহানের পুত্র এবং জাবের আহমদ ১১নং গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের বদির গাঁও গ্রামের উক্ত সংসদের সাবেক ভি.পি জাকির হোসাইনের ছোট ভাই । 
ওই কমিটিতে মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মুফতি মঈনুল হক মুমিনকে সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মনোনীত করা হয়েছে।

এছাড়া কার্যকরী পরিষদ রয়েছেন: 
১ হাফিজ আব্দুল আজিজ - এ জি.এস 
২ জুবায়ের আহমেদ শুভ - সাংগঠনিক সম্পাদক 
 ৩ আবু বকর - অর্থ সম্পাদক। 
৪ হাঃ মোজাম্মিল হক মুবিন - সহঃ অর্থ সম্পাদক 
৫ মুমিনুল হক - সাহিত্য সম্পাদক 
 ৬ ফরহাদ আহমেদ রাসেল - প্রচার সম্পাদক 
 ৭ আবু সুফিয়ান কিবরিয়া -সহঃ প্রচার সম্পাদক 
৮ পারভেজ আহমেদ সায়েম - অফিস সম্পাদক 
 ৯ হুমায়রা খাতুন জামিয়া - ছাত্রী সম্পাদিকা 
১০ আদিলা সুলতানা - সহ ছাত্রী সম্পাদিক 


মুহাম্মদুল্লাহ বিন মোস্তফা 
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

শনিবার, জানুয়ারী ২০, ২০২৪

আলহামদুলিল্লাহ! আবারও বিশ্ব সেরা হলেন হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরিম। দুবাই আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৭০টি দেশকে পেছনে ফেলে আবারও বিশ্বসেরা হলেন কিশোর হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরিম

আলহামদুলিল্লাহ! আবারও বিশ্ব সেরা হলেন হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরিম। দুবাই আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৭০টি দেশকে পেছনে ফেলে আবারও বিশ্বসেরা হলেন কিশোর হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরিম

আলহামদুলিল্লাহ! আবারও বিশ্ব সেরা হলেন হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরিম। দুবাই আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৭০টি দেশকে পেছনে ফেলে আবারও বিশ্বসেরা হলেন কিশোর হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরিম’— এমন একটি তথ্য ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ, পেজ ও অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচার করে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত ৪২তম বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় চতুর্থ বিভাগে তৃতীয় স্থান অর্জন করা হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরিমকে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানানো হচ্ছে। 

অভিনেত্রী রাজ রিপাও তাঁর ফেসবুক ওয়ালে এ তথ্য শেয়ার করে সালেহ আহমেদ তাকরিমকে অভিনন্দন ও শুভ কামনা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘দুবাই আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা—২০২৪ এ বিশ্বের ৭০ টি দেশকে পেছনে ফেলে আবারও বিশ্বসেরা হলেন বাংলাদেশের গর্ব কিশোর হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরিম।’ 

সালেহ আহমেদ তাকরিম



তবে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কিশোর হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরিমের ২০২৪ সালের দুবাই আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়ার দাবিটি সঠিক নয়। 


 বাংলাদেশে দুবাই আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার সার্বিক ব্যবস্থাপনা করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। 


ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক আনিসুর রহমান সরকার স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, চলতি বছরের দুবাই আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার সম্ভাব্য তারিখ ১ থেকে ১৪ রমজান ১৪৪৫ হিজরি মোতাবেক ১২ থেকে ২৫ মার্চ ২০২৪। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের শর্তাবলির মধ্যে তৃতীয় শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, যারা ইতিপূর্বে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই। 

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে দুবাই আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার ২৬তম আসরে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে স্ব বিভাগে প্রথম হয়েছিলেন সালেহ আহমেদ তাকরিম। তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উল্লিখিত তৃতীয় শর্ত হিসেবে এ প্রতিযোগিতায় সালেহ আহমেদ তাকরিমের আর অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। 

পরে বিজ্ঞপ্তিটি সম্পর্কে আরও জানতে দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক আনিসুর রহমান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। তিনি আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগকে বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল তথ্যটি সঠিক নয়। এটি ২০২৩ হবে। ২০২৪ সালের দুবাই আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা এখনো অনুষ্ঠিত হয়নি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু সালেহ আহমেদ তাকরিম একবার অংশগ্রহণ করে পুরস্কার জিতেছে, তাই আর তাঁর অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ফয়সাল আহমেদ একজন প্রতিযোগী অংশ নেবেন।’


ওপরের আলোচনা থেকে স্পষ্ট, ২০২৪ সালের দুবাই আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা এখনো অনুষ্ঠিত হয়নি এবং সালেহ আহমেদ তাকরিম পূর্বে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করায় তিনি আর এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না। অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল তথ্যটি সঠিক নয়।দুবাই ইন্টারন্যাশনাল হোলি কোরআন অ্যাওয়ার্ডের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্যের সূত্রে অনুসন্ধানে বাংলাদেশের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট খুঁজে গত বছরের ২৯ নভেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা—২০২৪ নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি খুঁজে পাওয়া যায়। তথ্যটির সত্যতা যাচাইয়ে দুবাই আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার আয়োজক সংস্থা দুবাই ইন্টারন্যাশনাল হোলি কোরআন অ্যাওয়ার্ডের সরকারি ওয়েবসাইট ঘুরে দেখা যায়, এতে প্রতিযোগিতাটি সম্পর্কে বলা হয়েছে এটি প্রতি হিজরি বছরের প্রথম রমজান থেকে শুরু হয়ে রমজান মাসের ১২ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা নিজেদের দেশ বা ইসলামিক সেন্টার থেকে মনোনীত হয়ে আসে। 

আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিজ্ঞান সোসাইটি ২০২৪ সালে রমজান মাসের শুরুর তারিখ সম্পর্কে জানিয়েছে, জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের ১২ মার্চ (বৃহস্পতিবার) থেকে পবিত্র রমজান শুরু হতে পারে এবং শেষ হতে পারে ১১ এপ্রিল, শুক্রবার। অবশ্য রমজান মাসের শুরু হওয়ার আনুষ্ঠানিক তারিখ চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। 

বুধবার, জানুয়ারী ১০, ২০২৪

সুন্দরবনের অঞ্চলে এক নিম্মমধ্যবিত্ত ঘরে জন্ম নিলো এক শিশু

সুন্দরবনের অঞ্চলে এক নিম্মমধ্যবিত্ত ঘরে জন্ম নিলো এক শিশু

কর্ণফুলীর ঘাট

-রাজিন হাসান রাজ



সালটা ১৯৭২,
১৯ ডিসেম্বর,
আর ১০ টা দিনের মতই যাচ্ছিলো দিন টা।এমন সময় সুন্দরবনের অঞ্চলে এক নিম্মমধ্যবিত্ত ঘরে জন্ম নিলো এক
শিশু। গায়ের বর্ণ অত্যাধিক কালো থাকায় তার বাবার মুখ থেকে বের হয়ে গেলো কালু। সেই থেকে তার নাম রাখা
হলো কালু।যদিও ভালো নাম মাফি।শরীরের বর্ণ কালো হওয়া সর্ত্বেও তার চেহারার যে আশ্চর্য মায়া সেইটা সে যত বড়
হতে থাকল তত তার মুখে ফুটে উঠতে থাকলো। তার ৭-৮ বছরে অপরিচিত তাকে দেখে তার নাম শোনেনি বা কাছে
ডাকেনি এমন খুব কম মানুষ ই ছিলো। সে যেমন ই হোক, এখনো যুদ্ধবিদ্ধস্ত থেকে নাম সরাতে পারেনি
বাংলাদেশ। এদিক ওদিক করে কোনো রকমে সংসার চলছিলো তাদের কারন বাবা যে চাকরি হারিয়েছেন
মুক্তিযোদ্ধা দের খাবার দেয়ার জন্য। এর মাঝেই পরিবারের নতুন অতিথি হাজির। তাতে তেমন একটা
বিচলিত না হলেও মাফির বাবা সিদ্ধান্ত নিলো সে মাওয়ালী দের সাথে মধু আহরণে যাবে বনের দিকে। প্রথম
প্রথম সবাই মানা করলেও জীবনের তাগিদ এ এটা সবার মেনে নিতেই হলো। মাফি তার বাবার দ্বিতীয়
সন্তান তার একটা বড় ভাই ও আছে যার নাম রাফি। মাফি হবার সময় সে তার বাবার সাথেই ছিলো বরংচ
মাফি নামের থেকে কালু নাম ধরে ডাকতেই যেনো রাফি বেশি সাচ্ছন্দ বোধ করত। ৬ বছরের ছোট মাফি কে
খুব ই ভালোবাসত রাফি।
মাফি বড় হয়ে স্কুলে যাওয়া ও শুরু করে রাফির সাথে। সব ই ঠিক চলছিলো। হঠাৎ একদিন ঘটল এক অঘটন
রাফি ও মাফি সবে স্কুল থেকে ফিরেছে। এসে শুনতে পেলো যে তার বাবারা ৪ জন তাদের বনে গিয়েছিলো
তাদের সবার উপর বাঘ আক্রমণ করেছে।২ জন মারা গেছে তার মাঝে রয়েছে মাফির বাবা ও ।মাফি ঠিক ভাবে
বুঝতে না পারলেও রাফি ঠিকই সব বুঝে ফেলল। অঝরেই কানছে সে। তাদের মা ও যেনো থামতে চাইনা
কোনো মতে এদিকে অবুঝ মাফি তখনো ঠাওর করে উঠতে পারছে না আসলে এরা কি করছে।
কয়েকদিন পর টানাপড়ন লাগলো সংসারে। ২বেলা খাবার জুটানো ও দায়। এমন সময় মাফির দুরসম্পর্কের
খালা তাদের বাড়ি আসলো। তাদের অবস্থা দেখে মাফির মা কে বললো”আপা তুই আমার সাথে চাটগাঁও
চল।ওহানে আমি যে কাম করি তরেও নিয়া নিবোনে মালিক রে কইয়া। আর এই রাফি ও ত বড় হইছে ওর ও
এক ব্যাবস্থা আমি করমুনে। তুই চল আমার সাথে।” ইচ্ছা না থাকা সত্তেও যেতে হলো তাদের বন্দর নগর
চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রাম যেয়েই কাজ পেলো মাফির মা। মাফি তার মায়ের সাথে থাকতে পারলেও রাফি থাকতে পারলনা
তাদের সাথে। রাফির স্থান হলো কর্ণফুলীনদীর ধারে ঘাটে। বন্দর এর জাহাজের হিসাব নিকাশ রাখে সে।খুব
বড় কাজ সে করেনা কারন বয়স ত তার খুব বেশি না।

