









সুন্দর সমাজ
সুন্দর সমাজ গড়তে হলে,
সত্য আর ন্যায়ের বলে।
ভালোবাসা, দয়া-ধর্য্য,
হৃদয় হবে সবার স্বর্গ।
লোভ-হিংসা দূরে ঠেলো,
একতা গড়ে হাতে মেলো।
মানবতা থাকলে প্রাণে,
শান্তি হাসে সবুজ বনে।
শিক্ষার আলো জ্বালো ঘরে,
অজ্ঞতার আঁধার মরে।
সততা আর পরিশ্রমে,
দেশ এগোবে নতুন রঙ্গে।
সবার তরে ভালো চাও,
প্রীতির মালা গেঁথে নাও।
সুন্দর সমাজ হবে গড়া,
যদি থাকি হাতটি ধরা!
বই আমার বন্ধু
বইয়ের মাঝে জ্ঞান যে থাকে,
নতুন নতুন স্বপ্ন আঁকে।
পড়লে বই তো জানতে পারি,
পৃথিবীটা কেমন ভারী!
রূপকথার ঐ রাজপুত্র,
ভালোবাসে বইয়ের গন্ধ।
বিজ্ঞান বলে, গ্রহ-নক্ষত্র,
ইতিহাস দেয় জ্ঞানের সূত্র।
গল্প, কবিতা, মজার ছড়া,
বইয়ের মাঝে কত ধরা!
বন্ধু আমার বই যে সেরা,
শিখিয়ে দেয় পথের ভেরা।
তাই তো বলি, পড়ো সবাই,
বইয়ের আলো নিববে নাই!
একুশের চেতনা
তৌফিক সুলতান
রক্তে রাঙা একুশ এলো,
শ্রদ্ধা জানাই হৃদয় মেলো।
শহীদ আমার, অমর তারা,
ভাষার জন্য দিলো সারা।
মায়ের মুখের মিষ্টি ভাষা,
ছিল যে তবু বন্দি বাসা।
শপথ নিলো তরুণ প্রাণ,
রুখবে অন্যায়—এটাই প্রাণ।
বুলেট এলো, ঝরল প্রাণ,
তবু কাঁপেনি কণ্ঠ গান।
বাংলা মায়ের সন্তানেরা,
রেখে গেলো পথের ধারা।
আজও আমরা শপথ করি,
ভাষার মান রাখব জরি।
সত্য, সাহস, ত্যাগের গাঁথা,
একুশ চির অমলিন কথা।
২০টি মজার ছোট গল্প
রফিক একদিন পুরনো বোতল ঘষতেই এক জিন বেরিয়ে এলো।
জিন: হুকুম করুন, মালিক!
রফিক: আমায় ধনী করে দাও!
জিন: মালিক, অলস মানুষকে ধনী করলে সে আরও অলস হয়ে যায়!
রফিক: তাহলে আমাকে পরিশ্রমী করে দাও!
জিন: তাহলে আর ধনী হওয়ার দরকার নেই, মালিক!
রাহুল খুব পেটুক। একদিন সে একসঙ্গে ১০টা রসগোল্লা খেয়ে ফেলল।
বন্ধু: আরেকটা খাবে?
রাহুল: উঁহু! আর পারছি না!
বন্ধু: এই তো শিক্ষা! সবকিছুতেই সীমা থাকা দরকার!
বাবা: বেশি মোবাইল দেখো না!
ছেলে: কিন্তু বাবা, বিজ্ঞান তো বলেছে সব জানা ভালো!
বাবা: হ্যাঁ, কিন্তু বিজ্ঞান এটাও বলেছে, বেশি মোবাইল দেখলে চোখের পাওয়ার বেড়ে যায়!
শিহাব পরীক্ষায় খারাপ ফল করায় বাবাকে বলল—
শিহাব: বাবা, আজ থেকে তোমাকে ‘জিনিয়াস’ ডাকব!
বাবা: কেন?
শিহাব: তুমি তো বলো, "আমার ছেলে আমার মতোই হবে!"
নাতি: দাদু, সফলতার রাস্তা কোনটা?
দাদু: রাস্তা সবসময় সামনে থাকে!
নাতি: তাহলে আমি স্কুলের পেছনের গলিটা দিয়ে যাই কেন?