কয়েক বছর পর, ১৩ বছর বয়স হলো মাফির এখন অনেকটায় বড় সে। কিন্তু বদলে গেছে তার সকল চিন্তা
ধারা। সরল মায়ারুপী মাফির মনে এখন অনেক মন্দচিন্তা কাজ করে।এটা মূলত তার একা থাকার ফল। মা
সকালে যাই রাতে আসে মাফি কি করল কি খেলো এটা নিয়ে ভাবার খুব একটা সময় মাফির মা পাইনা।
বেশিভাগ সময় ই মাফি ঘুমানোর পর তার মা আসে আর সে ঘুম থেকে ওঠার আগেই তার মা চলে যাই।
এতদিনে ভালোই বন্ধু বানিয়েছে মাফি। মা আর ভাই এর টাকার সুবাদে লেখাপড়া এক ছোট স্কুলে তার
চলছিলো। কিন্তু নানারকম উদ্ভট কারনে তাকে প্রায় ই বিভিন্ন শাস্তির সম্মুখীন হতে হয়। এই ধরেন
একদিন এক বব্ধুর নাক মুখ সে বেধে রাখলো। তার বন্ধুও সরল মনে তার কাজে সাহায্য করলো সবাইকে সে
বললো এক ধরনের খেলা খেলার জন্য সে এমন করছে। পরে জানা যাই মাফি আসলে জানতে চেয়েছিলো নাক
মুখ বন্ধ রাখলে কতক্ষন একজন বেচে থাকতে পারে। বুঝতেই পারছেন এর পরিনাম নিশ্চিত মৃত্যু ছাড়া কিছু
হতে পারত না। আবার একদিন এক বন্ধুর মাথার পিছনে আঘাত করে দেখলো সত্যি সত্যি মাথায় আঘাত
করলে অজ্ঞান হয় কিনা। সেযাত্রায় কেও আশেপাশে না দেখায় তাকে কেও সন্দেহ করেনি। কিন্তু যার
মাথায় আঘাত করেছিলো তার অবস্থা ছিলো গুরুতর। যত দিন যাই মাফি যেনো তত পাগলামি করতে থাকে।
তার এই পাগলামি বাড়তেই থাকে।
এরপর ঘটে গেলো আরেক অঘটন। কাজ করে আসার সময় সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ গেলো মাফির মায়ের। মাফি
তখনো তেমন কিছুই উপলব্ধি করতে পারেনি যতক্ষন না ওর খাবার আর প্রতিদিন কার চালচলনে পার্থক্য
আসল। এরপর যেনো মাফির পাগলামি আরো দ্বিগুন বেড়ে গেলো। রাফি অনেক কষ্টে হলেও মাফির স্কুলের
খরচ চালাচ্ছিলো। কিন্তু হঠাৎ একদিন রাফিকে স্কুল থেকে ডেকে পাঠালো। রাফি যেয়ে দেখলো মাফি
প্রধান শিক্ষক এর কক্ষে এক কোনায় দাঁড়িয়ে আছে আর একটা লোক উদ্যস্ত হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে মাফি কে
মারার জন্যে। রাফি জিজ্ঞেস করলে জানা গেলো আজ সে আরেক বন্ধু কে মেঝে তে শুইয়ে দিয়ে তার বুকের
উপর উঠে লাফ দিছে ফলে মাফির বন্ধুর বুকের পাজরের হাড় ভেঙে গেছে। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিতে
হয়েছে তাকে। যার ফলস্বরুপ মাফিকে স্কুল থেকে বের করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রাফি খুব অনুনয়
বিনয় করলেও কোনো কাজ হলো না। মাফি কে স্কুল থাকে বের করে দিলো।রাফি ও ওইদিন খুব রাগ করলো
মাফির উপর। মাফি কে আর স্কুলে পাঠাবে না বলে সিদ্ধান্ত ও নিলো।
রাফি মাফিকে তার ঘটের মালিকের কাছে নিয়ে গেলো যেনো তিনি মাফিকে একটা কাজ দেন। রাফি অনেক
ভালো ছেলে হওয়ায় রাফির কথায় মালিক মাফি কে একটা কাজ দিলো সেটা হলো ঘাটের নৌকার যাত্রীদের
থেকে টাকা আদায় করা।মাফি ও কোনো সমস্যা না করে কাজ করতে থাকলো। কিন্তু প্রতিদিন ই কিছু
পরিমানে টাকা সে সরিয়ে রাখত। সেই টাকা দিয়ে মাফি ও তার আশে পাশের ছেলেরা নেশা জুড়ে দিত। ১৫ বছর
বয়সেই নেশার দুনিয়াই গেলো সে। তবে সেই টাকা চুরির বিষয় টা ও আর গোপন থাকল না। মালিকের কাছে
হাতে নাতে ধরা খেলো। অনেক মারল সেদিন মালিক মাফিকে। এমন মার মাফি তার জীবনে কখনো খাইনি । সে
মনে মনে মালিক যে খুন করার চিন্তা করল। মালিক তখন মাফিকে ঘাট থেকে বের করে দিলেন। মাফি খুব
চেষ্টা করল মালিক কে মারার কখনো ছুরি নিয়ে চুপিসারে যেতে গিছে আবার মালিকের গাড়ির টায়ারে পেরেক
পুতে রেখে গুলতি দিয়ে মালিক কে মারার অনেক প্রচেষ্টা সে করেও বিফল। এদিকে রাফির অনুরধে মাফির
আবার কাজের ঠিকানা হলো সেই ঘাট। কাজটা এবার ভিন্ন পাথর বোঝাই নৌকার হিসাব রাখা টাই হলো
এখানে মুল কাজ। এদিকে মালিক তেমন আসেও না আর এখান থেকে টাকা চুরির সম্ভাবনাও নেই তাই ভেবে
মালিক এই কাজ দিলেন মাফি কে। তাই বলে মাফির মন থেকে মালিক কে খুন করার কথা যায়নি।
নতুন কাজে যোগ দিলেও মাফির বুদ্ধির কাছে হার মানতে হতো সবাইকে। একে একে মাফির সাথে কাজ করা
অনেকেই কাজে যাওয়া বন্ধ করতে লাগলো কারন মাফি থাকাকালীন তাদের কোনো কাজ করতে হতোনা
বললেই চলে। মাফি ও এর একটা সুবিধা নিলো। যখন কেও থাকেনা তখন মাফি নৌকার হিসাব করেনা। যেমন
যদি ৫ টা নৌকা ঘাটে আসে সে ৩ টা নৌকার হিসাব দেই বাকি ২ টা নৌকার পাথর সে নিজের গোপন জায়গায়
রাখার ব্যাবস্থা করে সেখান থেকে সে নিয়মিত বাজার মুল্যের থেকেও কম মুল্যে পাথর বিক্রি করে। এভাবে
জমতে থাকে মাফির টাকা। এভাবে চলতে চলতে সে নৌকা গোনার কাজ থেকে নিজে পাথর ব্যাবসায়ী তে নাম
লেখায়।

এবার ও ধরা পড়ে গেলো মাফি। তবে মালিকের কাছে না। এক কর্মচারির কাছে। নাম শহিদ মোল্যা। সে বুঝে
গেলো মাল চুরি হচ্ছে। আর সেই মাল বিক্রি করছে মাফি। আর তার থেকেই সে নাম লিখিয়েছে পাথর
ব্যাবসায়। শহিদ মোল্যা সোজা যাই মাফির কাছে। সব বলে সে এবার যে মালিক এর কাছে বলে তার
আজীবনের জন্যে চাকরি টা খাবে এটা মাফি খুব বুঝতে পারে। পিছনে ফিরে ২ পা এগোতেই পাথর দিয়ে শহিদ
মোল্যার মাথায় বড় এক পাথর দিয়ে আঘাত করে মাফি। বুঝে ওঠার আগে জ্ঞান হারায় শহিদ মোল্যা। কেও
নেই আর ঘাটের পাশে। কিন্তু একটা নৌকা আসছে তখন ঘাটের দিকে। সেদিকে খেয়াল গেলো মাফির কি
করবে বুঝতে পারছেনা সে। দ্রুত একটা পাথরের সাথে দড়ি বেশি শহিদ মোল্যার নিথর দেহের সাথে বেধে
খরস্রোতা কর্ণফুলীনদীতে ফেলে দেই মাফি। নদীগর্ভে চলে যায় শহিদ মোল্যার দেহ। এই প্রথম কাওকে
মারল মাফি। ভয়ে বুক কাপছে তার। নৌকা ঘাটে আসলো পাথর নামালো কিন্তু তেমন কোনো সমস্যা হলোনা
মাফির। নিজেই যতটুকু ভয় পেয়েছে ওইটুকুই। এদিকে সন্ধ্যায় বাড়ি যাওয়ার সময় দেখলো সবাই মিলে শহিদ
মোল্যাকে খুজছে একজন মাফির কাছে শুনলো শহিদ বুড়ো রে দেখছে কিনা মাফি মাথা নাড়িয়ে না বোধক
উত্তর দিয়ে বাসায় চলে গেলো।বাসায় এসে অনুতাপের থেকে বরং নিজের এমন কাজে আরো খুশি হলো মাফি।

এভাবে তার হাতে প্রাণ যাই জমির সরদার আর হাকিম মোল্যার। ব্যাবস্থা একটায় পাথর বেধে নদীর
গভীরে। খুনের পাশাপাশি নিজের অবৈধ ব্যাবসার খাতিরে সে গুছিয়ে নিলো তার নিজের এক দল। অপরাধমুলক
কাজে এগিয়ে যেতে থাকলো মাফি। এভাবে বাড়তে বাড়তে কিশোর দের নেতা হয়ে উঠলো মাফি। হবেই না বা
কেনো নিজের টাকায় কে ই বা এমন ভাবে অন্যের পিছে খরচ করে? এর মাঝে হলো আরেক কাহিনী কর্ণফুলী
এলাকার বড় চাদাবাজ মসিউল মাস্তান এসে গেলো মাফির কাছে চাদা নিতে বললো ”বহুত ফ্রি ফ্রি ব্যাবসা ত
করছস এবার মোর যে দাবী সেইডা পূরণ কর ত বাপ। ” কিন্তু মাফি চাদা দিতে রাজি হলো না। এভাবে কথা
কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হলো। এদিকে হাতাহাতি দেখে মাফির সাথের কিশোর রা খেপে গিয়ে
এলোপাথাড়ি ছুরি মারল মসিউল কে। মসিউল বুঝে ওঠার আগেই তার নিথর দেহ লুটিয়ে পড়ল মাটিতে। মাফি
একটু মুচকি হাসলো আর বুঝলো এই ছেলেগুলো তার জন্যে সব করতে পারে। মাফির থেকে যেনো ওরাই সব
থেকেবেশি ভয় পেলো। মাফি অভয় দিলো আর বললো কিভাবে পাথর দিয়ে বেধে নদীতে ফেলতে হবে। ওরা তাই
ই করলো। এবার মাফির আত্মবিশ্বাস আরো বেড়ে গেলো। রাতারাতি সে বনে গেলো এলাকার চাঁদাবাজ দের
প্রধান। এক কথায় চাদাবাজ দের বাপ যাকে বলে আর কি।
 তবে মাফি নামের থেকে কালু ভাই নামে পরিচিত হলো মাফি বেশিই। রাফি সব সময় ই ত মাফি কে
কালু বলেই ডাকত। চাদাবাজ আর সন্ত্রাসী তে যেনো মাফি এখন একচ্ছত্র অধিপতি। তার ধারের
কাছে ঘেষার মত তেমন কেও নেই। এভাবে মাফির সাথে থাকা ছেলেরা শুরু করল ছিনতাই। মাফির
সাথে থাকা এক ছেলে নাম মনির ।মাফি তারে মনি বলেই ডাকত। একদিন এক লোকের থেকে ছিনতাই
করতে যেয়ে খুব আহত হয়। লোকটা ত ছিলো পুলিশ সিম্পল পোশাকে ছিলো কিন্তু কাছে ছিলো
পিস্তল। ছুরি গলাই ধরার সাথেই গুলি চালাই পুলিশ টা। মনির ও কম না ছুরি টা চালায় দেই গলায়।
শেষ! মুহুর্তেই মারা গেলো লোকটা। গুলিটাও যে মনিরের পেটের ভিতর দিয়ে গেছে খুব সুস্থ সে না।
এভাবেই কোনো ভাবে মাফির কাছে গেলো মনির।মাফি দেখেই বলে ”কিরে মনি তোর এমন হাল হলো
কিভাবে! কে মেরেছে তোরে এভাবে?” মনির বললো ”সে ও নেই যে কালু ভাই। হা হা হা...” বলেই
অজ্ঞান হয়ে গেলো মনির। মাফি মনির কে নিয়ে হাসপাতালে যেয়ে ভর্তি করল। আসার সময় মাফি
দেখলো রাস্তায় একটা দেহ পড়ে আছে। আর একটা ছুরি আর পিস্তল ছুরি দেখেই মাফির আর কিছু
বুঝতে বাকি নেই। নিজ হাতেই লাশ টার সে ব্যাবস্থা করল। পাথর বেধে নদীতে। এরপর মনি হয়ে
উঠলো মাফির এক আপন জনের মত। ভাই এর থেকেও কাছের মানুষ হয়ে গেলো মনির। এরপর
চাঁদাবাজি আর ছিনতাই এর দায়িত্ব পড়ল মনিরের উপর। এদিক টা সেই ই সামলায়। মাফির নজর
গেলো আরো উপরে। এবার তার নজর পুরো ঘাটের উপর। ঘাটের কাছে যেতেই মালিকের সাথে দেখা।
সালাম দিলো মাফি মালিক উত্তর না দিয়েই বলে উঠলো “এই শুয়ারের বাচ্চা, এখানে কি কাজ তোর?
আবার চুরির মতলব আছে নাকি! হা হা হা... ” মাফি হেসে বললো “অনেক হইছে মালিক বয়স ত কম
হইনি আপনের এবার ঘাট ছাড়েন আমাদের ও সুযোগ দেন” শুনে মালিক রাগান্বিত হলো আর দিলো
মাফির মুখে এক চড়। মালিকের সাথে থাকা লোক গুলো ও মারতে গেলো মাফিকে। এদিকে মনির আর


তার সংগীরা খেপে গেলো সবাই হাতের ছুরি বের করে রাখলো। কেও বুঝে ওঠার আগেই মাফি
পিস্তলবের করে গুলি চালিয়ে দিলো মালিকের মাথায়। ব্যাস কি দিয়ে কি হলো কেও বুঝে উঠলো না।
মনির ও হাক দিয়ে উঠে একে একে মালিকের সাথে থাকা সবাইকে ছুরি দিয়েই মেরে ফেললো।
গুনে গুনে ২১ জন কে মেরেছে তারা। মাফি আর মনির দুইজন ই একটু মুচকি হাসলো। মনির আর তার সঙ্গীরা
জানত লাশগুলো কি করতে হবে তাই ই হলো। মাফি এখন ঘাট মালিক। মনিররা সবাই বলে উঠলো “মালিক।