এক চোর রাতে এক বাড়িতে ঢুকে দেখল, দরজায় লেখা—
"চোর সাবধান! কুকুর আছে!"
চোর ভাবল, "কুকুর ঘুমিয়ে থাকলে ভয় কী?"
তখনই দেখল পাশেই লেখা—
"কিন্তু আমাদের কুকুর ঘুমোয় না!"
ইঁদুর মেকআপ করছিল।
বিড়াল: এটা কী করছো?
ইঁদুর: বউয়ের সামনে সুন্দর দেখাতে চাই!
বিড়াল: সুন্দর হলে তো আমার শিকার করা সহজ হবে!
শিক্ষক: তুমি পরীক্ষায় এত খারাপ করলে কেন?
ছাত্র: স্যার, আমি তো পরীক্ষার হলে একাই ছিলাম!
শিক্ষক: তাই?
ছাত্র: হ্যাঁ, কেউ সাহায্য করতে আসেনি!
মশা: তুমি আমাদের কেন মেরে ফেলো?
মানুষ: তোমরা রক্ত খাও!
মশা: তোমরাও তো মুরগি, গরু খাও!
মানুষ: সেটা আলাদা!
মশা: আমাদের দুঃখ কেউ বোঝে না!
মা: তুমি সারাদিন মোবাইলে কী করো?
ছেলে: আমি বই পড়ছি!
মা: তাহলে মোবাইলটা রেখে সত্যিকারের বই পড়ো!
ছেলে: কিন্তু মা, এটা ই-বুক!
মা: ঠিক আছে, তাহলে ই-রুটি খেয়ে নাও!
এক শিয়াল একদিন বলল—
শিয়াল: আমি আজ থেকে নিরামিষ খাবো!
মুরগি: বাহ! খুব ভালো কথা!
শিয়াল: তোরা একটু কাছে আয়!
মুরগি: কেন?
শিয়াল: নিরামিষ খাবার আগে তো তোদের কাছ থেকে বিদায় নিতে হবে!
ভূত ফেসবুকে একটা পোস্ট দিল—
"কেউ ভূত দেখেছো?"
একজন কমেন্ট করল: "না!"
ভূত উত্তর দিল: "পেছনে তাকাও!"
শিক্ষক: ভবিষ্যতে রোবট মানুষের জায়গা নেবে?
ছাত্র: হ্যাঁ!
শিক্ষক: তাহলে তোমার মতো অলস ছাত্ররাও পড়ালেখা করবে?
ছাত্র: না স্যার, রোবটই পরীক্ষা দেবে!
এক গাধা বলল:
"আমার মালিক খুব চালাক! সে আমাকে কম খাওয়ায়!"
অন্য গাধা: "তাহলে তুমি কী করবে?"
গাধা: "আমি বেশি খাওয়া শুরু করবো, যাতে সে মনে করে আমি দুর্বল হচ্ছি!"
বাবা: পড়তে বসো!
ছেলে: একটু পরে!
বাবা: কখন?
ছেলে: যখন তুমি ঘুমাবে!
বন্ধু ১: তুমি জানো টাকা আসলেই কী?
বন্ধু ২: হ্যাঁ!
বন্ধু ১: কী?
বন্ধু ২: এটা এমন একটা জিনিস, যা কম থাকলে সবাই শেখায় আর বেশি থাকলে সবাই শিখতে চায়!
বাবা: পরীক্ষায় কত পেয়েছো?
ছেলে: ১০০-এর মধ্যে ৪০!
বাবা: বাকি ৬০ কোথায়?
ছেলে: সেগুলো প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ছিল!
হাঁস গান গাইছিল, "আমি সুন্দর, আমি গায়ক!"
এক কাক বলল: "তুমি তো কুৎসিত!"
হাঁস উত্তর দিল: "আমি গায়ক, মডেল না!"
খরগোশ: আমি এবারও তোমার সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা করব!
কচ্ছপ: ঠিক আছে!
খরগোশ: এবার আমি ঘুমোবো না!
কচ্ছপ: আর আমি এবার বাইক চালিয়ে যাবো!
সবজি বাজারে এক টমেটো কাঁদছিল।
পেঁয়াজ: তুমি কাঁদছো কেন?