আমাদের কালু ভাই। আমাদের মালিক। আমাদের ঘাট মালিক। ” সবাই বড় একটা চিৎকার দিলো মালিক
বলে।এভাবে ঘাটের সব অধিকার এখন মাফির। মাফির ভয়ে এলাকার কেও ই চোখ তুলে ও ঘাটের দিকে
তাকায়না। বরং সবাই মাফির নাম নিয়েই পুরো শহরে ব্যাবসা করতে থাকলো। ঘাট থেকে মাফি ধীরে ধীরে হয়ে
উঠলো পুরো শহরের কালু ভাই। মাফির সুবাদে রাফি কেও ভয় পেত সবাই। কিন্তু এদিকে রাফি সাধাসিধা
জীবন যাপন করে। বিয়ে করে ১ টি মেয়েও হয়েছে তার। এসব নিয়েই সুখে আছে সে। ঘাট মালিক কে মারার
খবর তখন পুরো শহর জুড়ে সেটা পৌছালো রাফির কানেও। রাফি ছুটে গেলো মাফির কাছে। রাফি অনেক
অনুনয় বিনয় করলো যেনো সে এসব বাদ দেই। কিন্তু কিছু হয়না। মাফি কারো কথায় শুনেনা। অবশেষ এ
মাফি রাফি কেও খুন করার হুমকি দিলো। রাফি কিছু করার নেই বুঝেই সেখান থেকে প্রস্থান করলো।
এদিকে লোকমুখে ছড়িয়ে পড়লো ঘাট মালিক এর কথা। পুলিশ এর এবার টনক নড়লো। পুলিশ এর একটি দল ও
নির্বাচন করা হলো। তারা নেমে পড়লো তথ্য বের করার জন্য। কিন্তু হায় এ কি একটা মানুষ ও মুখ খুললো
না। কেও ই মাফির বিরুদ্ধে কিছু বলতে রাজি নয়। পুলিশ পুরো নিরাশ হয়ে গেলো। এ সময় নান্নু মিয়া যে কিনা
সাবেক ঘাট মালিক এর ছোট ভাই সে রাজি হলো সাক্ষী দিতে। পুলিশ ও বসে বসে তার সাক্ষাত নিতে লাগলো।
কিন্তু এ কথা মাফির কান এ যেতে খুব সময় লাগলো না। মাফির কিছু বলার আগেই মনির উঠে চলে গেলো।
আবার খুন এবার জোড়া খুন পুলিশ সাক্ষী দুইটায়। লাশ দুইটা কোনো ক্রমে ঘাটে এনেই নদীতে পাথর বেধে
ডুবিয়ে দিলো তারা। তাদের সাথেই ডুবে গেলো সব প্রমান। এরপর থেকে মানুষের মনের অবস্থা আরো
ভয়ংকর । কেও বিন্দুমাত্র মুখ খুলতে চাইনা মাফির বিরুদ্ধে। পুলিশ এবার উঠে পড়ে লেগেছে প্রমান
সংগ্রহে কিন্তু ফলাফল শুন্য। এদিকে জাকির পেশায় সাংবাদিক একটা সাপ্তাহিক পত্রিকার সাংবাদিক সে।
সে সব বিষয় ই জানতে পারলো। সে বুঝতে পারলো সরাসরি মাফির বিরুদ্ধে লেখা কখনোই ভালো ফল হবেনা।
কিন্তু সে ও যে থেমে থাকার মত মানুষ না। অনেক বাঘা বাঘা মাস্তান ও তার কিছুই করতে পারেনি। কিছু না
বুঝেই সে রিপোর্ট করে ফেললো। কিন্তু সে ও বুদ্ধি করে কাজ করলো। পত্রিকার শিরোনাম দিলো “২৫ টি
মানুষ উধাও”। খবর সেটা ত আর মাফির আড়াল হয়নি। মাফি পাঠালো মনির কে। মনির যেয়ে দেখলো জাকির
তখনি পুলিশ পাহারায়। যেনো সে সব ই জেনে রেখেছিলো।মাফি ও কিছু ভুলে যাওয়ার মত লোক না। এভাবে ৩
দিন গেলো। জাকির এক কাজে বাইরে বের হলো বের হবার একটু পরেই একটা গাড়িতে করে তুলে আনা হলো
জাকির কে। মনির এর খুব ইচ্ছা ছিলো যেনো তখনি জাকির কে মেরে ফেলে। কিনতু তার কালু ভাই বলছে
সাংবাদিক কে জ্যান্ত চাই। সে দেখতে চাই সাংবাদিক এর বুকের ভিতরের কলিজা টা কত বড়! নিয়ে যেয়ে
রাখা হলো মাফির পাথরের গোডাউনে সেখানে সাক্ষাত মাফি উপস্থিত। সাংবাদিক এখনো জানেনা কি হতে
চলেছে। মাফি হুকুম দিলো জাকির এর হাত পা চারিদিকে ধরে রাখতে যেনো নড়তে না পারে। তারপর জাকির
এর উপরে উঠে সে লাফাতে শুরু করলো আর জোরে জোরে হাসতে লাগলো। ওদিকে মড়মড় করে জাকির এর
পাজরের হাড় ভাংতে লাগলো। সাথে সাথেই একটা ছুরি দিয়ে বুক চিরে ফেলে কলিজা বের করে আনলো মাফি।
এনেই বললো ”এইটুকু কলিজা নিয়ে আমারে চ্যালেঞ্জ করে এ। এ মনি ফেলে দিয়ে আয়।” এই বলে থুঃ শব্দ
করে মাফি চলে গেলো। মনির লাশটা ডুবিয়ে দিলো পাথর বেধে। কর্ণফুলীনদীর গর্ভে লাশের পর লাশ জমে
চলেছে।
একদিন মাফি ঘাটেই আছে বসে বসে ভাবছে বয়স এখন মোটে ২৪ এখনি কত বড় সম্রাজ্য তার। হঠাৎ ঘাটে
দাঁড়িয়ে থাকা এক মেয়ের দিকে নজর আটকালো মাফির। যেনো আকাশ থেকে নেমে আসা কোনো পরী। নজর
সরাতে পারলো না । মনি সেইটা খেয়াল করলো। মনির যেয়ে মাফি কে বললো কি ব্যপার ভাই। মাফি মেয়েটির
দিকে দেখিয়ে মনির কে ভাবি বলে ডাকতে বললো। তখনি মনির নজর আটকালো মেয়েটির সাথে থাকা
আরেকটি মেয়ের উপর। যেনো দুইজন মিলে দুইজন এর প্রেমে ডুব সাতার কাটছে। হঠাৎ মাফি বলে উঠলো

কর্ণফুলী

কর্ণফুলীর ঘাট



“কিরে মনি, ভাবির নাম জানার ইচ্ছা নাই নাকি!” মনির দৌড়ে গেলো আর তাদের নাম শুনলো তারা উত্তর
দিলো একজনের নাম মুন্নি আর আরেকজনের মনিরা। তো মুন্নি কে পছন্দ করলো মাফি। মনিরা কে মনিরের।
মনির ত এখন সারাদিন মনিরার কথক ভেবে দিন কাটাই দেই। নামের ও কত সুন্দর মিল তাদের। যেনো
তাদের মিল হবেই। অন্য দিকে মাফির হাল ও তাই। কিন্তু মনিরের ব্যাপার টা মাফির অজানা ই থেকে গেলো।
এদিকে মাফি প্রতিদিন কথা বলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ ।কোনোভাবে মেয়ের সামনে যেয়ে যেনো দাড়াতে
পারেনা। সে ক্ষেত্রে মনির দূত হয়ে যাই। কিন্তু মুন্নি বলে যে ভালোবাসে সে না বলা পর্যন্ত সে কোনো
ভাবেই এসব নিয়ে কথা বলবে না। কিন্তু ততদিনে মনির আর মনিরার মধ্যে ভালোলাগা শুরু হয়ে গেছে। দুইজন
ই দুজন কে ভালোবাসে। এবার মনির মাফিকে বললো যে মাফি ছাড়া কোনো ভাবেই আর সম্ভব না। তখন মাফি
নিজে গেলো। আর মুন্নি মাফি কে দেখে যেনো মন খারাপ করে উঠলো। অনেক টা রেগেও গেলো সে।
কোনোভাবেই মাফি কে বিয়ে করত্র রাজি নয় মুন্নি। আরো মাফির সম্পর্কে না জেনেই মাফিকে অপমান
করলো মুন্নি। অপমান গুলো যেনো মাফির কাছে কাটার মত বিধলো। মাফি কাওকে কিছু বললো না। রাতে মাফি
মনির কে বললো মুন্নি আর মনিরা কে তুলে আনতে। মনির অনেকটা খুশি মনেই কিছু বুঝে উঠতে না পেরেই
তুলে আনলো দুজন কে। আনার পর মাফি নিজের হাতে ছুরি দিয়ে দুইজন কে খুন করলো। মনিরের মাথায় যেনো
বাজ পড়লো। মনির বুঝতে পারছে না কি হলো। কিছু বলতেও পারছেনা। সে হতবাক হয়ে গেলো। কিন্তু কিছু
বলার নাই। মাফি হুংকার দিলো “মনি, এদের ফেলে দে নদীতে।” মনির ওদের নিয়ে গেলো প্রথমে মুন্নি কে
পাথর বেধে ডুবিয়ে দিলো। এবার মনিরা। অজান্তেই কাদছে মনির পানি গড়িয়ে পড়ছে চোখ বেয়ে। সে ডুবালো
না মনিরার লাশ। মাটি খুড়লো কবর দিলো মনিরা কে। নিজেই দু হাত তুললো দোয়া পড়ল যেনো মনিরা শান্তিতে
থাকে।
পুলিশ এর উপর অনেক চাপ। তবুও কেও মাফির দিকে হাত দিতে চাই না। কারন কারোর ই জান হারাবার ইচ্ছা
নাই। তারা আগেই ১ জন কে হারিয়েছে। কোনো কিছু করতে না পারাই বদলী হয়ে যাচ্ছে সব অফিসার। নতুন রা
এসেও কিছু করতে পারছে না। নতুন যারা আসছে তারাও ভয়ে গুটিয়ে থাকছে। তখনি দুজন অফিসার আবার
যোগ দিলো সেখানে। দুজনেই খুব সাহসী। দুজন ই লেগে পড়লো প্রমান খোজার কাজে কিন্তু কোনো মতেই
কোনো প্রমান তাদের হাতে আসেনা। অপরদিকে মাফি জড়িয়ে পড়ে রাজনীতি তে। সবার থেকে যেনো ২৪
বছরের এই যুবক টার অনেক ক্ষমতা হবেইনা বা কেনো তার উপরে যে কথা বলার কেও নেই। পুলিশ ও থমকে
গেছে। এমন অবস্থায় মাফি সিদ্ধান্ত নেই নির্বাচন এ দাড়ানোর। এদিকে মাফির লোকজন খুব খুশি
অন্যদিকে পুলিশের মাথায় হাত। কারন মাফি ভোটে জিতবেই এটা তারা জানত। কারন তার বাইরে যেয়ে
কাওকে ভোট দেয়া ত দূরে থাক। তার বিরুদ্ধে দাড়ানোর মত সাহস ও কারো নাই। দুই অফিসার আসিফ ও
শাকিল উঠে পড়ে লাগলো তথ্য প্রমান সংগ্রহে কিন্তু হাতে ত কিছুই আসেনা। যে যার মত সর্বোচ্চ চেষ্টা
চালিয়ে গেলো কিন্তু কোনো কিছুতেই কোনো কাজ হলো না। এর মাঝে হঠাৎ আসিফ অসুস্থ হয়ে পড়ল।
কয়েকদিন ধরে কোনো কাজে মন দিতে পারেনা। সে ছুটি নিলো। কিন্তু এদিকে শাকিল থেমে নেই সে তার স্থান
থেকে চেষ্টা করেই যাচ্ছে। এবার মাফির কানে গেলো পুলিশ এর কথা রাতে বাড়ি ফেরার সময় মটরসাইকেল
থেকে ফেলে দিয়ে তাকে হত্যা করে মাফি। তার পরিনতি ও এক ই পাথর বেধে পানিতে ডুবিয়ে দিলো সে। এবার
এ বিষয় টা একটু বড় আকারেই নাড়া দিলো পুলিশ ডিপার্টমেন্ট এ। আসিফ এবার উঠে পড়ে লাগলো কিন্তু
বরাবরের মত কোনো লাভ নেই। এবার ঘটলো অবাক এক ঘটনা রাফি এসে হাজির আসিফ এর বাসায়। সে সব
বললো আসিফ কে কিভাবে মাফির সব কাহিনী। আসিফ সাহেব সব শুনলেন এবং রাফি কে বললেন মাফি যেনো
আত্মসমার্পণ করতে। মাফি যে এটা কখনোই করবে না সেইটা রাফি আগে থেকেই জানত। কিন্তু এভাবে ত
কাওকে ধরা সম্ভব না কারন মাফি একবার বের হলে সে আসিফ কেও ছাড়বেনা এতে কোনো সন্দেহ নাই।

কিন্তু এমন সাক্ষী কোথায় পাবে। রাফিকে বিদায় দিয়ে সারারাত ভাবল আসিফ কিন্তু কোনো ভাবেই সে কি
করবে বুঝছে না। এভাবে রাতে না ঘুমিয়েই রাত পার করলো আসিফ।
আসিফের কথা টাও মাফির থেকে সরিয়ে রাখা যায়নি। মাফি জেনে গেলো মনির কে পাঠালো আসিফ কে নিয়ে
আসার জন্য। যাওয়ার সময় গোপনে মনিরার কবর জিয়ারত করলো মনির। চলে গেলো সোজা আসিফের
বাসায়। আসিফ প্রথমে অনেক টা ভয় ই পেলো। নিজের পিস্তল টা খুজতে লাগলো আসিফ। মনির নির্ভয় দিয়ে

বললো “স্যার, ভয় পাবেন না। আমি আপনাকে সাহায্য করবো আমি সব কমু কালু ভাইয়ের সব কথা কমু।
আপনি আমারে আটকাইয়েন না।” শুনে আসিফ কিছুটা থতমত খেয়ে গেলো। এ যেনো মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি।
আসিফ বললো “আমি তোমারে বিশ্বাস করব কেনো?” মনির বললো “ও যে আমার মনিরা রে ও মাইরে
ফ্যালছে স্যার।” বলেই হু হু করে কান্না শুরু করে দিলো মনির। আসিফ মনির এর থেকে সব শুনলো।ওইদিকে
রাত হয়ে যাওয়ার পর ও মনির এর কোনো খবর নাই। মাফির খুব চিন্তা হলো। মাফি দল নিয়ে গেলো
আসিফের বাসায় কিন্তু তত সময়ে আসিফ মনির কে নিয়ে চট্টগ্রাম পার হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে
গেছে। মাফির মনির কে নিয়ে খুব টেনশন হলো। রাত কাটলো পরের দিনের পত্রিকায় মনিরের সব
সিকারোক্তি তুলে দেয়া। মাফির যেনো দুনিয়া ওলট পালট হয়ে গেলো। কিছুক্ষনের মধ্যেই মাফির পুরো
আস্তানা ঘিরে ফেললো পুলিশ। পালানোর কোনো উপায় নাই। মাফি তার পিস্তল দিয়ে কিছুক্ষন গুলি ছুড়লেও
তাতে কোনো লাভ হয়নি। মাফি আর তা দল ধরা পড়ল পুলিশের কাছে। পত্রিকায় খবর প্রকাশ হবার পরেই
সারা দেশ জুড়ে আন্দোলন শুরু হয়ে গেলো মাফির ফাসির জন্যে। অবশেষে মাফির রায়ের দিন আসলো।
রায় হলো “ফাসি”। এটা ত হবার ই ছিলো। শেষ সময়ে মনির গেলো মাফির সাথে দেখা করতে। তাদের কিছু
কথোপকথন
মনিরঃ কালু ভাই আমারে মাফ কইরেন। আমার আর কিছু করার ছিলোনা।
মাফিঃ মাইনষে কখনো কিছু বুইঝা করে নারে। করার পর যহন বুঝে তহন আর ঠিক করার সময় থাহেনা। তুই
ই দেখ কইদিন ভালা থাকবার পারস।
মনিরঃ কালু ভাই এমনে কইয়েন না আমারে ক্ষমা কইরেন।আমি মনিরারে অনেক ভালাবাইসে ফেলছিলাম
ভাই।
মাফিঃ আমারে ত একবারের লাইগা কইতে পারতি।
মনিরঃ ভাই আমি সব কইতেই চাইলাম কিন্তু আপনেই তারে দুনিয়া থেকে সরাই দিলেন।
মাফিঃ মাইনষে এই দুনিয়ার না রে,দুনিয়া ও এইসব মাইনষের না।
মনিরঃ আমারে মাফ কইরেন ভাই। [কান্না জুড়ে দিলো মনির]
মাফি একটু মুচকি হাসলো যেমন টা সে খুন করার পর লাশ দেখে হাসত। মনির বুঝতে পারলো এই হাসির মানে।
কিছুক্ষন পরেই যে নিজেই লাশ হবে কালুভাই।
১৮ ডিসেম্বর রাত ১১.৫৯ আর কিছুক্ষণ পরেই ১২.০১ এ ফাসি হবে।
১৯ ডিসেম্বর ১৯৯৭
ফাসি হলো। একটুও কাতরালো না বাচার আকুতি করল না কালু ভাই। পাপের বোঝা হয়ত বেশিই ছিলো তাই
আর নড়াচড়ার সুযোগ পাইনি সে। অফিসার আসিফ নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।
উদ্ধার হলো নদীর তলদেশ তুলে আনা লাশ।
মনির এর ১০ বছর এর জেল হলো।মনির এর একটায় দাবি ছিলো মনিরা রে যেনো ওইখান থেকে তুলে গোসল
করায়ে জানাজা পড়ায়ে আবার কবর দেই।
পরিসমাপ্তি ঘটল কালুভাই এর জীবন কাহিনী এর।

বুধবার, ডিসেম্বর ০৬, ২০২৩

আজ ডাঃ শারমিন সুলতানা চৌধুরীর জন্মদিন

আজ ডাঃ শারমিন সুলতানা চৌধুরীর জন্মদিন

সত্যের সন্ধানে বলিষ্ঠ, সত্য প্রকাশে নির্ভীক...