টমেটো: মানুষ আমাকে কাঁচা খায়, রান্না করে খায়, সালাদ বানায়!
পেঁয়াজ: তাহলে?
টমেটো: কিন্তু আমাকে কাটলে কেউ কাঁদে না!
তোমার কোন গল্পটা সবচেয়ে মজার লাগল? 😆
সম্পর্ক ভাঙনের পেছনে নানা ধরনের কারণ থাকতে পারে, যার মধ্যে কিছু সাধারণ কারণ হলো:
🔹 বিশ্বাসের অভাব: সম্পর্কের ভিত্তি হলো বিশ্বাস। যদি একে অপরের মধ্যে বিশ্বাসের অভাব হয়, তাহলে তা সম্পর্কের ভাঙনে পরিণত হতে পারে।
🔹 যোগাযোগের অভাব: সম্পর্কের মধ্যে ভালো যোগাযোগ না থাকলে ছোটখাটো সমস্যা বড় আকার ধারণ করতে পারে, যা সম্পর্কের অবনতি ঘটায়।
🔹 বিশেষ লক্ষ্য বা পথের অমিল: জীবনের লক্ষ্য বা দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যও সম্পর্কের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি করতে পারে।
🔹 অতিরিক্ত একে অপরকে অধিকার করা: সম্পর্কের মধ্যে স্বাধীনতা বজায় না রাখতে পারলে ব্যক্তিগত পরিসরের অভাব অনুভূত হয়, যা শেষ পর্যন্ত সম্পর্কের ভাঙনে যোগ দেয়।
🔹 অসীম আশা এবং চাপ: কখনো কখনো সম্পর্কের মধ্যে একজনের কাছ থেকে অনেক বেশি প্রত্যাশা রাখা অথবা চাপ সৃষ্টি করাও সম্পর্কের ক্ষতি করতে পারে।
সম্পর্ক ভাঙনের মানসিক প্রভাব অস্বাভাবিকভাবে গভীর হতে পারে, বিশেষ করে যদি সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী এবং হৃদয়ের গভীরে প্রোথিত থাকে। কিছু প্রভাব হলো:
🔹 দুঃখ এবং একাকীত্ব: সম্পর্ক ভাঙলে মানুষ গভীর দুঃখ এবং একাকীত্বের অনুভূতি অনুভব করে, যা তাদের মানসিক অবস্থাকে দুর্বল করে দেয়।
🔹 আত্মবিশ্বাসের অভাব: সম্পর্কের ভাঙনের ফলে আত্মবিশ্বাসে বড় ধরনের আঘাত আসতে পারে, যা ভবিষ্যতের সম্পর্কের প্রতি ভয় এবং সন্দেহের সৃষ্টি করতে পারে।
🔹 মানসিক চাপ: সম্পর্কের ভাঙনে যে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়, তা কখনো কখনো দেহের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে, যেমন ঘুমের সমস্যা, খাওয়া কমে যাওয়া, বা অবসাদ।
সম্পর্ক ভাঙনের পর জীবনে নতুন দিক এবং নতুন শুরু গ্রহণের জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে:
✅ স্বাস্থ্যকর আত্মসমালোচনা: সম্পর্ক ভাঙার পর নিজেকে মূল্যায়ন করতে হবে এবং নিজের ভুলগুলো শিখে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
✅ অভিজ্ঞতা থেকে শেখা: সম্পর্কের শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে, এবং অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে এমন দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে হবে যা ভবিষ্যতে সুস্থ ও আনন্দময় হবে।
✅ মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করা: মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন—ধ্যান, যোগব্যায়াম, বা পছন্দের কাজের মাধ্যমে সময় কাটানো যেতে পারে।
✅ সাহায্য নেওয়া: যদি সম্পর্কের ভাঙন অত্যন্ত গুরুতর হয়, তাহলে কাউন্সেলিং বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।
সম্পর্ক ভাঙন জীবনের একটি কঠিন অভিজ্ঞতা হতে পারে, কিন্তু এটি একটি নতুন শুরু এবং আত্মবিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগও তৈরি করতে পারে। সময়, সহানুভূতি, এবং আত্মসমালোচনার মাধ্যমে একে অপরকে বুঝে, ভবিষ্যতে সুস্থ সম্পর্ক স্থাপন সম্ভব।