জন্মদিনের শুভেচ্ছা 



প্রিয় ডাঃ শারমিন সুলতান চৌধুরী মেম আপনাকে জানাই, জন্মদিনের শুভেচ্ছা ,শুভ জন্মদিন।

আপনি অনেক উদার মনের আমরা সবাই জানি; আপনার কাছে আমরা সবাই অনেক বেশি ঋণী।

আজকের এই দিনে ছিলো আপনার আগমন,

দোয়াকরি কল্যাণময় হউক আপনার পৃথিবী ভ্রমণ।

আপনার জীবন হউক আলোকিত পুলকিত দিনের মতন।


ডাঃ শারমিন সুলতান চৌধুরী
ডাঃ শারমিন সুলতান চৌধুরী 



আপনার জন্মদিনে আমিও বলতে চাই,
শ্রদ্ধেয় শিক্ষিকা, আপনি আমাদের অদেখা পথের কাঁটা উপড়ে ফেলার উপায় দেখানো এক অন্যতম গুরুজন।যার শিক্ষার আলোয় বিশুদ্ধতায় শুদ্ধতা পায় আমাদের মন। একজন মহান ও আদর্শ শিক্ষকের মধ্যে কয়েকটি বিশেষ গুণ অবশ্যই থাকা উচিত – সততা, ভালোবাসা, স্নেহ, মায়া, মমতা, করুণা, জ্ঞান এবং অদম্য ইচ্ছাশক্তি। যার সবই আপনার মধ্যেই আমরা পাই।আপনি আমাদের অশেষ শ্রদ্ধেয় বিশেষ একজন। যার হস্তে গড়ে উঠে হাজারো ভবিষ্যত চিকিৎসক। জন্মদিনের এই বিশেষ ক্ষণে জানায় আপনায় প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। পূর্ণ হোক আপনার জীবনের অপূর্ণ যত ইচ্ছা। নক্ষত্রের মতো জ্বলে উঠুক সফলতার যত হাতছানি। শুভ জন্মদিন। আপনি চিকিৎসক হিসেবে যেমন দক্ষ লেখিকা হিসেবেও সমাদৃত আপনার লেখনীতে রয়েছে চিন্তাশীল মানুষ কে জাগ্রত করার শক্তি, বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা, হাস্য-রস মনোমুগ্ধকর সব স্মৃতি আপনার এবং আপনার প্রিজনদের মঙ্গল কামণা করছি।
আপনার হাত ধরেই আমাদের ভবিষ্যত নির্ভর। ভালো থাকবেন আজীবন এটাই প্রত্যাশা। জীবনের বাঁকে পূর্ণ হবে আপনার সকল আশা। আপনার প্রতি আমাদের অনেক দোয়া ও অগাধ ভালোবাসা।






লেখিকা ডাঃ শারমিন সুলতান চৌধুরী পেশায় চিকিৎসক। তিন ভাই বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বাবা ডঃ মোহাম্মদ শফি চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন,বর্তমানে অবসরে। মা সুলতানা মমতাজ বেগম তিন ছেলে মেয়েকে নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এস এস সি,এইচ এস সির গন্ডি পেরিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এম বি বি এস পাশ করেন। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত আছেন। এক কন্যা জয়িতাকে নিয়েই অবসর কাটে। নেশা লেখালিখি। ২০১৭ সালে প্রথম লেখালিখিতে হাতেখড়ি। ২০১৮ তে পেন্সিল,জানালাসহ বিভিন্ন সংকলনে লেখা প্রকাশিত হবার পর ২০১৯ এ অমর একুশে বইমেলাতে তাম্রলিপি প্রকাশনী থেকে আসে প্রথম একক উপন্যাস সমান্তরাল বৃত্ত। এরপর ২০২০ বইমেলায় প্রেম অভিন্ন সংজ্ঞা ভিন্ন সাদরে সমাদৃত হয়। ২০২১ ছিল থ্রিলার জগতে পা ফেলার সময়। ‘প্রতিবিম্ব’ প্রকাশিত হয় ২০২১ এর বইমেলাতে। আর ২০২১ এর সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত দ্বিতীয় জীবন পাঠকের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নেয়।



৬ ডিসেম্বর গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ৩৪০তম (অধিবর্ষে ৩৪১তম) দিন। বছর শেষ হতে আরো ২৫ দিন বাকি রয়েছে।


স্বৈরাচার পতন দিবস আজ ৬ ডিসেম্বর। গণ-আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের এই দিনে পদত্যাগ করেন তৎকালীন স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ। এই দিনে তিনি অস্থায়ী সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। এর মাধ্যমে এরশাদের ৯ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান হয়, মুক্তি পায় গণতন্ত্র।


জন্ম :


১৯২০ - জর্জ পোর্টার, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ রসায়নবিদ ও অধ্যাপক।

১৯৫৬ - তারেক মাসুদ, বাংলাদেশের বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা ও গীতিকার।

১৯৪২ - পিটার হ্যান্ডকে, অস্ট্রিয়ান লেখক ও নাট্যকার।

১৯৭৬ - কলিন হাস্কেল, মার্কিন অভিনেত্রী।

১৯৭৭ - অ্যান্ড্রু ফ্রেদি ফ্লিনটফ, সাবেক ইংরেজ ক্রিকেটার ও কোচ।

১৯৮৮ - নিলস পিটারসেন, জার্মান ফুটবল খেলোয়াড়।

১৯৯০ - টামিরা পাসযেক, অস্ট্রিয়ান টেনিস খেলোয়াড়।

০৮৪৬ - হাসান আল-আসকারি, সৌদি আরবের ইমাম।

১৪৭৮ - বাল্ডাসারে কাস্তিগ্লিওনে, ইতালিয়ান কূটনীতিক ও লেখক।

১৭৩২ - ওয়ারেন হেস্টিংস, ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল। (মৃ. ২২/০৮/১৮১৮)

১৮২৩ - ম্যাক্স মুলার, বিখ্যাত ভারত বিদ্যাবিশারদ, সংস্কৃত ভাষার সুপ্রসিদ্ধ পণ্ডিত ও অনুবাদক। (মৃ. ২৮/১০/১৯০০)

১৮৫৩ - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, বিখ্যাত বাঙালি ভারততত্ত্ববিদ, সংস্কৃত বিশারদ, সংরক্ষণবিদ ও বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস রচয়িতা। (মৃ. ১৭/১১/১৯৩১)

১৮৯৮ - গুনার মিরদাল, ১৯৭৪ সালে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইডিশ সমাজবিজ্ঞানী ও অর্থনীতিবিদ।(মৃ. ১৭/০৯/১৯৮৭)

১৯০১ - ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের অগ্রণী সংগঠক আবদুল হালিম।

১৯১১ - বিপ্লবী দীনেশচন্দ্র গুপ্ত। (মৃ. ০৭/০৭/১৯৩১)

১৯১৭ - ডব্লিউ এ এস ওডারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত একমাত্র বিদেশি মুক্তিযোদ্ধা।

১৯২৮ - ভারততত্ত্বের গবেষক অধ্যাপক তারাপদ মুখোপাধ্যায়।

১৯৬৭ - জুড আপাটও, আমেরিকান পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।



ঘটনাবলী


১) ২০০৪ - সৌদী আরবের জেদ্দায় মার্কিন কনস্যুলেট ভবনে সন্ত্রাসী হামলায় ১২ জন নিহত হয়।

২) ১৯৮৯ - পূর্ব জার্মানিতে সমাজতন্ত্রের অবসানের পর প্রথম অকমিউনিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠা। মানফ্রেড গেরল্যাচ রাষ্ট্রপ্রধান নিযুক্ত।

৩) ১৯৭১ - ভারত এবং ভুটান বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে সর্বপ্রথম স্বীকৃতি দেয়।১৯৬৬ - প্রথম এশিয়ার নবোদিত শক্তি গেমস কাম্পুচিয়ার রাজধানী নমপেনে সমাপ্ত হয়।

৪) ১৯৭১ - দেশের প্রথম স্বাধীন জেলা হিসেবে যশোর জেলা পাক হানাদার বাহিনী মুক্ত হয়েছিল।

৫) ১৯৭১ - মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, সুনামগঞ্জ, যশোরের চৌগাছা, দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ, রংপুরের পীরগঞ্জ, কুড়িগ্রামের উলিপুর, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, ও নেত্রকোনার দুর্গাপুর পাকিস্থানী হানাদার মুক্ত হয়।

৬) ১৯৮৪ - চীনের সংবাদ সমিতির যুক্ত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়।

৭) ৭৩১ - সমরখন্দের তৃতীয় যুদ্ধ শুরু হয়।

৮)১২৪০ - মোঙ্গল আক্রমনে রুশ সাম্রাজ্য থেকে কিয়েভ বিচ্ছিন্ন হয়। কিয়েভ মঙ্গল নেতা বাটু খানের আওতায় আসে।

৯) ১৪৯২ - প্রথম ইউরোপীয় হিসেবে ক্রিস্টোফার কলম্বাস নতুন পৃথিবীর হিসপানিওলা (ডমিনিকান রিপাবলিক ও হাইতি) দ্বীপ আবিষ্কার করেন।

১০) ১৫৩৪ - ইকুয়েডরের কুইটো শহর স্প্যানিশ ঔপনিবেশিক সেবাস্টিয়ান ডি বালকাজার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়।

১১) ১৭৬৮ - বিশ্বকোষ এনসাইক্লোপেডিয়া ব্রিটেনিকা প্রথম প্রকাশিত হয়।

১২) ১৭৯০ - আমেরিকার কংগ্রেস স্থান পরিবর্তন করে নিউ ইর্য়ক থেকে ফিলাডেলফিয়াতে চলে আসে।

১৩) ১৮৪৯ - আমেরিকার মৃত্যুদন্ড প্রথা বিলোপপন্থি হ্যারিয়েট টোবম্যান দাসত্ব থেকে মুক্তি লাভ করেন।

১৪)১৮৫৭ - কানপুরের যুদ্ধে স্যার কলিন ক্যাম্পবেল বাহিনীর কাছে সিপাহি বিদ্রোহীদের পরাজয়।

১৫) ১৮৬৫ - যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনী অনুযায়ী দাসত্ব প্রথা নিষিদ্ধ হয়।

১৬) ১৮৭৭ - পৃথিবী বিখ্যাত পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্ট প্রথম প্রকাশ হয়।

১৭) ১৮৭৭ - বিখ্যাত বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন তার ফনোগ্রাফ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রথম শব্দ রের্কড করতে সক্ষম হন।

১৮) ১৮৮৪ - ওয়াশিংটন মনুমেন্টের কাজ শেষ হয়।

১৯) ১৮৯৭ - লন্ডন বিশ্বের প্রথম শহর হিসাবে টেক্সিক্যাবের অনুমোদন দেয়।

১৯১৬ - সেন্ট্রাল পাওয়ার বুখারেস্ট দখল করে।

১৯১৭ - ফিনল্যান্ড রাশিয়ার কাছ থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে ।

২০) ১৯১৭ - কানাডার এক যুদ্ধোপকরণ ঘাটিতে হ্যালিফ্যাক্স বিষ্ফোরনের ফলে ১৯০০’র বেশি মানুষ নিহত।

২১) ১৯২১- ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডের প্রতিনিধিদের মাঝে আংলো-আইরিশ চুক্তি হয়।

২২) ১৯২২ - স্বাধীন আইরিশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত।

২৩) ১৯৪১ - ব্রিটেন ফিল্যান্ড, রোমানিয়া আর হাংগেরি বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ঘোষণা করে।

২৪) ১৯৪২ - কলম্বাস কর্তৃক হাইতি আবিষ্কার।

২৫) ১৯৫৭ - পৃথিবীর প্রথম উপগ্রহ স্থাপনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

২৬) ১৯৫৮ - বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ টানেল তৈরির কাজ শুরু হয়।

২৭) ১৯৬৫ - পাকিস্থানের ইসলামী দার্শনিকরা প্রাইমারী থেকে স্নাতক পর্যন্ত ইসলামীক স্টাডিস বিষয়টি বাধ্যতামূলক করতে বলে।

২৮) ১৯৯০ - বাংলাদেশে স্বৈরশাসক, জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এর পতন ঘটে।

২৯) ১৯৯২ - কয়েক হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বী ‘স্বেচ্ছাসেবক’ দ্রুত বেগে ভারতের উত্তর প্রদেশের বাবরি মসজিদের দিকে ছুটে যায় এবং তা ভেঙ্গে দেয়। এই নিয়ে যে দাঙ্গা বাধে তাতে প্রায় ১৫০০ মানুষের মৃত্যু হয় ।

৩০) ১৯৯৪ - ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র আর উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধি দলের মধ্যে দু’দেশের রাজধানীতে যার যার লিয়াজোঁ কার্যালয়ের স্থাপন নিয়ে বৈঠক হয়।

৩১) ১৯৯৮ - সন্ধ্যায় ত্রয়োদশ এশীয় গেমস থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে শুরু হয়।

৩২) ২০২০ - প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সরকার ভুটানের সাথে অগ্ৰাধিকার মূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) সাক্ষর করে।







ডাঃ শারমিন সুলতানা চৌধুরী  গ্যালারি










 ডাঃ শারমিন সুলতান চৌধুরী পেশায় চিকিৎসক। আজকের আই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করে ছিলেন। তিন ভাই বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। বাবা ডঃ মোহাম্মদ শফি চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন,বর্তমানে অবসরে। মা সুলতানা মমতাজ বেগম তিন ছেলে মেয়েকে নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এস এস সি,এইচ এস সির গন্ডি পেরিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এম বি বি এস পাশ করেন। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত আছেন। এক কন্যা জয়িতাকে নিয়েই অবসর কাটে। নেশা লেখালিখি। ২০১৭ সালে প্রথম লেখালিখিতে হাতেখড়ি। ২০১৮ তে পেন্সিল,জানালাসহ বিভিন্ন সংকলনে লেখা প্রকাশিত হবার পর ২০১৯ এ অমর একুশে বইমেলাতে তাম্রলিপি প্রকাশনী থেকে আসে প্রথম একক উপন্যাস সমান্তরাল বৃত্ত। এরপর ২০২০ বইমেলায় প্রেম অভিন্ন সংজ্ঞা ভিন্ন সাদরে সমাদৃত হয়। ২০২১ ছিল থ্রিলার জগতে পা ফেলার সময়। ‘প্রতিবিম্ব’ প্রকাশিত হয় ২০২১ এর বইমেলাতে। আর ২০২১ এর সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত দ্বিতীয় জীবন পাঠকের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নেয়।

শুক্রবার, নভেম্বর ১৭, ২০২৩

একজন লেখক হলেন এমন একজন ব্যক্তি

একজন লেখক হলেন এমন একজন ব্যক্তি

সত্যের সন্ধানে বলিষ্ঠ, সত্য প্রকাশে নির্ভীক...




একজন লেখক হলেন এমন একজন ব্যক্তি, যিনি বিভিন্ন ধরনের এবং কৌশলের লিখিত শব্দগুলি যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করেন। লেখকরা বিভিন্ন ধরনের সাহিত্য শিল্প এবং সৃজনশীল লেখার জন্মদান করেন, যেমন উপন্যাস, ছোট গল্প, কবিতা, নাটক, চিত্রনাট্য এবং প্রবন্ধ পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিবেদন গুলি এবং খবর নিবন্ধ যার প্রতি জনগণ আগ্রহী হতে পারে। লেখকদের লেখা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। দক্ষ লেখক, যাঁরা ভাষার মাধ্যমে ধারণাকে ভালভাবে প্রকাশ করতে ব্যবহার করতে সক্ষম হন, একটি সমাজের সংস্কৃতিতে তাঁদের অবদান অপরিসীম।

চারুকলার ক্ষেত্রে "লেখক" শব্দটি অন্য কোথাও ব্যবহৃত হয় – যেমন গীতি লেখক – তবে শুধু "লেখক" বললে সাধারণত, যিনি লিখিত ভাষা তৈরি করেন, তাঁকে বোঝায়। কিছু লেখক মৌখিক প্রথা থেকে কাজ করেন।
লেখক বলতে কোন ব্যক্তি কর্তৃক রচিত লিখন কর্ম বা কোন কিছু লেখাকে বুঝায়। তবে যে কোন লেখার অধিকর্তাই লেখকরূপে স্বীকৃতি পান না; তাঁর লেখায় সাহিত্যিক গুণাবলী থাকতে হবে। সাধারণতঃ যে ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ সৃষ্টিশীল কোন লেখনী কিংবা লেখাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন, তিনিই লেখকরূপে গণ্য হয়ে থাকেন। 

লেখকরা কাল্পনিক বা বাস্তব বেশ কয়েকটি রীতির উপাদান তৈরি করতে পারেন। অনেক লেখক তাঁদের ধারণাকে সবার কাছে পৌঁছে দেবার জন্য একাধিক মাধ্যম ব্যবহার করেন – উদাহরণস্বরূপ, গ্রাফিক্স বা চিত্রণ। নাগরিক এবং সরকারী পাঠকদের দ্বারা, অ-কাল্পনিক প্রযুক্তিবিদদের কাজের জন্য, সাম্প্রতিক আরেকটি চাহিদা তৈরি হয়েছে, যাদের দক্ষতা ব্যবহারিক বা বৈজ্ঞানিক প্রকৃতির বোধগম্য, ব্যাখ্যামূলক দস্তাবেজ তৈরি করে। কিছু লেখক তাঁদের লেখাকে আরও বোধগম্য করার জন্য চিত্র (অঙ্কন, চিত্রকর্ম, গ্রাফিক্স) বা মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করতে পারেন। বিরল দৃষ্টান্তে, সৃজনশীল লেখকগণ তাঁদের ধারণাগুলি সংগীতের পাশাপাশি শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করতে সক্ষম হন। লেখকের স্ত্রীবাচক শব্দ হচ্ছে লেখিকা। লেখককে অনেকক্ষেত্রে গ্রন্থকারের সমার্থক শব্দরূপে গণ্য করা হয়। কিন্তু লেখক শব্দটি মূলতঃ ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়। তাঁদের নিজস্ব রচনাগুলি সৃষ্টির পাশাপাশি, লেখকরা প্রায়শই কীভাবে তাঁরা লেখেন সেটাও প্রকাশ করেন অর্থাৎ যে প্রক্রিয়াটি তাঁরা লেখার জন্য ব্যবহার করেন; কেন তাঁরা লেখেন? তাদের প্রেরণা কি? এবং অন্যান্য লেখকের কাজের বিষয়েও মন্তব্য সমালোচনা করেন।লেখকরা পেশাদার বা অপেশাদারভাবে কাজ করেন, অর্থাৎ, অর্থের জন্য বা অর্থ ছাড়াই, এছাড়াও অগ্রিম অর্থ গ্রহণ করে বা কাজ শেষ করার পর কেবল তাঁদের কাজ প্রকাশিত হবার পরে। অর্থ প্রাপ্তি লেখকদের অনেক অনুপ্রেরণার মধ্যে একটি, অনেকে তাঁদের কাজের জন্য কখনও কোন অর্থই পান না। তাছাড়া লেখকদের লেখা বিভিন্ন পত্রিকায় ও বই আকারে প্রকাশনী—থেকে প্রকাশিত হয় যা লেখকদের লেখার দিকে উৎসাহিত করে।

লেখক শব্দটি প্রায়শই সৃষ্টি মূলক লেখক এর প্রতিশব্দ হিসাবে ব্যবহৃত হয়, যদিও পরবর্তী শব্দটির কিছুটা বিস্তৃত অর্থ রয়েছে এবং লেখার কোনও অংশের জন্য আইনি দায়িত্ব জানাতে ব্যবহৃত হয়, এমনকি এর রচনাটি বেনামে, অজানা বা সহযোগী হলেও।


লেখকদের প্রকারভেদ :
১। ঔপন্যাসিক - যিনি উপন্যাস রচনা করেন।
২। কবি - যিনি কবিতা লিখেন।
৩। ব্লগ লেখক বা ব্লগার - যিনি সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট ব্লগে লিখেন।
৪। লেখকরা তাদের ধারণাগুলি প্রকাশ করার জন্য সাহিত্য রীতির শ্রেণির মধ্যে থেকে একটি পছন্দ করেন। বেশিরভাগ লেখাই জন্য অন্য একটি মাধ্যমের ব্যবহারের জন্য অভিযোজিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কোনও লেখকের কাজ - ব্যক্তিগতভাবে পড়া বা আবৃত্তি বা কোনও নাটক বা চলচ্চিত্রে পরিবেশিত হতে পারে। যেমন কোন ব্যঙ্গাত্মক রচনাকে একটি কবিতা, একটি প্রবন্ধ, একটি চলচ্চিত্র, একটি কমিক নাটক, বা সাংবাদিকতার একটি অংশ হিসাবে লেখা যেতে পারে। কোনও চিঠির লেখকের মধ্যে সমালোচনা, জীবনী বা সাংবাদিকতার উপাদান অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

অনেক লেখক বিভিন্ন ধারায় কাজ করেন। ধারাটি স্থিতিমাপ তৈরি করে তবে সমস্ত ধরনের সৃজনশীল অভিযোজনেরও চেষ্টা করা হয়: উপন্যাস থেকে চলচ্চিত্র; কবিতা থেকে নাটক; ইতিহাস থেকে সংগীত। লেখকরা তাঁদের সাহিত্যচর্চা একটি ধারায় শুরু করতে পারেন এবং তারপর অন্য একটি ধারায় চলে যেতে পারেন। উদাহরণ স্বরূপ, ইতিহাসবিদ উইলিয়াম ডালরিম্পল শুরু করেছিলেন ভ্রমণ সাহিত্য রচনার ধারায় এবং একজন সাংবাদিক হিসাবেও লেখেন। অনেক লেখক কথাসাহিত্য এবং অ-কাল্পনিক উভয় রচনাই সৃষ্টি করেছেন এবং অন্যরা দুটি ধারাকে অতিক্রম করে এমন একটি ঘরানায় লিখেন। উদাহরণস্বরূপ, জর্জেট হায়ার এর মত ঐতিহাসিক প্রণয় কাহিনীর লেখক, ঐতিহাসিক সময়সীমার মধ্যে তাঁর চরিত্রদের এবং গল্পের পটভূমিকে রাখেন। এই ধারায়, ইতিহাসের যথার্থতা এবং কাজের সত্য ঘটনা বিশ্লেষণের স্তর উভয়ই বিতর্কিত হতে থাকে। কিছু লেখক সৃজনশীল কথাসাহিত্য এবং গুরুতর বিশ্লেষণ উভয়ই লেখেন, কখনও কখনও তাঁদের কাজ পৃথক করতে বিভিন্ন নাম ব্যবহার করেন। উদাহরণস্বরূপ, ডরোথি সায়ার্স অপরাধ কল্পকাহিনী লিখেছেন, তবে তিনি নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক এবং সমালোচকও ছিলেন।

রম্য লেখক—এখন সন্দেহ হচ্ছে, এই শ্রেণিবিভাগ আছে কি? কেউ কি শুধু রম্যই লেখেন?
সাংবাদিক—সংবাদ অবশ্যই লেখা। কাজেই এটা লেখকের আরেকটা ধরন। কিন্তু সব লেখা সংবাদ নয়। আবার সব সংবাদ কে লেখা মানতেও নারাজ অনেকে। আসমা বৃত্তি পাইয়াছে’—এই সংবাদ লেখক হয়তো লেখক/সাহিত্যিক ক্যাটাগরিতে পড়েন না।
কলামিস্ট—এবার ক্যাটাগরিটা ইংরেজিতে। বাংলা কী হবে? যদি বাংলা না থেকে থাকে, তাহলে ধরেই নিতে হবে এটা নতুন ক্যাটাগরি। আবহমান কাল ধরে বাংলা ভাষায় ছিল না। যিনি সংবাদপত্রে বা ম্যাগাজিনে ফিচারধর্মী লেখা লেখেন, তিনি কলামিস্ট।
লেখক—ওপরে অনেককে শুধু লেখক বললেই হয়। কিন্তু সবাইকে নয়। কবিকে লেখক বলা যাবে না, গীতিকারকেও না। নাট্যকারকে কি লেখক বলা যাবে? জানি না!
কথা থেকে যাচ্ছে, কে সাহিত্যিক দাবি করতে পারেন? সবাই? ওপরে প্রাবন্ধিককে সাহিত্যিক ক্যাটাগরি থেকে বাদ দিয়েছিলাম। না জেনেই। এখন বুঝতে পারছি, সেটা অবশ্যই সাহিত্যের একটা প্রধান ক্যাটাগরি। রবীন্দ্রনাথও প্রবন্ধ লিখেছেন। বেশ খারাপ লাগছে, কিন্তু ওপরে উঠে আবার মুছতে ইচ্ছা করছে না। প্রাবন্ধিক ভাইবোনেরা, নিজগুণে ক্ষমা করবেন। সায়েন্স ফিকশন লেখক ভাইবোনেরা, আপনাদের কাছেও একই আবেদন। এখন মনে পড়েছে, জুলভার্ন তো সায়েন্স ফিকশন লিখেছেন। তিনি একজন বিরাট সাহিত্যিক! তাহলে যে যা–ই বলুক, সায়েন্স ফিকশন একটা সৃজনশীল সাহিত্য হতেই হবে।
কাজেই বুঝতেই পারছেন, তাড়াহুড়োর মধ্যেও বেশ একটা প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে অনেক কিছু উদঘাটন করা হলো, অনেক কিছু আবার অনুদঘাটিত থেকে গেল। গবেষণা হচ্ছে একটা কাঠিদৌড়ের মতো। আমি যেখানে থামব, সেখান থেকে আরেকজন কাঠি হাতে নিয়ে ছুটবে। তফাত হলো কাঠিদৌড়ে আগের পরের সবাই, পুরা টিম পুরস্কার পায়। গবেষণায় পায় সব শেষের জন। আগের গবেষকগুলো হাপিস হয়ে যায়। এই হলো জগতের নিয়ম।